জাজাকাল্লাহ খাইরান অর্থ কি | Jazakallah Khairan Meaning

jazakallah khairan meaning bangla

জাজাকাল্লাহ খাইরান অর্থ কি এই বাক্যটি নিয়ে আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন তাইনা? এই বাক্যটির সঠিক উচ্চারণ কি হবে? গুরুত্ব কতোটুকু বা কখন জাজাকাল্লাহ খাইরান বলে আমল করতে হয় আরো কতকিছু। তাই আজকে আপনাদের বুঝার সুবিদ্ধার্থে আমরা এই পোস্টের মাধ্যেমে জাজাকাল্লাহ খাইরান (Jazakallah Khairan Meaning) বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই সম্পুর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।

জাযাকাল্লাহু (আরবি: جَزَاكَ ٱللَّٰهُ‎‎) অথবা জাযাকাল্লাহু খায়রান (আরবি: جَزَاكَ ٱللَّٰهُ خَيْرًا‎‎) এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বাক্য। আর এই জাজাকাল্লাহ খাইরান এর অনেকগুলো অর্থ রয়েছে। তবে এই বাক্যের প্রধান/মূল অর্থ হলোঃ- আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরস্কার/প্রতিদান দিন। 

জাযাকাল্লাহু বাক্যাংশটি অসমাপ্ত, কারণ এতে আছে 'আল্লাহ' (অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা) এবং 'জাযাকা' অর্থাৎ পুরস্কার প্রদান করা, কিন্তু এতে 'খায়রান' অন্তর্ভুক্ত নেই যার অর্থ হল 'উত্তম'। জাযাকাল্লাহু খায়রান বললে আমরা স্বাভাবিক ভাবেই বুঝে যায় যে অই ব্যক্তিটি আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে উত্তম পুরষ্কার বা প্রতিদানের জন্য দোয়া করছেন।

এছাড়াও আমরা জানি যে কাউকে ধন্যবাদ জানানোর আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি আরবি শব্দ হচ্ছে শুকরান, জাযাকাল্লাহু খায়রান বাক্যটি মুসলিমরা ব্যবহার করে এই বিশ্বাসে যে, একজন মানুষ অন্যজনকে পর্যাপ্ত বিনিময় দান করতে পারে না, বরং আল্লাহই সর্বোত্তম পুরস্কার/ প্রতিদান দান করতে সক্ষম।

আরও পড়ুনঃ সহীহ শুদ্ধ সাইয়েদুল ইস্তেগফার বাংলা উচ্চারণ সহ দেখুন

    জাযাকাল্লাহু খাইরান অর্থ কি? | Jazakallah Khairan Meaning

    আমরা জানি কেউ যদি আমাদের কোন উপকার করে তাহলে আমরা তাঁর জন্য বা তাঁর ফ্যামিলির জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া প্রার্থনা করি যাতে তাঁর বা সেই ব্যক্তির মঙ্গল হয়। আর আমরা যখন কোন ভাল কাজ কাউকে প্রদান করে থাকি ঠিক তখন অধিকাংশ মুসলিম মানুষই আমাদের বলে থাকেন, জাযাকাল্লাহু খাইরান।

    প্রশ্ন হল, এই জাজাকাল্লাহ খাইরান বাক্যটির অর্থ কি?

    আমরা এখন এই পর্যায়ে জাজাকাল্লাহ খাইরান এর অর্থ সম্পর্কে আরো একটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো তাই আমাদের এই পোস্টটি খুব মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন এটাই আমাদের কাম্য। কেননা এর বেশ সুন্দর কয়েকটি অর্থ রয়েছে।

