নবজাতক শিশুর যত্ন এবং শিশুর জন্মের পরে ভারনিক্স কি কি কাজ করে?

vernix নবজাতক শিশুর যত্ন

ভারনিক্স (vernix) কি এবং যেভাবে নবজাতক শিশুর যত্ন নিবেন?

বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পরে প্রায় সকল বাচ্চার শরীরে যে সাদা ময়লার মত পদার্থ দেখা যায় সেটাকে "ভারনিক্স (vernix) "বলে।  "ভারনিক্স " নামের পদার্থটি প্রায় সকল বাচ্চার শরীরেই  দেখা যায়। কোন কোন বাচ্চা শরীরে এত ভারনিক্স নিয়ে জন্মগ্রহণ করে আবার কোন কোন বাচ্চা একেবারে পরিষ্কার থাকে।

একটি বাচ্চার জন্মের পর থেকে ২৮দিন পর্যন্ত সময়কালকে নবজাতক পিরিয়ড হিসাবে ধরা হয় ৷ এই নবজাতক পিরিয়ডের সময়টি আপনার এবং আপনার শিশু উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৷ ভালবাসা আর আদরের মাঝে তার সুস্থ-সুন্দর  থাকা নিশ্চিত করতে এবং নিরাপদ রাখতে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার কোন বিকল্প নেই , এই সময় নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে ত্রুটি করা যাবেনা।

নবজাতক বাচ্চাটির নাজুক কোমল শরীর  খুব সহজেই বিভিন্ন রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে ৷ এছাড়া কাঁচা নাভির মাধ্যমে সামান্য অপরিচ্ছন্নতায় ইনফেকশনও হয়ে যেতে পারে, তাই এই সময় সুরক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে আপনার নবজাতকের জন্যে ৷     

জন্মের পরে নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে কি ভারনিক্স মুছে ফেলা উচিত?

আপনার বাচ্চা যদি কোন হাসপাতালে বা ক্লিনিকে জন্ম গ্রহন  করে! সেই নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। Operation Theatre এই শিশুর গা মুছিয়ে তাকে নরম কাপড়ে মুড়িয়ে দেয়া হয়  এবং পরিষ্কার নরম শুকনো কাপড়ে মুছে শিশুর মাথাসহ সমস্ত শরীর শুকানো হয় ৷ এক টুকরা বড় পরিষ্কার কাপড়ে শিশুকে জড়িয়ে নিয়ে প্রথমে মাথা তারপর গলা , কাঁধ, বুক ও পেট মুছতে হয় ৷ এরপর পিঠ ও কোমর থেকে পায়ের পাতা অবধি ৷ নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে তাকে মোছা হলে কাপড়টি ফেলে অন্য আরেকটি নরম কাপড়ে মাথাসহ সমস্ত শরীর (মুখমন্ডল বাদে) জড়িয়ে নিন আপনার শিশুকে ।

প্রত্যকটি শিশু জন্মের সময় তার ত্বকে একটি প্রাকৃতিক সুরক্ষা-প্রাচীর নিয়ে জন্মায় ৷ এটা হলো এমিওনিটিক ফ্লুইড ৷ এর ওপর ভারনিক্স ক্যাসোসা নামে আরেকটি লেয়ার থাকে ৷ এই পাতলা সাদাটে আবরনটি শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ৷ ছয়-সাতদিনের মধ্যে এটি আপনা আপনি পরিষ্কার হয়ে যায় ৷ কিন্তু ভুলেও ঘষে মেজে এটি তুলতে যাবেন না ৷

আপনার ছোট্ট বাবুর ছোট্ট শরীরকে অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে রাখতে চাইলে তার শারীরিক পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। এই ভারনিক্স টা সম্পর্কে অনেকে অবগত নয়। বাচ্চাকে মুছে যখন অভিভাবকদের কাছে দেওয়া হয় তখন শরীরে ভারনিক্স থাকলে তারা ভাবেন বাচ্চাকে ক্লিয়ারলি ক্লিন করা হয়নি বা নিজেরাই মুছতে বসে যান। আল্লাহর সৃষ্টির সবকিছুর পিছনেই গভীর রহস্য লুকায়িত আছে, তাঁর অসীম জ্ঞান বুঝার ক্ষমতা আমাদের কারোরি নেই! 

