সিপ্রোসিন এর কাজ কি, সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ

বর্তমান সময়ে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ বেড়েই চলেছে। যার কারণে মানুষের ডায়রিয়া ও কলেরা মত রোগ হচ্ছে। এইসব রোগ থেকে মুক্তির জন্য ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে হবে। ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে অ্যান্টিবায়োটিক।

সিপ্রোসিন এর কাজ কি, সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ

সিপ্রোসিন এর কাজ কি, সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ আমরা অনেকেই জানিনা। সিপ্রোসিন একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। সিপ্রোসিন পেটের ভাইরাস এবং সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। নিম্নে, সিপ্রোসিন এর কাজ কি, সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

    সিপ্রোফ্লক্সাসিন কি?

    সিনথেটিক কেমোথেরাপিউটিক এজেন্ট হল সিপ্রোফ্লক্সাসিন। জীবননাশকারি কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিরাময়ের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে সিপ্রোফ্লক্সাসিন। এটি সাধারণত পাতলা পায়খানা ও ডায়রিয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া দূর করে।‘    

    সিপ্রোসিন এর কাজ কি?

    সিপ্রোসিন একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। এটি অ্যান্টিবায়োটিকের কুইনলোন পরিবারের সদস্য। সিপ্রোসিন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রমণ রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। সিপ্রোসিন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অ্যানথ্রাক্স, gonorrhea , ব্রঙ্কাইটিস , গ্যাস্ট্রোটেনেরাইটিস, সিফিলিস এবং প্লেগ রোগ নিরাময় করতে ব্যবহার করা হয়।

    এছাড়াও সিপ্রোসিন ব্যাকটেরিয়া জাতীয় রোগের পাশাপাশি সংক্রমণ রোগ নিরাময় করতে হবে ব্যবহার করা হয়। এই অ্যান্টিবায়োটিক ত্বক, গলা, নাক, কান, সাইনাস ও মূত্রথলির সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে।

    সিপ্রোসিন সিরাপ কেন খাওয়া হয়?

    সিপ্রোসিন এর কাজ কি আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি। সংক্রমণ জাতীয় রোগ থেকে মুক্তির জন্য সিপ্রোসিন খেতে হয়। সিপ্রোসিন ওষুধ বাজারে দুই ভাবে পাওয়া যায়। ১ ট্যাবলেট ও ২ সিরাপ। সিপ্রোসিন ব্যবহার করা হয় বাচ্চাদের। কারণ সিপ্রোসিন সিরাপ ট্যাবলেট এর তুলনায় কম পাওয়ারের হয়ে থাকে।


    বাচ্চাদের বেশি পাওয়ারের ওষুধ খাওয়ালে বাচ্চা দুর্বল হয়ে পড়ে। এবং ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও বাচ্চাদের ট্যাবলেট খাওয়াতে সমস্যা হয়। এসব বিশ্লেষণ করে সিপ্রোসিন সিরাপ তৈরি করা হয়। যাতে করে বাচ্চাদের ব্যাকটেরিয়া দমন করতে সিপ্রোসিন সিরাপ ব্যবহার করা যায়।

    সিপ্রোফ্লক্সাসিন কি ধরনের সংক্রমণের চিকিৎসা করে:

    সিপ্রোফ্লক্সাসিন একটি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। এই এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের ফলে যে সব সংক্রমণ হয়, তা নিরময় করতে ব্যবহার করা হয়। সংক্রমণ গুলো হল গনোকক্কাল চিকিত্সা, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস জনিত রোগ নিরাময় করতে ব্যবহার করা হয়।

    সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ?

    সিপ্রোসিন ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ডায়রিয়া রোগের জন্য সিপ্রোসিন ব্যবহার করা হয়। ডায়রিয়া হওয়ার কারণে আমাদের পাকস্থলীতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। যেসব ব্যাকটেরিয়া সাধারণ কোনো ওষুধে দূর করা সম্ভব হয় না।

    তবে সিপ্রোসিন খেলে খুব সহজেই পেটের মধ্যে থাকা ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করে। যার ফলে ডায়রিয়া খুব সহজেই ভালো হয়ে যায়। ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে বিশেষ করে পাকস্থলীর সমস্যা হয়। পাকস্থলীর সকল সমস্যার সমাধানের জন্য সিপ্রোসিন ব্যবহার করা হয়।

    সিপ্রোসিন ২৫০ এর কাজ কি?