    • ১। ﺧﻴﺮ ( খাইর) শব্দটি সে সমস্ত বিষয় বুঝায় যা আল্লাহর নিকট প্রিয়। তাই “খাইর” শব্দের মাধ্যমে আপনার জন্য সবরকমের কল্যাণ কামনা করা হল।
    • ২। জাযাকাল্লাহু খাইরান অর্থঃ আল্লাহ আপনাকে জান্নাত এবং জান্নাতে তাঁর দিদার দ্বারা সৌভাগ্যবান করুন।
    • ৩। জাযাকাল্লাহু খাইরান অর্থঃ আল্লাহ আপনাকে কাফিরদের স্থান জাহান্নাম থেকে হেফাজত করুন।
    • ৪। জাযাকাল্লাহু খাইরান অর্থঃ আল্লাহ যেন আপনাকে সিরাতে মুস্তাক্বিম তথা সরল পথে পরিচালিত করেন।
    • ৫। জাযাকাল্লাহু খাইরান অর্থঃ আল্লাহ যেন আপনার উপর কোন অভিশপ্ত শয়তানকে চাপিয়ে না দেন।
    • ৬। জাযাকাল্লাহু খাইরান অর্থঃ আল্লাহ যেন আপনার রিজিকের মধ্যে বরকত দান করেন।
    • ৭। জাযাকাল্লাহু খাইরান অর্থঃ শেষ দিবস পর্যন্ত আল্লাহ যেন আপনাকে মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহারকারী করেন।
    • ৮। জাযাকাল্লাহু খাইরানঅর্থঃ আল্লাহ যেন আপনাকে রাসূলের সুন্নাতের অনুসারী করেন।
    • ৯। জাযাকাল্লাহু খাইরান অর্থঃ আল্লাহ আপনাকে নেক সন্তান দান করুন।
    • ১০। জাযাকাল্লাহু খাইরান আল্লাহ আপনাকে সবরকম কল্যাণ দান করুন।

    এর আরো অসংখ্য অর্থ রয়েছে। কেননা খাইর ( ﺧﻴﺮ ) আল্লাহর নিকট অগুনিত। যা গণনা করা অসম্ভব। তবে আমরা বাক্যটির শাব্দিক অর্থ করি, “আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন” বলে।

    ﻋﻦ ﺃﺳﺎﻣﺔ ﺑﻦ ﺯﻳﺪ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣَﻦْ ﺻُﻨِﻊَ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻣَﻌْﺮُﻭﻑٌ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟِﻔَﺎﻋِﻠِﻪِ : ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ . ﻓَﻘَﺪْ ﺃَﺑْﻠَﻎَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺜَّﻨَﺎﺀِ ) .

    ﺭﻭﺍﻩ ” ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ” ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻲ ﻓﻲ ” ﺍﻟﺴﻨﻦ ﺍﻟﻜﺒﺮﻯ 

    অর্থঃ হযরত উসামা বিন যায়েদ (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কারো প্রতি কৃতজ্ঞতার আচরণ করা হলো তাই সে ব্যক্তি আচরণকারীকে “জাযাকাল্লাহু খাইরান” বলল, তাহলে সে তার যথাযোগ্য প্রশংসা করল।

    ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ” ﺇِﺫَﺍ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﻟِﺄَﺧِﻴﻪِ : ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ، ﻓَﻘَﺪْ ﺃَﺑْﻠَﻎَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺜَّﻨَﺎﺀِ 

    অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাযি.) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম বলেছেন, কেউ যখন তার ভাইকে বলে, “জাযাকাল্লাহু খাইরান” তাহলে সে তার ভূয়সী প্রশংসা করল।

    ﻗﺎﻝ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ : ﻟَﻮْ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻣَﺎ ﻟَﻪُ ﻓِﻲ ﻗَﻮْﻟِﻪِ ﻟِﺄَﺧِﻴﻪِ : ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ، ﻟَﺄَﻛْﺜَﺮَ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﺑَﻌْﻀُﻜُﻢْ ﻟِﺒَﻌْﺾٍ . ( ﺍﻟﻤﺼﻨﻒ ﻻﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺷﻴﺒﺔ )

    হযরত ঊমর (রাযি.) বলেন, তোমাদের কারো যদি জানা থাকত যে, তার অপর ভাইকে “জাযাকাল্লাহু খাইরান” বলার মধ্যে তার জন্য কি রয়েছে! তাহলে তোমরা একে অপরের জন্য তা বেশি করে বলতে।

    আরও পড়ুনঃ পবিত্র কোরআনের ৯৯ নির্দেশনা সমূহ

    জাজাকাল্লাহ খাইরান আরবি | Jazakallah Khair In Arabic

    আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছেন যারা কিনা জাজাকাল্লাহ খাইরান আরবি লিখে সার্চ করে থাকেন। তারা চান যে কিভাবে আরবিতে এই জাজাকাল্লাহ খাইরান লিখতে হয় বা পড়তে সেই সম্পর্কে জানতে। আর তাই আপনি কিভাবে জাজাকাল্লাহ বা জাজাকাল্লাহ খাইরান লিখবেন তার আরবি পাঠ এখানে রয়েছে। আরবীতে জাযাকাল্লাহঃ جزاك اللهُ। আরবীতে জাযাকাল্লাহু খাইরানঃ جزاك اللهُ خيرً

    আশা করি এখন আপনার কাছে জাজাকাল্লাহ খাইরান আরবি তে লিখতে বা পড়তে অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে এখানে দেখার পরে।

