আজকে আমরা জেনে নিবো যেভাবে নিজের অজান্তেই আমরা যেভাবে আমাদের নিজের অত্যান্ত গোপনীয় পাসওয়ার্ডটি দিয়ে দিচ্ছি অন্যের হাতে খুব সহজেই। চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে আমরা ভুল করে সমস্ত গোপন তথ্য তুলে দিচ্ছি অন্যের হাতে।
অনেক জায়গায় দেখবেন ফান টাইপের অনেক সার্ভে আসে ফেসবুকে, কিংবা একজন পোস্ট করে আরেকজনকে ট্যাগ করে দেয় - আমি উত্তর দিয়েছি, এবার তোমার পালা। আমরাও কি নিশ্চিন্তে সেগুলোর উত্তর পাবলিকলি দিয়ে দেই।
এই যেমন ধরেন, তোমার পছন্দের রঙ কি, তোমার জন্ম হয়েছিল কোন জেলায়, তোমার ছোটবেলার ডাক নাম কি ছিল, স্কুলে থাকার সময়ে তোমার সবচেয়ে পছন্দের বন্ধুর নাম কি, তোমার বাবা মায়ের প্রথম দেখা হয়েছিল কোথায় - কত্ত নিরীহ টাইপের প্রশ্ন!
আরে বাহ এগুলোর তো সবাই জানে ভেবে আমরাও কি সুন্দর এগুলোর উত্তর টাইপ করে ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেই, খুব আনন্দের সাথে আরও দুই তিন ডজন বন্ধুকে উল্টা ট্যাগ করে দিতেও ভুলি না । তারাও উত্তর দেয়, এই খেলা চলতে থাকে এভাবেই।
এবার যেকোন ওয়েবসাইটের কমন সিকিউরিটি প্রশ্ন গুলোর দিকে নজর দিন তো, যেগুলোর উত্তর দিয়ে আপনি পাসওয়ার্ড রিকভার করতে পারেন। দেখেন তো, প্রশ্নগুলো চেনা চেনা লাগে কিনা না? আরে, এগুলোর কয়েকটার উত্তরই তো আপনি কিছুক্ষন আগেই ফেসবুকে দিয়ে দিয়েছেন, সাথে আপনার বন্ধুরাও। কংগ্র্যাচুলেশনস
পাসওয়ার্ড আপনার, অ্যাকাউন্ট আপনার, আর এটা রক্ষা করার দায়িত্বও কিন্তু পাশের বাসার হাশেম বা কাশেম মামার না, আপনার নিজেরই। তাই কোন কিছু প্রদান করার পূর্বে ভেবে চিন্তে দিন, যাতে নিজের অজান্তে নিজেরই না কোন ক্ষতি হয়ে না যায়।
0 মন্তব্যসমূহ