    সিপ্রোসিন একটি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। এই ওষুধ সিরাপ এবং ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়। ট্যাবলেট দুই ধরনের হয়ে থাকে। ২৫০ এমজি এবং ৫০০ এমজি। যদি রোগীর বয়স ১৬ বছরের কম হয়ে থাকে তাহলে সিপ্রোসিন ২৫০ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

    কারণ ১৬ বছরের কম বয়সী মানুষ ৫০০ এমজি ওষুধ খেলে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সবদিক বিবেচনা করে ২৫০ এমজি সিপ্রোসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অ্যান্টিবায়োটিক সবসময় কম পাওয়ারে খাওয়া উত্তম। এতে করে শরীর ভালো থাকে।

    সিপ্রোসিন খাওয়ার নিয়ম:

    সিপ্রোসিন ওষুধ ব্যবহার করা হয় ব্যাকটেরিয়া দমন করতে। সিপ্রোসিন এর কাজ কি এবং সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ ইতিপূর্বে জেনেছি। সিপ্রোসিন একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। যার জন্য এই ওষুধ খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। এই ওষুধ সকল এবং বিকাল খেতে হয়। 

    ১২ ঘণ্টা পর অথবা ২৪ ঘণ্টা পর পর এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হয়। এছাড়াও এন্টিবায়োটিক পাঁচ দিন, সাত দিন, অথবা নয় দিন এইভাবে ডোজ করে খেতে হয়। সিপ্রোসিন খাওয়ার নিয়ম ঠিক একই। হয় ১২ ঘন্টা পর পর না হয় ২৪ ঘন্টা পর পর খেতে হবে। সর্বনিম্ন ৫ দিন খেতে হবে।


    তা না হলে ব্যাকটেরিয়ার জীবাণু শরীরে রয়ে যাবে। যা পরবর্তীতে আরো শক্তিশালী হয়ে শরীরে আক্রমণ করবে। যার ফলে আগের অসুবিধা আর কাজ করবে না। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। এ কারণে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ডোজ কমপ্লিট করে খেতে হবে।

    সিপ্রোসিন কত দিন খেতে হয়?

    সিপ্রোসিন একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। অ্যান্টিবায়োটিক হওয়ার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। বিশেষ করে ১২ ঘন্টা পরপর খেতে হয়। সিপ্রোসিন কত দিন খেতে হয় আমাদের অনেকেরই জানা নেই। সিপ্রোসিন ঔষধ সর্বনিম্ন ৩ দিন। তিন দিনের মধ্যে অসুখ ভালো না হলে পাঁচ দিন খেতে হবে। 

    এবং পাঁচ দিনের মধ্যে ভালো না হলে সাত দিন খেতে হবে। এইভাবে ডোজ মেন্টেন করে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হয়। রোগ সম্পূর্ণভাবে ভালো না হলে সিপ্রোসিন খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। এতে করে রোগী পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়বে। এবং খুব সহজে অসুখ ভালো করা সম্ভব হবে না।

    সিপ্রোসিন সিরাপ এর কাজ কি?

    সিপ্রোসিন সিরাপ এর কাজ কি অনেকেই জানতে চায়। সিপ্রোসিন সিরাপ এবং ট্যাবলেট একই কাজ করে। সিরাপ সাধারণত বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হয়। সিরাপ খুব সহজে বাচ্চাদের খাওয়ানো যায়। এবং
    সিরাপ ট্যাবলেটের তুলনায় একটু কম কড়া হয়ে থাকে। যার জন্য বাচ্চারা সতেজ থাকে।

    সিপ্রোসিন সিরাপ বাচ্চাদের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ থেকে রক্ষা করে। মৌসুমী এলার্জিক রাইনাইটিস, ঠান্ডা ছুলি, লিভার রোগ, যকৃতের ডিসঅর্ডারস, আগম অ্যালার্জি, খাবার কারণে অ্যালার্জিক চোখ উঠা এসব নিরাময় করতে সিপ্রোসিন সিরাপ খুব ভালো কাজ করে।

    সিপ্রোসিন ভেট কি কাজ করে:

    পশু পাখির জন্য ভেট ওষুধ ব্যবহার করা হয়। মানুষের মত গবাদি পশুও ব্যাকটেরিয়ায় আক্রমণ হয়ে থাকে। যার ফলে গবাদি পশুর পাতলা পায়খানা ও হয়ে থাকে। গবাদি পশুর ব্যাকটেরিয়া দূর করার জন্য সিপ্রোসিন ভেট ব্যবহার করা হয়। সিপ্রোসিন ভেট শুধুমাত্র গবাদি পশু পাখির জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে।

    সিপ্রোসিন এর দাম কত?

    বর্তমান সময়ে ওষুধের দাম বেড়েই চলেছে। ঠিক একইভাবে সিপ্রোসিন ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিপ্রোসিন ৫০০ এমজি খুরসা মূল্য ১৬ টাকা ( ১ টি ট্যাবলেট)। ১ পাতা সিপ্রোসিন (১০টি ট্যাবলেট) সিপ্রোসিন ৫০০এমজি এর দাম ১৫০ টাকা। তবে সময়ের ব্যবধানে দাম কম বেশি হয়ে থাকে।

    শেষ কথা: সিপ্রোসিন এর কাজ কি, সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ

    বর্তমান সময়ের মানুষ ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ হচ্ছে। ব্যাকটেরিয়ার সাধারণত খাবারের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। যার ফলে পেটের সমস্যা হয়ে থাকে। পেটের সমস্যা হলে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করতে হয়। পেটের সমস্যা জন্য সবচেয়ে ভালো অ্যান্টিবায়োটিক হচ্ছে সিপ্রোসিন।

    সঠিক নিয়মে সিপ্রোসিন খেলে খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যায়। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