    জাজাকাল্লাহ খাইরান ফা-ইন্নাল্লাহা শাকিরুণ অর্থ কি

    এখানে জাজাকাল্লাহ খাইরান ফা-ইন্নাল্লাহ শাকিরুণ হচ্ছে আমাদের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোরআন শরীফের সুরা বাকারার ১৫৮ নং আয়াতের একটি অংশ। ফা-ইন্নাল্লাহা শাকিরুণ এর অর্থ হলঃ আল্লাহ্‌ উত্তম পুরস্কারদাতা। 

    সম্পূর্ণ আয়াতটি হলঃ  ইন্নাছ্ ছাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন্ শাআ’ইরিল্লাহ্ ফামান হাজ্জাল বাইতা আও-ই’ তামারা ফালা জুনাহা আ’লাইহি আইয়াত্ত্বাওয়াফা বিহিমা ওমান তাত্বাওয়াআ খাইরান ফা-ইন্নাল্লাহা শাকিরুণ আ’লীম।”

    যদি কারো উপকার করে এবং এর জন্য সে যদি তাকে জাযাকা-আল্লাহু খাইরন ( ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮً ) বলে তাহলে সে যেনো তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলো। বর্ণনায়ঃ আল তিরমিযী ২০৩৫ শাইখ আলবানী সহীহ আল তিরমিযীতে হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।

    যেটা বলা সুন্নাহঃ পুরুষদের ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য বলা জাযাকা-আল্লাহু খাইরন ( ﺟَﺰَﺍﻙَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮً ) এবং মহিলাদের জন্য বলা “জাযাকি-আল্লাহু খাইরন ( ﺟَﺰَﺍﻙِ ﺍﻟﻠﻪُ ﺧَﻴﺮًﺍ )।

    আরও পড়ুনঃ লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদরের ফজিলত ২০২

    জাজাকাল্লাহ খাইরান এর উত্তর

    এই পর্যায়ে আমরা জেনে নিবো যে কেউ যদি জাজাকাল্লাহ খাইরান বলে তাঁর উত্তর হিসাবে আমরা কোন বাক্যটি উচ্চারণ করবো? আপনি জাযাকাল্লাহু খায়রান এর জবাবে ওয়ায়িইইয়াক (একজনকে), বা ওয়ায়িইয়াকুম (একের অধিককে) ব্যবহৃত হয়, যার অর্থ এবং আপনার/ আপনাদের প্রতিও)। তবে বেশি প্রচলিত জবাব হল: ওয়া'আনতুম ফাজাযাকুমুল্লাহু খায়রান, যার অর্থ এবং আপনাকেও আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন।

    আপনি চাইলে কেউ যদি এই দোয়াটি করে তাঁর প্রতি উত্তরে বা জাজাকাল্লাহ খাইরান এর উত্তর হিসাবে উপরের দোয়াটি পড়তে পারেন। এতে করে উভয়েই আল্লাহর কাছে একে অপরের জন্য দোয়া প্রার্থনা করলেন।

    যারা জাযাকা-আল্লাহু খাইরন বলে তাদের প্রতি সর্বোত্তম জবাব কোনটি?

    যখন উছাইদ ইবনে হাদাইর রদিয়াল্লাহু আনহু রছুলুল্লাহ রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম বললেনঃ জাযাকা-আল্লাহু খাইরন! তখন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াছাল্লাম বললেনঃ

    ওয়া আনতুম ফা-জাযাকুমু-আল্লাহু খাইরন ( ﻭَﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻓَﺠَﺰَﺍﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ)

    অর্থঃ তোমাকেও আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন) (শাইখ আলবানী আল-সহীহার ৩০৯৬ নং হাদিসে একে সহীহ বলেছেন, আল- তা’লিকাতুল হিসান আল সহীহ ইবনে হিব্বান ৬২৩১)।

    সঠিক উত্তর হলোঃ ওয়া আনতুম ফা-জাযাকুমু-আল্লাহু খাইরন ( ﻭَﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻓَﺠَﺰَﺍﻛُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺧَﻴْﺮًﺍ)।

    আশা করি আপনারা এখান থেকে জেনে গিয়েছেন যে কেউ যদি জাজাকাল্লাহ খাইরান বলে তাহলে তাঁর প্রতি উত্তরে কিভাবে সঠিক উত্তর দিতে হবে সেই সম্পর্কে।

    আরও পড়ুনঃ আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ Ayatul Kursi Surah

    জাযাকাল্লাহ খাইরান কখন বলতে হয়?