সদ্যজাত শিশুর শরীরে ভারনিক্স নামের এক ধরণের তেল জাতীয় পদার্থ থাকে যা মায়ের গর্ভে থাকাকালীন তরল পদার্থ থেকে শিশুর ত্বককে রক্ষা করে। এটি অ্যান্টিবডির মত শিশুর রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। জন্মের পর পরই শিশুকে পরিষ্কার বা মোছার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ভারনিক্স ওঠে না যায়। 

WHO এর মতে শিশুর শরীরে ভারনিক্স (vernix) কমপক্ষে ৬ ঘন্টা রাখা এবং সবচেয়ে ভালো হয় ২৪ ঘন্টা রাখলে এতে করে তার শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে যায়। তাই যারা ভারনিক্স মুছে ফেলে তারা নিজেদের অজান্তেই অনেক বড় ভুল করে ফেলেন।

নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে জন্মের পরের পরিচর্যাসমূহঃ

জন্মের পরে একটি নবজাতকের শরীরের পুরোটাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি তবে কয়েকটি বিশেষ অঙ্গের আলাদা যত্ন প্রয়োজন ৷ যেমন নাভি, দুপায়ের ফাঁক, চোখ, নাক ,কান ,নখ এবং জিহ্বা ইত্যাদি৷

আর একটি বাচ্চা জন্মের পর থেকেই তাকে জীবাণু সংক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিচের ১২টি টিপস ফলো করে চলুন, তাহলে আশা করছি আপনার নবজাতককে রোগ জীবানু সহজে ঘায়েল করতে পারবে না।

১। হাত পরিষ্কার করে নিন নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে

আপনি যখন শিশুর সংস্পর্শে আসবেন ঠিক সেই সময় আসার আগে নিজের হাতটি সবসময় ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন ৷ এছাড়াও আপনি চাইলে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ অথবা ইন্সট্যান্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

শিশুকে যদি কেউ কোলে নিতে চাই তাহলে কোলে নেবার আগে তার হাত ধুয়ে নিতে বলুন ৷ এছাড়া শিশুকে পরিষ্কার করার আগে নিজের হাতটি ধুয়ে তবেই স্পর্শ করুন শিশুকে ৷

আরেকটি বিষয়ে খেয়াল রাখুন নিজের হাত ধুয়ে নিন শিশুর ডায়াপার বা প্রস্রাব-পায়খানা করা কাপড়-কাঁথা পাল্টাবার পরেও৷ এতে করে আপনি নিজের এবং আপনার সেই নবজাতকের সুরক্ষা নিশ্চিত করলেন ঠিক সেই ভারনিক্স এর মতো করে।

২। নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে Umbilical cord বা নাভি পরিষ্কার করা

একটি শিশুর জন্মের পরপরই প্লাসেন্টা থেকে কাটা হয় এবং নাভি কাটার পর ডাক্তাররা তা ক্ল্যাম্প করে বা পেঁচিয়ে ক্লিপের মত প্লাস্টিক বা মেটালের কর্ড ক্ল্যাম্প বা টেইপ লাগিয়ে দেন ৷ এতে নাভিতে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয় আর ইনফেকশনের সম্ভাবনা কমে আসে ৷

আপনার নবজাতকের নাভি সবসময় শুষ্ক রাখুন ৷ কেননা আপনি এটিকে যত বেশি শুষ্ক রাখবেন তত দ্রুত নাভি শুকিয়ে ঝরে যাবে ৷ এজন্য নাভিকে তেল, সাবান, লোশন , পানি থেকে দূরে রাখুন ।  তবে কখনো কখনো ডাক্তাররা নাভিতে আলকোহল দিয়ে মুছে দিতে বলেন ৷ একটি তুলোর বলে বা কটন বাডে এলকোহল লাগিয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে নাভি পরিষ্কার করুন ৷

হয়তো সঠিকভাবেই শুকাচ্ছে কিন্তু তারপরও কখনো কখনো নাভি থেকে বাচ্চার কাপড়ে হলদে দাগ পড়তে পারে ৷ বদলে দিন কাপড় আর ধুয়ে নিন। সাধারণত সাত থেকে চোদ্দ দিনের মধ্যে নাভি শুকিয়ে নিজে থেকেই এটি ঝরে যায় ৷

৩।  নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে নখ কাটবেন যেভাবে

একটি শিশু জন্মের পরে বা বাচ্চাদের জন্মের নখ খুব দ্রুত বাড়ে ৷ নবজাতকের নখের আঘাতে ওর ত্বকে লাগতে পারে আঁচড় ৷ আঁচড় গভীর হলে ঘা হবার সম্ভাবনা থাকে ৷ তাই নবজাতকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নখ সময় মতো কেটে দিতে হবে।

