ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম ২০২৪

আমরা প্রতিদিন যানবাহনে চড়ে যাতায়াত করছি। মোটরসাইকেল, বাস বা কার। তবে আপনি যদি একটু ড্রাইভিং লাইসেন্স করেন তাহলে সেগুলো যানবাহন চালাতে পারবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া আপনি কোন গাড়ি চালালে সেটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম

লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ট্রাফিক পুলিশ  আপনার ওপর আইনগত ব্যবস্থা নেবে। তবে বর্তমান সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার অনেক সহজ। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম ২০২৩। সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

সম্পূর্ণ কনটেন্টি পড়লে ডাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে। এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সকল বিষয় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো:

    ড্রাইভিং লাইসেন্স কি? 

    বিশ্বের সকল দেশের গাড়ি চালানোর জন্য অনুমতি পত্রের প্রয়োজন পড়ে। যা সরকার কর্তৃক প্রদান করা হয়। গাড়ি চালানোর অনুমতিপত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স। ডাইভিং লাইসেন্স থাকলে আপনি যেকোনো সময় গাড়ি চালাতে পারবেন। 

    এতে করে কোন সময় ট্রাফিক পুলিশ আপনাকে আটকাবে না। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনেক প্রকারভেদ রয়েছে।

    ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত:

    মোটরসাইকেল, সিএনজি, মাইক্রো, বাস, ট্রাক ইত্যাদি চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া এসব গাড়ি চালানো আইনগত অপরাধ। এই কারণে সকল ড্রাইভারকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয়। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত রয়েছে। নিম্নে সত্যগুলো তুলে ধরা হলো:
    1. গাড়ি চালাতে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।
    2. ১৮ বছরের উপর বয়স হতে হবে।
    3. সর্বনিম্ন অষ্টম শ্রেণী পাস হতে হবে।
    4. শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে।
    5. কোন ধরনের নেশা দ্রব্য সেবন করা যাবেনা।
    6. ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।
    7. এবং লাইসেন্সের জন্য ফ্রি জমা দিতে হবে।
    8. চরিত্রবান ব্যক্তি হতে হবে।

    ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম ২০২৪:

    অনেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাই। তবে সকলে ডায়মন্ড লাইসেন্স চাইলেও করতে পারবে না। এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। নিয়ম অনুপাতে কাজ করলে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা সম্ভব। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হয়। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো:
    1. ড্রাইভিং লাইসেন্সের নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
    2. মেডিকেল ফিট ডাক্তার কর্তৃক সনদপত্র জমা দিতে হবে।
    3. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত এক কপি জমা দিতে হবে।
    4. নির্ধারিত ফ্রি জমার রশিদ দিতে হবে।
    5. পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন। (শুধুমাত্র পেশাদার লাইসেন্সের জন্য)
    6. বর্তমান তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দিতে হবে।

    brta.gov.bd ড্রাইভিং লাইসেন্স - ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয় কোন সংস্থা:

    বিশ্বের প্রতিটি দেশেই মোটর চালিত যান চালাতে হলে লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে। অনেকেই জানতে চাই, brta.gov.bd ড্রাইভিং লাইসেন্স - ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয় কোন সংস্থা। বাংলাদেশের সকল প্রকার যানবাহনের লাইসেন্স দিয়ে থাকে বিআরটিএ (brta)। বিআরটিএ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। 

    পরিবহন সম্পর্কিত সকল ধরনের আইন প্রদান করে এই প্রতিষ্ঠান। মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ সালে সংসদে পাস হয়। এটি ১৯৮৮ সালে কার্যক্রম শুরু করে। তারপর থেকে সকল ধরনের লাইসেন্স প্রদান করে বিআরটিএ।

    পেশাদার ও অপেশাদার লাইসেন্স এর মধ্যকার পার্থক্য:

    ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম ২০২৩ আলোচনা করতে গেলে কাকে জানতে হবে লাইসেন্স কত প্রকার। সাধারণত লাইসেন্স দুই প্রকার। যথা: পেশাদার লাইসেন্স ও অপেশাদার লাইসেন্স। পেশাদার ও অপেশাদার লাইসেন্স এর মধ্যেকার পার্থক্য নিম্ন আলোচনা করা হলো:

    পেশাদার লাইসেন্স:

    যে লাইসেন্স দিয়ে সকল ধরনের গাড়ি চালানোর অনুমতি থাকে সেটা পেশাদার লাইসেন্স। যারা গাড়ি  চালাতে দক্ষ তাদেরকে পেশাদার লাইসেন্স দেওয়া হয়। এই লাইসেন্স করার সময় পুলিশ তদন্ত ও মেডিকেল টেস্ট এর সনদপত্র দিতে হয়।

    অপেশাদার লাইসেন্স:

    অফিসিয়াল লাইসেন্স হলো যেসব লাইসেন্স দিয়ে শুধু নিজের গাড়ি চালানোর অনুমতি থাকে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও কার চালানোর অনুমতি থাকে। এইসব লাইসেন্স দিয়ে বাস ট্রাক চালানোর অনুমতি থাকে না। তবে অপেশাদার লাইসেন্স থেকে পেশাদার লাইসেন্স করা যায়।

    পেশাদার লাইসেন্স এর প্রকার সমূহ:

    পেশাদার লাইসেন্স এর মধ্যে প্রকারভেদ রয়েছে। কারণ, পেশাদার লাইসেন্স করলেই সকল ধরনের গাড়ি চালানোর অনুমতি পাওয়া যায় না। পেশাদার লাইসেন্স তিন প্রকার হয়ে থাকে। যথা: পেশাদার হালকা, পেশাদার মধ্যম ও পেশাদার ভারী। 

    এসব গাড়ির ওজনের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। নিম্নে পেশাদার লাইসেন্সের প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

    পেশাদার হালকা:

    যেসকল যানবাহনের ওজন ২৫০০ কেজির কম হয়ে থাকে সেসব হালকা যানবাহন। আর এইসব গাড়ি চালানোর জন্য হালকা পেশাদার লাইসেন্স হলেই চালানো যায়। পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে সর্বনিম্ন বয়স ২০ বছর হতে হয়। এসব লাইসেন্স দিয়ে কার, পিক আপ, সিএনজি চালানো যায়।

    পেশাদার মাধ্যম:

    যে সকল যানবাহনের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজির মধ্যে হয় সে সকল মধ্যম যানবাহন। এইসব যানবাহন চালাতে গেলে পেশাদার মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয়। এসব লাইসেন্স করতে ড্রাইভারের পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা লাগে। এবং সর্বনিম্ন বয়স ২৩ বছর হতে হবে। তাহলে পেশাদার মধ্যম লাইসেন্স পাওয়া যায়।

    পেশাদার ভারী:

    যে সকল যানবাহনের ওজন ৬৫০০ কেজির উপর হয় সে সকল ভারী যানবাহন। এ সকল গাড়ি সকলে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদেরকে ভারী লাইসেন্স দেয়া হয়। এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য পেশাদার মধ্যম লাইসেন্স এর বয়স সর্বনিম্ন তিন বছর হতে হয়। 

    তারপরে একজন ব্যক্তি পেশাদার ভারী  লাইসেন্স পায়। তবে এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য অনেক ধরনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।

    ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে:

    ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কিছু ডকুমেন্ট লাগে। ডকুমেন্ট ছাড়া কোনভাবেই লাইসেন্স করা সম্ভব না। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে নিম্ন তুলে ধরা হলো:
    1. ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ করতে হয়।
    2. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
    3. শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট। 
    4. নির্ধারিত টাকা জমা দেওয়ার রশিদ।
    5. রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক সনদপত্র।
    6. সদ্যতোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।
    7. পুলিশ ভেরিফিকেশন এর কাগজ। (পেশাদার লাইসেন্সের জন্য)

    অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম  ধাপ ১:

     অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন করার পর শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স টি ইস্যু হবে। এরপর এটি আপনাকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হবে। এই কাগজ দিয়ে দুই থেকে তিন মাস গাড়ি চালানো প্রশিক্ষণ করতে পারবেন। 

    এরপর আপনাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোথায় কখন লিখিত মৌখিক পরীক্ষা হবে আপনাকে এসএমএস দিয়ে জানানো হবে।

    অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম  ধাপ ২:

    অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে। কি কি কাগজের প্রয়োজন পড়ে নিম্নে তুলে ধরা হলো:
    1. আবেদন ফরম।
    2. আবেদনকারী পাসপোর্ট সাইজ ৩ কপি এবং ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি দিতে হবে
    3. রেজির্স্টর্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সনদ।
    4. জাতীয় পরিচয় পত্রের স্ক্যান কপি।
    5. বিদুৎ বিলের স্ক্যান কপি।
    6. নিধারিত ফ্রি প্রদান করতে হবে।

    অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম  ধাপ ৩:

    লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সটি অপনে তিন মাস ব্যবহার করতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে ফিল্ড টেস্ট, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা দেওয়া হবে। ফিল্ড টেস্ট, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় সফল হতে পারলেই অপনাকে লাইসেন্স দেওয়া হবে। 

    এর পরে আপনাকে স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। এই স্মার্ট কার্ড দিয়ে ৭ বছর গাড়ি চালাতে পারবেন। 

    অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম ২০২৪:

    ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম ২০২৩ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করা। ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে নতুন করে নবায়ন করতে হয়। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো:

    বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ফ্রি জমা দিতে হবে এবং নির্ধারিত সকল কাগজপত্র সহ অফিসে আবেদন করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করলে ২৪২৭ টাকা ফ্রি প্রদান করলে হবে। এটা যে সময় পার হয়ে গেলে জরিমানা সহ টাকা দিতে হবে। ১৫ দিন পর হয়ে গেলে ২৩০ টাকা জরিমানা ফি প্রদান করতে হবে।

    প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সঠিক হলে । একই দিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। অতঃপর লাইসেন্স নবায়ন সম্পূর্ণ হয়। তারপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়।

    পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম ২০২৪:

    অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মতই পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম। তবে পেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে কিছু আলাদা কাগজপত্র জমা দিতে হয়। বিশেষ করে মেডিকেল টেস্ট বা ড্রপ টেস্ট এর সনদপত্র দিতে হয়। 

    কারণ পেশাদার ড্রাইভার এর উপর অনেক মানুষের জীবন নির্ধারণ করে। এছাড়াও নতুন করে পুলিশ তদন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া সকল কিছুই অপেশাদারের মতোই। নির্দিষ্ট সময়ে সকল কাগজপত্র জমা দিতে পারলে অতি দ্রুত কাজ সম্পন্ন হয়। 

    তবে অপেশাদার এর তুলনায় পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে সময় বেশি লাগে।

    ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

    ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যেসব কাগজপত্র লাগে ঠিক ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে একই কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে। ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য প্রয়োজনে কাগজপত্র কি কি লাগে তুলে ধরা হলো:
    1. ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম পূরণ করতে হয়।
    2. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
    3. শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট। 
    4. নির্ধারিত টাকা জমা দেওয়ার রশিদ।
    5. রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক সনদপত্র।
    6. সদ্যতোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।
    7. পুলিশ ভেরিফিকেশন এর কাগজ। (পেশাদার লাইসেন্সের জন্য)

    ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম:

    সাধারণ ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায় না। বাংলাদেশের সকল ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে বিআরটিএ। তবে ইন্টারনেসনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে থাকে বাংলাদেশ অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন। চলুন জেনে নেই ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম:
    1. নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে।
    2. পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দিতে হবে।
    3. বিআরটিএ কর্তিক ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
    4. পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।
    5. আবেদন ফ্রি জমা দিতে হবে।
    এ সকল কাগজপত্র নিয়ে বাংলাদেশ অটোমোবাইল এসোসিয়েশনের কাজ চলে আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। সকাল দশটা থেকে বিকাল তিনটার মধ্যে কাগজ জমা দিতে হবে। তারপর বাংলাদেশ অটোমোবাইল এসোসিয়েশন আপনার তদন্তের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স দেবে।

    মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৪:

    বর্তমান সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল চালানো অপরাধ। বর্তমানে মোটরসাইকেল লাইসেন্স ফ্রি ২০২৩ এর অনুযায়ী ৪১৫২ টাকা। এছাড়াও আপনাকে ফরমের দাম এবং ভ্যাট বাবদ টাকা প্রদান করতে হবে।

    অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক - লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক:

    অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার দুটি পদ্ধতি রয়েছে। একটি হলো android অ্যাপস এর মাধ্যমে আরেকটি হল এসএমএস এর মাধ্যমে। দুইটি মাধ্যমের মধ্যে যেকোনো একটি দিয়েই আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্সের সম্পূর্ণ তথ্য পাবেন। নিম্নে দুইটি মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করা হলো:
     

    এসএমএসের মাধ্যমে অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক:

    ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় অনেক ধরনের দুশ্চিন্তায় থাকে। কবে ডাইভিং লাইসেন্স পাব এবং কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। চলুন জেনে নেই এসএমএস এর মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা নিয়ম সম্পর্কে। প্রথমে মোবাইল ফোনের এসএমএস অপশনে যেতে হবে।

