যেভাবে তৈরী করবেন আপওয়ার্ক ভেরিভাই একাউন্ট



আজকে আমরা ফ্রিলান্সিং জগতের অন্যতম প্রফেসনাল একটি মার্কেটপ্লেস নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি, যার নাম হচ্ছে আপওয়ার্ক। ফ্রিলান্সিং সেক্টরে বর্তমানে কাজের যেমন কোন ধরনের ঘাটতি নেই, অপরদিকে ঠিক তেমনি প্রতারণাকারী লোকের সংখ্যাও খুব একটা কম নয়। 

এখানে প্রতারণার কথা কেনো বললাম সেটাও বলছি আপনাদের তবে প্রথমে আপওয়ার্ক সম্পর্কে কিছু জেনে নেওয়া যাক। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আপওয়ার্ক কোন অ্যাকাউন্ট এপ্রুভ করেনা। এর অন্যতম একটি কারন হচ্ছে আমাদের নিজেদের ভেতরে স্কিল না থাকার পরেও অনেকে সখের বসে অ্যাকাউন্ট খুলে বসে থাকি আর কিছুদিন পরে হতাশ হয়ে সবকিছু ছেড়ে দেই। এর ফলে হয়েছে কি আপওয়ার্ক এটাকে একধরনের স্প্যামিং এর আওতায় নিয়েছে। যার ফলে আমরা বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আর কোন নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারিনা, সরাসরি আপওয়ার্ক রিভিউ থেকেই রিজেক্ট করে দেয়।

আর এটা জেনে রাখা ভালো যে আপনি যখন আপওয়ার্ক এ সাইন আপ করছেন তখন ধরেই নেয়া যায় যে আপনি প্রফেসনাল। কারন বর্তমানের আপওয়ার্ক কানেক্ট গুলো প্রমিয়াম করে দিয়েছে যা আপনাকে কিনেই ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি বিড করতে গেলে ২ থেকে ৬ কানেক্টের মতো আপনার খরচ হবে, তাই এখনও যারা এই সেক্টরে নিজেকে পুরোপুরি তৈরী করতে পারেননি তাদের জন্য এখানে প্রথমে না আসাটাই ভাল হবে।

আবার কিছু ধরনের লোক আছেন দেখবেন আপওয়ার্ক এ ফুল কমপ্লিট প্রোফাইল তৈরী করে দেবেন বলে অনেকের কাছে থেকেই হাতিয়ে নিচ্ছেন বড় ধরনের এমাউন্ট। এটা বেশ দুঃখজনক মনে হলেও এমনটাই ঘটে আসছে আমাদের আশে পাশের মানুষদের সাথে। আর আমরাও অনেকেই এই ফাদে পা দিচ্ছি। কিন্তু আপনি ইচ্ছা করলে নিজে থেকেই নিজের ফুল কমপ্লিট প্রফাইল তৈরী করতে পারবেন। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে ইতিমধ্যেই, তাহলে নিজে থেকে প্রফাইল তৈরী করার উপায়টা কি? চুলুন তাহলে জেনেই নেওয়া যাক সেই উপায়সমূহ;

আপওয়ার্ক প্রোফাইল তৈরীর টিপস সমুহঃ

১। বাংলাদেশ থেকে প্রফাইল এপ্ররুভ করেনা আপওয়ার্ক শুধুমাত্র দক্ষতার অভাবের জন্য, তাই আপনাকে প্রথম শর্ত হিসাবে একজন দক্ষ কর্মী হতে হবে।

২। আপনি যেই বিষয়ের উপর কাজ করতে চাইছেন সেটার উপর অন্তত প্রোফেসনালী ১ বছরের অভিঙ্গতা সম্পন্য হতে হবে।

৩। আপনার ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও থাকতে হবে, যাতে করে আপনার উপর ক্লাইন্ট আস্থা করতে পারে।

৪। আপনি লোকালি কিছু কাজ করে সেগুলোকে লাইভ সার্ভারে রাখতে পারেন নিজের পোর্টফোলিও হিসাবে এতে করে আপনার স্কিল ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি অভিঙ্গাতাও বাড়বে।

৫। আপনি যদি একাউন্ট খুলতে চান তাহলে কিছু স্কিলসমূহ বাদ দিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে। যেমন ধরেন গ্রাফিক্স, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। কারণ ইতিমধ্যে আপওয়ার্ক এই স্কিল গুলোর উপর অনেক প্রোফাইল পেয়েছে কোন ধরনের কাজ করা হয়না। তাই এগুলোকে স্যাম্প হিসাবেই নেয় অন্তত বাংলাদেশ থেকে। এটি মনে রাখবেন আপওয়ার্ক প্রোফাইল তৈরী করার সময়।

৬। অন্য কোন স্কিলের উপর প্রোফাইল তৈরী করে নেবেন প্রথমে, এরপরে এপ্রুভ করার পরে আপনি নিজের স্কিল গুলোকে পরবর্তী সময়ে পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।

.৭। আপনার শিক্ষ্যাগতা যোগ্যতা গুলো এড করে দেবেন, যাতে করে আপওয়ার্ক এটাকে রিয়াল একাউন্ট হিসাবে গণ্য করে।

৮। পোর্টফোলিও এড করে দেবেন, আপনি যেই বিষয়ের উপর এক্সপার্ট।

৯। নিজের একটা প্রোফেসনাল লুকের ছবি আপলোড করবেন, অব্যশই হিরো টাইপের ব্যাকগ্রাউন্ড আলা ছবি থেকে দূরে থাকবেন।

১০। অবশ্যই দেখে শুনে প্রজেক্টে বিড করতে হবে যেহেতু এখন কানেক্ট আপনাকে ফ্রি দেওয়া হয়না। তবে নতুন আপওয়ার্ক প্রোফাইলে ২০ কানেক্ট ফ্রি দেওয়া হয়।


আজকের মতো এই ছিল আপনাদের জন্য সামান্য কিছু কথা আপওয়ার্ক প্রোফাইল নিয়ে। এছাড়াও কারো কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে সেটা আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন অথবা কনটাক্ট ফর্ম পুরণ করেও আমাদের কাছে আপনার প্রশ্ন রাখতে পারেন। আমরা আপনাদের সহযোগীতা করার জন্য সর্বদা চেষ্টা করব।

ফাইবার সম্পর্কে নতুনদের টিপস দেখতে ক্লিক করুন এখানে আরও দেখুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)