সুন্দর করে কেটে দিন ছোট্ট নখগুলো ৷ শিশু ঘুমিয়ে গেলেই কাটুন তাহলে নড়াচড়ার বা কেটে যাবার ভয় থাকবে না ৷ আর জেগে থাকা অবস্থায় কাটতে চাইলে কারো সাহায্য নিন ৷ তবে খুব বেশি চেপে ধরবেন না ৷ সাধারণ বেবি নেইলকাটার বা কাঁচির মত বেবি নেইলকাটার যেটাই ব্যবহার করুন না কেন ব্যবহারের আগে তা জীবাণুনাশক মেশানো পানিতে একবার ধুয়ে নিন ৷  বাচ্চাদের নখ সাধারণত নরমই থাকে তবে শক্ত মনে হলে গোসলের পর নখ কাটুন৷

৪। নবজাতক শিশুর চোখের যত্ন

একটি বাচ্চা জন্মের পরে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করা আপনারই দায়িত্ব। আপনার শিশুকে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি আপনাকেও পরিষ্কার থাকতে হবে। বাচ্চার চোখের ময়লা পরিষ্কার করতে ভুলেও খালি হাতে খুটতে যাবেন না । কুসুম গরম পানিতে নরম কাপড়ের টুকরো চুবিয়ে নিন এবং এরপরে হালকা করে চেপে পানি ঝরিয়ে মুছে নিন বাচ্চার চোখ ৷

অনেক সময় অসাবধানে বাচ্চার চোখে বুকের দুধ যেতে পারে ৷ চোখে বুকের দুধ ঢুকে গেলে বাচ্চার চোখে প্রদাহ হতে পারে ৷ তাই সতর্ক থাকুন ৷ কিছু কিছু শিশুর চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে । নরম কাপড়ে বারবার মুছে নিন ।এ সমস্যা এক দুই মাস পর ঠিক হয়ে যায় । বেশি সমস্যা মনে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।

৫। নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে জিহ্বা পরিস্কার রাখুন

নবজাতকের যেহেতু ৬ মাস অবদ্ধি বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোন খাবার দেওয়া যায় না তাই অনেক সময় দুধ খাবার কারনে শিশুর জিহ্বায় সাদা আস্তরণ পড়তে দেখা যায় ৷ পরিষ্কার নরম শুকনো কাপড় ব্যবহার করে মুছে দিন আপনার ছোট্ট সোনাবাবুর জিভ ৷

তবে এটি নিশ্চিত করবেন যে আপনি জিভ পরিষ্কার করার জন্যে যা ব্যবহার করছেন সেটি যেনো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।

৬। নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে কান পরিষ্কার রাখা

নবজাতকের যদি কান পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে কখনোই কানের ভেতরে কটনবাডস দিয়ে পরিষ্কার করতে যাবেন না ৷ কানের পর্দায় আঘাত লাগতে পারে, এছাড়া কানের ভেতরে কিছু লোম থাকে যা বাইরের ময়লাকে ঠেলে দেয় ৷ 

কটনবাডের আঘাত থেকে এদের রক্ষা করা জরুরি ৷পরিস্কার রাখুন কানের উপরিভাগ ৷ কটনবল বা নরম কাপড়ে মুছে দিন ৷

৭। নবজাতক শিশুর নাকের যত্ন

কানের মত নাকেও কটনবাডস না দিয়ে নরম সুতি কাপড়ে কোনা পেঁচিয়ে পরিষ্কার করে নিন ৷ এতে শিশুর আঘাত পাবার সম্ভাবনা থাকবে না ৷ নাকে সর্দি বা ময়লা জমে বন্ধ হয়ে থাকলে শিশু মুখ দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নেয় এবং দুধ টানতে চায় না । সুতরাং খেয়াল রাখুন এবং পরিস্কার রাখুন ।

৮। নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে পোষাকের গুরুত্ব

এ সময় শিশুর প্রজনন অংগ বা জেনিটাল অনেক বেশি নরম কোমল থাকে ৷ শিশুকে পোষাক পরানোর সময় এবং ডায়াপার বাছতে গিয়ে খেয়াল রাখুন তা আরামদায়ক এবং উচ্চ শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন কি না ৷

ছেলেশিশু ও মেয়েশিশুর জেনিটাল এর যত্ন ও পরিচ্ছন্নতায় পার্থক্য রয়েছে ৷

মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে তার যোনিপথের বাইরে ফোলা ফোলা ভাব ও লালচে থাকা স্বাভাবিক ৷ ভেজা নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করুন ৷ সামান্য বেবি সোপ ব্যবহার করুন ৷ মুছুন সামনে থেকে পেছনে( front to back)৷ প্রতিবার ডায়াপার পাল্টানোর পর বা পায়খানার পর এভাবে মুছে সামান্য বেবি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন ৷ মুছতে পারেন ওয়াইপস দিয়েও ৷ ব্যবহৃত ওয়াইপস দ্রুত ফেলে দিন ৷

