যেভাবে হবেন একজন ওয়েব ডেভেলপার



যেভাবে হবেন একজন ওয়েব ডেভেলপার পুরো পোস্টটি পড়লেই বুঝে যাবেন।


বর্তমানে অনলাইনে এখন এত বেশি রিসোর্স আছে যে আপনি শেষ করতে পারবেন না। যেটা হয়তো কোনো ট্রেইনিং সেন্টারের থেকেও অনেক ভালো ।তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একটা বিষয় মেনে চলতে হবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি কিন্তু আপনার নিজের শিক্ষক তখন। অন্যের গাইডলাইনে শেখা এবং নিজে নিজে শেখা সম্পূর্ণ আলাদা। আপনাকে একটা সিলেবাস মেনে চলতে হবে এবং নিয়মিত ছোট ছোট প্রজেক্ট করে প্রাকটিস করতে হবে।
.
আমরা অনেকেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং মানে শুধুই প্রোগ্রামিং করা আর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কেই বুঝি। কিন্তু এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং শুধুমাত্র প্রোগ্রামিং করাই নয় । আগে Web developer and Software developer মধ্যে পার্থক্য করা হতো। যে ওয়েব অ্যাপ বানায় তাকে Web developer আর যে সফটওয়্যার(ডেস্কটপ অ্যাপ) বানায় সে Software developer।

কিন্তু মূলত Web development, Software development এর মধ্যে পড়ে। অনেক প্রোগ্রামিং জ্ঞান প্রয়োজন হয় ওয়েব এর (back-end) এ কাজ করার জন্য। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা এখন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করছে। যেমনঃ google এ সফটওয়্যার engineer appoint করা হচ্ছে ওয়েব অ্যাপ বানানোর জন্য।
.
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কে ছোট করে দেখার কিছুই নাই। বর্তমান যুগে দক্ষ ওয়েব ডেভেলপারের চাহিদা প্রচুর। একজন দক্ষ ডেভেলপার হতে হবে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। আর তার জন্য ওয়েব সাইট সম্পর্কে ধারণা, কোন কোন বিষয় শিখতে হবে, কোন স্টেপ শেখার পর কোন স্টেপে যেতে হবে এ বিষয় জানতে হবে।

ওয়েবসাইটের ফ্রন্ট এন্ড ও ব্যাক এন্ডের কাজ আপনাকে জানতে হবে। ফ্রন্টএন্ড মানে ওয়েবসাইটের বাহ্যিক অবয়ব। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের বাহ্যিক অবয়বের ক্ষেত্রে কাঠামো ঠিক রাখার কাজ। অপরদিকে ব্যাকএন্ড-এর ক্ষেত্রে সাধারণত সার্ভার, অ্যাপ্লিকেশন ও ডাটাবেজ – এই তিনটি বিষয় নিয়ে কাজ করা লাগে।

সার্ভারে সাধারণত ডাটাবেজ থাকে যেই ডাটাবেজে আপনার সব তথ্যগুলো জমা করা থাকে। ফ্রন্টএন্ড ও ব্যাকএন্ড দুই ধরনের কাজই একসাথে যারা করে তারা ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার। ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার হিসেবে ওয়েবসাইটের তথ্য ইনপুট বা প্রবেশসহ সার্ভারের কাজ ও অ্যাপ্লিকেশনের কাজ করতে হয় এবং একইসাথে ওয়েব ডিজাইনের কাজও করতে হয়।

ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার হতে হলে যে ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

১। ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশনের কাজ জানতে হবে আপনাকে। এক্ষেত্রে সফটওয়্যার বিষয়ে আপনার সম্যক ধারণা থাকতে হবে।

২। html5, css, css3, wordpress, ajax থেকে শুরু করে php, laravel, api json, react js সহ সব ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশনের কাজ জানতে হবে। এক্ষেত্রে পাইথন, রুবি, জাভা, ডটনেট – এই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজগুলো উল্লেখযোগ্য।

৩। Frontend & Backend এর কাজ করার ক্ষেত্রে সম্যক ধারণা থাকতে হবে এবং নতুন জ্ঞান আহরণের জন্য নিয়মিত ইন্টারনেটে খোঁজ রাখতে হবে নতুন কিছু করার জন্য। এক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনের জন্য ফ্রন্টএন্ড ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যাকএন্ড – উভয় ক্ষেত্রেই গভীর ধারণা থাকতে হবে আপনার।

