স্মার্টফোন চার্জে দেবার ৮ টি সুপার টিপস


স্মার্টফোন আমাদের প্রতিদিনের পথচলার একধরনের সঙ্গী। কারন এই ফোন ছাড়া বর্তমানে আমাদের যোগাযোগ রক্ষা করা বা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে দিনে দিনে। তবে আজকের বিষয়টি ফোন নিয়ে না। আজকে আমরা কথা বলবো আমাদের এই শখের মোবাইল ফোনে চার্জ দেবার বিষয়টি  নিয়ে। কারণ এই চার্জিং এর ভুলের জন্যেই আমাদের সখের ফোনটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে খুব অল্প সময়ের ভেতরে।

আমরা অনে্কেই শুধু ফোন ব্যবহার করেই থাকে কিন্তু যেভাবে কেয়ার করার প্রয়োজন আমরা ঠিকমতো তা করে থাকিনা। আর এইসব অবহেলার জন্যেই আমাদের ফোন গুলো মূলত নষ্ট হয়ে থাকে, এইসব এর ভেতরে ভুল চার্জের কারণে স্মার্টফোনের কার্যকারীতা নষ্ট হয়ে থাকে অনেক তাড়াতাড়ি।

চলুন তাহলে জেনে নেই আজকে ৮  টি সুপার টিপস, যেসব ভুলের কারনে দিনে দিনে আপনার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফোনের কার্যকারীতাঃ


১। আপনার মোবাইল ফোন যখন ফুল চার্জ হয়ে যাবে, ঠিক তখনই চার্জারটি খুলে রাখতে হবে। কারণ আমাদের বেশির ভাগ মোবাইল ফোনেরই অভার চার্জ প্রোটেক্ট করার ক্ষমতা থাকেনা।

২। আপনি যদি চার্জ ফুল হওয়ার পরেও মোবাইল থেকে চার্জারটি খুলে না রাখেন তাহলে অভার চার্জের কারণে আপনার ফোনের ব্যাটারির কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে, এমনকি মোবাইলের হার্ডওয়্যারেরো বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে সময়ের সাথে সাথে। অনেকে আবার রাতে চার্জে দিয়ে সকালে চার্জারটি ডিস্কানেক্ট করেন যা চরম পর্যায়ের একটা ভুল সিদ্ধান্ত।

৩। ফোনের চার্জ মিনিমায় ২০ থেকে ৮০ ভাগে রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ এখনকার বেশির ভাগ ফোনের ব্যাটারি গুলো লিথিয়াম পলিমার এবং লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। আর এই ব্যাটারি গুলো একটি নিদির্ষ্ট পরিমান পর্যন্ত রিসাইকেল হতে পারে, কোন কোন ফোনে ৪০০ বারের মতো আবার কোন কোন ফোনে ৬০০ বারের মতো। আর এই সংখ্যাটা শেষ হয়ে যাবার পরে ধীরে ধীরে ফোন দুর্বল হতে থাকে। আর ফোনে ২০ থেকে ৮০ ভাগ চার্জ রাখলে এই সংখ্যাটা শেষ হতে পারেনা। আরেকটা মজার বেপার হলো আপনার ফোনের কিন্তু একটা মেমোরি আছে যেটা এই রিসাইকেলটাকে মনে রাখে যে আপনি কতোবার চার্জ করলেন এবং ডিসচার্জ করলেন। 

তাই সবসময় ফোনের চার্জিং লেভেল ২০ থেকে ৮০ ভাগ রাখার চেষ্টা করবেন। তবে ফোন কেনার পরে কিন্তু অবশ্যই ১০০ ভাগ চার্জ নিশ্চিত করতে হবে।

৪. আপনারা দয়া করে গনহারে পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে মোবাইল চার্জ করবেন না। নিয়মিত পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারের ফলে ফোনের কার্যকারীতা নষ্ট হয়ে যায়। 

৫। অবশ্যই এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি মোবাইলের অরিজিনাল চার্জারেই আপনার সখের ফোনটি চার্জ করছেন, এছাড়া বুঝতেই পারছেন যে সস্তা চার্জার ব্যবহারে কি পরিমান ক্ষতির মুখে পড়বেন আপনিও। কারণ অরিজিনাল চার্জারটিই শুধু আপনার ফোনের চার্জ ধারণ ক্ষমতার উপর নিশ্চিত করেই কিন্তু তৈরী করা হয়ে থাকে।

৬। যদি সম্ভব হয় তাহলে অন্তত প্রতি ৩ মাস পর পর আপনার ফোনের চার্জ  শুন্য থেকে আবার ফুল চার্জ করুন। এটা আপনার ফোনের ব্যাটারিকে দীর্ঘস্থায়ী করবে।

৭। এটি আপনার জন্য অনেক কঠিন একটি কাজ যা ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজেও করতে পারিনা, তবে মেনে চললে অবশ্যই উপকারিত হবেন। বিষয়টি হচ্ছে যে ফোনে চার্জ দেবার সময় ফোনের কাভারটি খুলে রাখুন। কারণ চার্জিং এর সময় ফোনের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত তাপমাত্রার জন্যে ধীরে ধীরে আপনার ফোনের যন্ত্রাংশ গুলো ডেমেজ হতে থাকে।

৮। অধিকাংশ মানুষেই এই ভুলটি জেনে শুনেই করে থাকেন, যা করা মোটেও আমাদের ফোনের ভালোর জন্যে সমীচীন নয়। সেটি হচ্ছে ফোনের চার্জিং এর সময় ফোন টিপাটিপি না করা। এটি ফোনের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর একটি বিষয়।


অশচেতনতার জন্যেই আমাদের ফোনের ব্যাটারি ধীরে ধীরে ডেমেজ হতে থাকে।  আপনারা জানেন পাপী যেমন সাত ঘর নিয়ে মরে , ঠিক তেমনি ফোনের ব্যাটারি ডেমেজ হয়ে যাবার আগে ফোনের প্রোসেসর, জিপিউ, র‍্যাম, রম, ফোনের ব্রাইটনেস ইত্যাদি যা যা আছে সমস্ত কিছু দুর্বল করার পরে ধীরে ধীরে মরে। তাই সুরক্ষার বেপারে সচেতন হয়ে যাওয়াটাই আমাদের জন্যে শ্রেয়। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)