Fiverr গিগ ইমেজ তৈরির কৌশল সমূহ


Fiverr গিগ ইমেজ তৈরির ক্ষেত্রে কি করবেন আর কি করবেন না???

গিগ ইমেজ কতটা গুরুত্ব পূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একটি আকর্ষণীও গিগ ইমেজ আপনাকে বায়ার/ক্লায়েন্ট পেতে অনেক সহযোগিতা করবে। আমি একটি উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাপারটি সহজ করে দিচ্ছি- ধরুন আপনি youtube এ ঢুকলেন কোন কিছু দেখার জন্যে। এখন আপনি সেই thumbnail এ ক্লিক করবেন যেই thumbnail এর টাইটেল এবং ইমেজ আপনার ভালো লাগবে । টাইটেলটি এমন হতে পারে যে, দেখুন মাশরাফি কি করলো সাংবাদিকের সাথে। এর সাথেই ইমেজে মাশরাফির সাথেই এক সাংবাদিকের ইমেজ জুড়ে দেয়া। স্বভাবতই আপনি ওই thumbnail এ ক্লিক করবেন। 

এছাড়াও আপনি নিজে যখন রিসার্চের  জন্য অন্য কারো গিগ দেখেন তখন কি দেখে একটা গিগে প্রবেশ করেন? নিশ্চয়ই টাইটেল এবং ইমেজ। ঠিক একইভাবে বায়ার/ ক্লায়েন্ট আপনার গিগ ইমেজ দেখে আকর্ষিত হয়ে গিগে প্রবেশ করবে। ভাগ্য ভালো থাকলে অর্ডারও পেয়ে যেতে পারেন।

Fiverr গিগ ইমেজ তৈরির ক্ষেত্রে ১০ টি গুরুত্তপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

Quality-  গিগের ইমেজ কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো হতে হবে। অর্থাৎ কোন রকম pixelated image use করা যাবে নাহ। অনেককেই দেখা যায় গিগের ইমেজ কোয়ালিটির দিকে নজর রাখেন না। এতে করে যেটা হয়, বায়ার আপনার সার্ভিস এর ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করতে পারে। তাই সতর্কতার সাথে ইমেজের ভালো কোয়ালিটি রাখুন।

Copyrights-  কপিরাইট ইমেজ অর্থাৎ stock image use করবেন না। ফাইভার terms & condition এ copyright ব্যাপারটি খুব মোটা দাগে বলা আছে। এমনকি copyright image use করার ফলে একাউন্ট ব্যান হতে পারে। সাবধান!

Clickbait- clickbait বলে বোঝায় যে- ইমেজের মাঝে কোন ক্লিক সিম্বল/আইকন। এই ধরেনের clickbait simble use করা যাবে না।

Badges- আপনি ফাইভারে কত নম্বর সেলার এটা ব্যাজ হিসেবে গিগ ইমেজে ব্যাবহার করা যাবে না। আপনি ফাইভারে কোন পজিশনে রয়েছেন এটা বায়ার আপনার প্রোফাইলে প্রবেশ করলেই দেখতে পায়। তাই গিগ ইমেজে এই ধরনের ব্যাজ কখনই ব্যাবহার করা উচিত না।

Avoid over-text- চেষ্টা করবেন গিগ ইমেজ যতটুকু ক্লিন রাখা যায়। অনেককেই দেখা যায় ইমেজের মাঝে অনেক টেক্সট এর ব্যাবহার করেন। যার কারনে বায়ার কনফিউসড হয়ে যায় অনেক সময়। তাছাড়া গিগের ইম্প্রেশন ভালো হয় না এতে।

Density- একটি গিগ ইমেজে অতিরিক্ত কনটেন্ট ব্যাবহার করবেন না। যেমন ধরুন, আপনি লোগো ডিজাইন নিয়ে কাজ করেন। গিগ ইমেজে ইউনিক একটি লোগো ব্যাবহার করুন। একটি ইমেজে ৪-৫ টা লোগো যুক্ত করবেন না। মুল কথা যতটুকু যায়গা খালি রেখে মিনিমাল ইমেজ তৈরি করা যায় ততটুকুই ভালো।