৪। সৃষ্টিশীল হওয়া জরুরী। ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনার সৃষ্টিশীলতা এবং অ্যাপ্লিকেশন ও কোডিং দক্ষতার পরিচয় দিতে পারলে পরবর্তীতে ক্যারিয়ারে অগ্রগতির জন্য তা সুবিধাজনক হয়।

৫। জেড, ইজেএস, জিনজার মত সার্ভিং সাইড ল্যাঙ্গুয়েজগুলো নিয়ে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।

৬। কোডিং বিষয়ে যথার্থ ধারণা থাকতে হবে, যাতে করে যেকোন সমস্যা দেখেই সমাধানের আইডিয়া খুজে বের করা সহজ হয়।

৭। এছাড়াও গিট, মারকিউরিয়াল অথবা এসভিএন-এর মত কোড ভার্শনিং টুল নিয়ে জানতে হবে। এতে করে আপনার কোডিং স্কিল গুলো আরও বেশি শক্তিশালী হবে।


কিভাবে শুরু করবো.?

১। এইচটিএমএল এবং সিএসএস ( Html & Css ):

ওয়েব ডেভেলপার হিসাবে, আপনাকে কোডিং এবং মার্কআপ ভাষার বুনিয়াদি বুঝতে হবে। আপনি CSS ছাড়া HTML লিখতে পারবেন না। ক্যাসকেডিং স্টাইল শীট (CSS) একটি মার্কআপ ভাষাতে লেখা নথির ব্যাখ্যা করে। তারা HTML ভাষার আরো শৈলী উপস্থাপন করে থাকে।
CSS বর্ণনা করে কিভাবে HTML ডকুমেন্টটি একটি ওয়েবসাইটের মত দৃশ্যমান হবে। এটি একটি ওয়েবসাইটের ফন্ট, রং এবং সামগ্রিক বিন্যাসে ভিত্তি তৈরি করে দেয়।
এভাবে চিন্তা করুন: HTML একটি ওয়েবসাইটের কঙ্কাল তৈরি করে। CSS ওয়েবসাইটকে তার শৈলী এবং চেহারা দেয়। এই দুটোই মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ, কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নয়। এ দুটো ল্যাংগুয়েজ দিয়ে আপনি একটি স্ট্যাটিক ওয়েব সাইট তৈরি করতে পারবেন।

২। রেস্পন্সিভ ডিজাইন ( Responsive Design ):

বর্তমানে নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় বায়ার চায় যেন তার ওয়েবসাইটটি যাতে মোবাইল ডিভাইস এ সুন্দর ভাবে প্রদর্শিত হয়। ভিসিটর যদি আপনার লেখা / ইমেজ পরে বা বুঝতে না পারে তাহলে তারা সাইটে বেশিক্ষন অবস্তান করে না। যার ফলে ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেট বেড়ে যায় এবং সার্চ ইঞ্জিন এ  রাঙ্কিং হারাতে পারে আপনার সাইট। তাই ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট করার সময় আমাদের কে বিভিন্ন ডিভাইস এর রেজুলেশন এর উপর ভিত্তি করে করতে হবে। মূল কথা হলো আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েব এপ্লিকেশন ডেস্কটপ কম্পিউটারের মত মোবাইল ডিভাইসেও যেন ঠিকমত দেখায় আর কাজ করে, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। এটিই রেস্পন্সিভ ডিজাইনের আলোচনার বিষয়বস্তু।

৩। জাভাস্ক্রিপ্ট ( Javascript )

Javascript Language শিখলে আপনি একটি আকর্ষনীয় ও দৃষ্টি নন্দন ওয়েব সাইট তৈরি করতে পারবেন।
জাভাস্ক্রিপ্ট(JavaScript) একটি উচ্চ স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি ওয়েবসাইটগুলিকে আরো ইন্টারেক্টিভ এবং কার্যকর করে তোলে।
জাভাস্ক্রিপ্ট আপনাকে ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের জন্য একটি ভাল অভিজ্ঞতা তৈরি করার অনুমতি দেবে।

তাহলে আর দেরি কেন উপরের দেখানো পদ্ধতি গুলো থেকে যা জানলেন সেগুলো নিজে থেকে এপ্লাই করার চেষ্টা করুন এবং নিজেকে একজন দক্ষ ডেভেলপার হিসাবে প্রকাশ করুন। আর ভবিষ্যতে এধরনের আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এবং টুইটার অফিশিয়াল পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন। 

কিভাবে একজন ওয়েব ডিজাইনার হবেন জানতে ক্লিক করুন এখানে আরও দেখুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