ছেলে শিশুর জননাঙ্গের ব্যাপারেও যত্নশীল হোন ৷ পেনিসের মাথায় চামড়ার নিচে ময়লা জমে যায় ৷ পরিষ্কার করুন ৷ ভেজা নরম কাপড়ে সামান্য বেবি সোপ লাগিয়ে মুছে নিয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি বা বেবি অয়েল লাগিয়ে নিন ৷তাহলে ডায়াপার বা কাপড়ের ঘষায় ব্যথা পাবে না ৷এছাড়া আপনি ওয়াইপস (wipes) ব্যবহার করতে পারেন ৷

৯। নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে  ডায়াপার পরানোর সঠিক নিয়ম

ডায়াপার পরানোর আগে যদি ঐ জায়গাতে বেবি অয়েল মাখিয়ে নেন তাহলে ডায়াপারের ঘষা থেকে ত্বক সুরক্ষিত থাকবে ৷ অনেকে ডায়াপার পরাবার আগে পাউডার ব্যবহার করেন ৷ কিন্তু পাউডার ব্যবহারে শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় ৷

ডায়াপার  র‍্যাশ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়াপার র‍্যাশের ওষুধ ব্যবহার করুন ৷ তখন তেল ব্যবহার করবেন না ৷

ডায়াপার লাইন খেয়াল করুন এবং পাল্টে দিন প্রয়োজনে ৷ ব্যবহৃত ডায়াপার প্যাচিয়ে প্যাকেটমত করে ফেলুন এবং দ্রুত ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন ৷বাচ্চার জন্য সবসময়ই উচ্চ শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন ডায়াপার ব্যবহার করবেন।

১০।  নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে গোসল করানো

প্রথমবার শিশুর গোসল দেয়াটা অন্য এক অভিজ্ঞতা ৷ এত ছোট একটা শরীর যাকে ঠিকমত ধরাই মুশকিল ভাবছেন তাকে গোসল দেবেন কিভাবে?

নাভি না শুকানো পর্যন্ত ডাক্তাররা সাধারণত শিশুর গোসল দিতে বারণ করে থাকেন ৷ ততদিন পর্যন্ত আপনি বরং শিশুর গা মুছে দিন ৷ দেখে নিন যা যা লাগবে ৷

  • তোয়ালে
  • নরম কাপড় ( ভেজানোর জন্য)
  • নরম কাপড়( গা মোছার জন্য)
  • পরিষ্কার পোষাক

একটা সমতল জায়গায় তোয়ালে পেতে শিশুকে শোয়ান ৷ প্রথমে নরম কাপড় হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে চিপে নিয়ে শিশুর মাথা মুছে দিন ৷ সাথে সাথে আবার শুকনো কাপড় দিয়ে মাথা মুছে দিন ৷ মাথা ভেজা থাকলে ঠান্ডা লেগে যেত পারে ৷ এরপর গলা বুক ও হাত মুছুন ৷

আরেকটা বিষয় যেটা অবশ্যই আপনাকে প্রতিটি সময়ের জন্যে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার সন্তানকে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি আপনার নিজের বা যারা আপনার সন্তানকে স্পর্শ করবে তাদেরও জন্যেও পরিষ্কার থাকা অত্যান্ত জরুরি। এতে করে আপনার সন্তানের স্বাস্থ্য ঝুকি কমে যাবে এবং সে সুস্থ থাকবে।

আশা করি আপনি বা আপনারা সন্তানের সুরক্ষার জন্যে কোন কোন বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে সেই সম্পর্কে পুরোপুরি একটা সুস্পষ্ট ধারনা পেয়ে গেছেন এই পোস্টের মাধ্যেমে। তাই নিজে সুস্থ থাকুন আপনার সন্তানকে সুস্থ রাখুন।

এই পোস্ট গুলো যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজ এবং টুইটার এর অফিশিয়াল প্রোফাইলে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকতে পারেন তাহলে এধরনের পোষ্ট পাবলিশ হওয়ার সাথে সাথে আপনি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।

আপনি যদি আপনার মেয়ের ইসলামিক নাম অর্থসহ খুজে থাকেন তাহলে এই পোস্টি পড়ুন, এই পোস্টটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)