Proportions- use the right proportions. অর্থাৎ  ইমেজের সঠিক অনুপাত ঠিক রাখুন। এজন্য অবশ্যই ইমেজ সাইজ 690 pixel x 426 pixel হতে হবে। এই রেশিও মেইন্টেইন করে গিগ ইমেজ তৈরি করুন।
Don’t reuse image- আপনার যদি একাধিক গিগ থাকে তাহলে একই ইমেজ প্রতিটা গিগে ব্যাবহার করবেন না।

Show your real face- ইমেজে যদি আপনি আপনার নিজের ছবি যুক্ত করতে চান তাহলে আপ্ন্র রিয়েল এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ইমেজ ব্যাবহার করুন। ধরুন আপনার টাইটেলটি এমনঃ “I will do professional work for you” এই ধরনের টাইটেলে সাথে গিগ ইমেজে আপনি আপনার ভালমানের একটি ছবি যুক্ত করতে পারেন। এতে বায়ার আকৃষ্ট হতে পারে।

Avoid Irrelevant Images- আপনার সার্ভিসের সাথে যায় এমন ইমেজ ব্যাবহার করুন। ধরুন আপনি দিচ্ছেন Degital marketing এর সার্ভিস কিন্তু ইমেজে ব্যাবহার করেছেন লোগোর আইকন। এই ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।

How to Optimize image SEO?

সবকিছু ঠিকঠাক রেখে ইমেজ তৈরিতো করলেন। এখন image SEO করার দরকার নাহ ? ভাবছেন সেটা আবার কিভাবে? বলছি!

Image SEO করলে কি হবে?

Image SEO করলে গিগটি Buyer friendly হবে। যখন বায়ার তার কোন সার্ভিস ক্রয়ের জন্য search box এ ফ্রিলেন্সার খুজবে তখন হতে পারে ওই পেইজে আপনার গিগটি থাকতে পারে। আমি আগেই বলেছি কাজ পেতে হলে কোন সুযোগই হাত ছাড়া কড়া যাবে না। চেষ্টা করতে দোষ কি বলুন! অর্থাৎ image এর ভিতর keyword input করাটাই হচ্ছে Image SEO।


কিভাবে করবো Image SEO?

আপনি keyword research করে একটি নোট প্যাডে বা microsoft word এ save করে রাখতে পারেন। তারপর ইমেজ সাইজ ঠিক রেখে (690 px x 426) Photoshop option bar > File> File info তারপর একটি Box আসবে। সেখানে যা যা করতে হবে- Document title- এখানে আপনি আপনার নাম অথবা আপনার গিগ টাইটেল টি লিখতে পারেন।

Author- এখানে চাইলে আপনি আপনার নাম লিখতে পারেন।
Description- আপনার গিগের description যা দিয়েছেন চাইলে এখানে add করতে পারেন। It’s up to you.
Rating- 5-star rating দিবেন।

Keyword- আপনি যে Keyword গুলো research করে note pad এ  save করেছিলেন সেগুলো এখানে যুক্ত করুন। তারপরে ok press করুন। ব্যাস হয়ে গেলো আপনার Image SEO।

Keywords research link:

https://lsigraph.com
https://kwfinder.com
https://keywordtool.io

এই ওয়েবসাইট গুলো থেকে Keywords research করতে পারেন। এই ছিলো ইমেজের ১০টি গুরুত্তপূর্ণ বিষয় এবং ইমেজ এসইও। এভাবে ফলো করে গিগ ইমেজ তৈরি করতে পারলে আশা করা যায় ভালো রেসপন্স পাবেন।

যদি একজন সফল Freelancer হতে চান তাহলে অবশ্যই ধৈর্য ধরে step by step আপনাকে আগাতে হবে। জীবনে সফল হওয়ার কোন শর্টকাট নাই। শর্টকাট আছে কিবোর্ডে ctrl+ c > ctrl+v. আর আপনি কিবোর্ড না আপনি সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। তাই চেষ্টা চালিয়ে যান। সফলতা আপনার দরজায় এসে কড়া নাড়বে।

নতুনদের জন্যে ফাইবারের টিপস দেখতে ক্লিক করুন এখানে আরও দেখুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)