    ধরুন আপনার জন্য কেউ একজন ভাল কাজ করেছে বা উপকার করেছে, ঠিক তখনই আপনি চাইলে যেই ব্যক্তির জন্য এই দোয়াটি করতে পারে। যদিও ধন্যবাদ জানানোর পরিচিত আরবি শব্দটি হল শুকরান, জাযাকাল্লাহু খায়রান বাক্যটি মুসলিমরা ব্যবহার করে এই বিশ্বাসে যে, একজন মানুষ অন্যজনকে পর্যাপ্ত বিনিময় দান করতে পারে না, বরং আল্লাহই সর্বোত্তম পুরস্কার/ প্রতিদান দান করতে সক্ষম।

    তাই এখানে বলায় যায় যে আপনি যখন কারো প্রতি খুশি হয়ে যাবেন বা কারো মঙ্গল কামনা করবেন তখন চাইলে এই দোয়াটি পাঠ করতে পারেন সেই মানুষটির জন্য।

    জাজাকাল্লাহ খাইরান সম্পর্কে সতর্ককতা

    আমাদের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যে আমরা যখন কারো জন্য দোয়া প্রার্থনা করবো বা আল্লাহ তায়ালার কোন আয়াত পড়বো তখন যেন কোন ভাবেই অসম্পূর্ণ বা কোন অংশ বাদ দিয়ে উচ্চারণ না করি। কেননা এতে করে একটি শব্দের অর্থের অনেক বিকৃতি ঘটে এবং সম্পুর্ণ অর্থই পরিবর্তন হয়ে যায়।

    আর তাই আমরা কখনো শুধুমাত্র জাযাকাল্লাহু বলবো না। বরং জাযাকাল্লাহু খাইরান বলবো। কারণ জাযাকাল্লাহু দ্বারা প্রতিদান ভালোও হতে পারে আবার মন্দও হতে পারে। তাই জাযাকাল্লাহু খাইরান বলবো। এতে করে সঠিক আয়াত যেমন আমরা উচ্চারণ করে পড়লাম তেমনি পাশাপাশি অপরের জন্য দোয়া প্রার্থনা করলাম উত্তম উপায়ে।

    যখন কেউ জাযাক আল্লাহু খাইরান [বুখারী,হাঃ ৩৩৬; তিরমিযী,হাঃ২০৩৫] - বলে এর জবাবেঃ 'ওয়া আনতুম ফা জাযাকুম আল্লাহ খাইরান ' (এবং আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন) [সহীহ ইবনে হিব্বান,হাঃ ৬২৩১;সহীহ তাহক্বীক আলবানী] বলতে হয়।

    বিঃদ্রঃ জাযাক আল্লাহু খাইরান এর পরিবর্তে '' জাযাক '' বা '' জাযাকাল্লাহ '' বলা ঠিক নয় আর এর উত্তর 'ওয়া ইয়াকুম ' বলাও সহীহ হাদিস সম্মত নয়।

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপকারীর উপকারে সুন্নাতি এ দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন। এতে করে একে অপরের প্রতি যেমন সম্মান প্রদান করে থাকেন আল্লাহ তায়ালা তেমনি তাদের জন্য উত্তম মর্যাদা প্রদান করে থাকেন।

    আরও পড়ুনঃ সূরা দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ ২০২৩

    শেষকথা জাজাকাল্লাহ খাইরান অর্থ কিঃ

    আমরা আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে জানলাম যে জাযাকাল্লাহ খাইরান অর্থ কি, জাযাকাল্লাহু খাইরান আরবি, জাযাকাল্লাহু খাইরান কখন বলতে হয়, জাযাকাল্লাহু খাইরান এর উত্তরে কি বলতে হয়। ও জাযাকাল্লাহ খাইর বলার হাদীস। 

    আমাদের আজকের এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভাল লাগে বা এই জাযাকাল্লাহ খাইরান অর্থ কি | Jazakallah Khairan Meaning in Bengali পোস্ট টি পড়ে আপনার সামান্য পরিমান উপকারে আসে তাহলে এখনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন অথবা নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করে রাখুন।

    আপনার একটি শেয়ারের কারনে আপনার মাধ্যমে আরো অনেকেই উপকৃত হবে এবং এই জাজাকাল্লাহ খাইরান ( Jazakallah Khairan Meaning in Bengali ) বাক্যটির ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারবে ও তারা নিজেরাও এই আমলটা পালন করে উপকৃত হবে।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