    তারপর  DL <space> Reference no লিখে মেসেজ পাঠাতে হবে ২৬৯৬৯ নাম্বারে। এসএমএস পাঠানোর পাঁচ মিনিটের মধ্যে আপনি ফিরতে এসএমএস পাবেন। সেখানে আপনার লাইসেন্স এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাবে।

    অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর মাধ্যমে অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক:

    বর্তমান সময়ে অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে সকল ধরনের কাজ করা সম্ভব। ঠিক একই ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করা যায় android apps এর মাধ্যমে। এর জন্য আপনাকে প্লে স্টোর থেকে অ্যাপস নামাতে হবে।

    প্লে স্টোরে গিয়ে DL checker লেখে সার্চ দিতে হবে। তাহলে প্রথমে অ্যাপসটি আসবে। তারপর আপনাকে অ্যাপসটি ডাউনলোড করতে হবে। সেখান থেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সকল কিছু চেক করতে পারবে না।

    ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম:

    আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্স বিভিন্ন কারণে ট্রান্সফার করে থাকি। বেশিরভাগ সময় চাকরির কারণে আমরা অন্য জেলায় ড্রাইভিং লাইসেন্স করে থাকে। তবে অন্য জেলায় করার কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার সময় সমস্যায় পড়তে হয়। 

    এই কারণে অনেকেই লাইসেন্স নিজের জেলায় ট্রান্সফার করে থাকে। এর জন্য কিছু মাধ্যম অবলম্বন করতে হয়। প্রথমে ড্রাইভিং লাইসেন্স ট্রান্সফার ফর্ম পূরণ করতে হয়। এবং যেই জেলায় ড্রাইভিং লাইসেন্স করা হয়েছে সেখান থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিতে হয়। 

    এরপর সকল কাগজপত্র নিয়ে নিজ জেলার বিআরটিএ অফিসে কাগজপত্র জমা দিতে হয়। তারপর বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত যে কোন ব্যাংকে ২৩০ টাকা জমা দিতে হয়।  

    টাকা জমার রশিদ বিআরটিএর অফিসে জমা দিতে হয়। সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর বিআরটিএ আপনার সকল কিছু তদন্ত করবে। তারপর সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলে আপনার লাইসেন্স ট্রান্সফার হয়ে যাবে।

    ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৪:

    ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় আপনাকে অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার। অনেকেই জানতে চাই ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ২০২৩ কেমন হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা তিনটি ধাপে হয়ে থাকে। তিনটি ধার সম্পর্কে নিম্ন আলোচনা করা হলো:

    লিখিত পরীক্ষা:

    ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করার পর আপনাকে লিখিত পরীক্ষার সময় জানানো হবে। নির্দিষ্ট দিনে আপনাকে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ২০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে এর জন্য ২০ মিনিট নির্ধারিত থাকে। নির্ধারিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পাশ করতে পারলেই দ্বিতীয় ধাপে যেতে পারবেন।

    মৌখিক পরীক্ষা:

    লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষার জন্য সময় দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। মৌখিক পরীক্ষায় আপনাকে গাড়ি চালানোর বিভিন্ন নিয়ম এবং রাস্তার বিভিন্ন সংকেত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী ধাপের জন্য আপনাকে ডাকা হবে।

    ব্যবহারিক পরীক্ষা:

    ব্যবহারিক পরীক্ষা হচ্ছে গাড়ি চালানোর পরীক্ষা। আপনি গাড়ি চালাতে পারেন কিনা সেই পরীক্ষা তাদের সামনে দিতে হবে। সেখানে আপনাকে বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা দেখাতে হবে। এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে।

    ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম:

    ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করতে হয়। এর জন্য আপনাকে http://www.brta.gov.bd এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তার পরে সেখান থেকে আনোকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফরম পূরণ করতে হবে। এবং সেই ফর্ম আপনাকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হবে। এরপর আপনাকে এই ফর্ম বিআরটিএ এর অফিসে জমা দিতে।

    শেষ কথা: ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম ২০২৪

    ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো সম্পূর্ণ অপরাধ। এই কারণে সকলের উচিত ড্রাইভিং লাইসেন্স করা। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে আপনারা খুব সহজে লাইসেন্স করতে পারবেন।

    লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে রোড এক্সিডেন্ট হয়। এর ফলে নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনেরও ঝুঁকি থাকে। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