মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগনেন্ট বোঝা যায় => প্রেগনেন্সি বা গর্ভধারণের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে মাসিকের উপর নির্ভর করে।যখন কোন নারী প্রেগন্যান্ট হয় সর্বপ্রথম তার মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।কিন্তু মাসিক মিস হলেই যে আমরা ধরে নেব প্রেগন্যান্ট এমনটি নয়।
মাসিক মিস হওয়ারও অনেক ধরনের কারণ হতে পারে।আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হল,মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়।আসুন তবে জেনে নেয়া যাক।
সাধারণত মাসিক মিস হওয়ার ১০ দিন পরে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হয়।যদি ১০ দিন পরেও কোন ফলাফল না পাওয়া যায়,তবে পুনরায় পাঁচ দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে।প্রেগন্যান্ট হলে ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যেই বোঝা যায়।কারণ,পিরিয়ড মিস হওয়ার পরপর প্রেগনেন্সি লক্ষণ গুলো দেখাতে শুরু করে।
আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়। আজকে আমরা আরো এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর বিস্তারিত আপনাদের কাছে তুলে ধরবো।
(১) পিরিয়ড বন্ধের কতদিন পর প্রেগন্যান্ট?
পিরিয়ড আমাদের মেয়েদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ অংশ।বিবাহিত মেয়েদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে তারা স্বাভাবিকভাবে ধরে নেয় প্রেগনেন্সি বিষয়টিকে।কিন্তু,এটি ভুল ধারণা।কারণ বিভিন্ন কারণে এটি বন্ধ হতে পারে।
পিরিয়ড বন্ধের কয়েক দিনের মধ্যেই অনেকে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে নেয়। সেটি হতে পারে আনন্দের অথবা চিন্তার উভয় ক্ষেত্রে।কিন্তু সঠিকভাবে যদি আমরা বলতে যাই, পিরিয়ড বন্ধের শেষ দিন থেকে হিসাব করে,35 থেকে 40 দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ আমের উপকারিতা ও অপকারিতা
কারণ তখন সঠিকভাবে বোঝা যায় যে কোন নারী প্রেগনেন্ট কিনা।আর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে টেস্ট করলে অনেক সময় নেগেটিভ রেজাল্ট আসতে পারে।তাই পিরিয়ড বন্ধের পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করা উচিত।
(২) ওভুলেশনের কতদিন পর গর্ভবতী হওয়া যায়?
মেয়েদের মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় বা মাসিকের ১৪ থেকে ১৫ দিন আগে ডিম্বাশয় থেকে একটি পরিণত ডিম্বানু নির্গত হয়ে থাকে।যাকে ওভুলেশন বলা হয়।ওভুলেশন হল মেয়েদের গর্ভধারণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।
তাই কেউ যদি গর্ভবতী হতে চায়,তাহলে তাকে অবশ্যই এই ওভুলেশন এর সময়টিকে লক্ষ্য রেখে সঙ্গীর সাথে সঙ্গম করতে হবে।
সাধারণভাবে বলা যায়, ওভুলেশন এর এক মাস পরেই গর্ভবতী হওয়া যায়। কারণ,যেহেতু ওভুলেশনের সময়কাল হল মাসিকের 14-15 দিন আগে, আর ওভুলেশনের ফলে গর্ভধারণ হলে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।আর মাসিক বন্ধের 10 থেকে 15 দিনের মধ্যে গর্ভবতী বোঝা যায়।
(৩) পিল খাওয়ার পর মাসিক না হলে কি করব?
আমরা সকলেই জানি যে অনিরাপদ মিলনের মাধ্যমে গর্ভধারণ হয়ে থাকে। আর এটিকে প্রতিরোধ করার জন্য মেয়েরা পিল খেয়ে থাকে।পিল খাওয়ার পর অনেকের মাসিকের সময় আগে-পিছে হয়ে যায়,আবার অনেকের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।আজ আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক পিল খাওয়ার পর মাসিক না হলে কি করব?
পিল খাওয়ার পর যদি মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই।সর্বপ্রথম প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে।কারণ মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে এটি বোঝা যায় যে প্রেগন্যান্ট। কিন্তু এ ধারণাটি ঠিক নয়।কারণ অনেক সময় হরমোনাল ইম ব্যালেন্স এর কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ ইসলামে মেয়েদের চুল বাধার নিয়ম
আবার প্রত্যেকটি মানুষের বডি ফাংশন আলাদা।শরীরের রক্তের পরিমাণ কম বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণেও মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।সে ক্ষেত্রে, প্রেগনেন্সি চেক করে দেখার পরে যদি পজিটিভ না আসে,তাহলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।এর পরবর্তী চিকিৎসা আপনার সমস্যা বুঝে ডাক্তার দিয়ে থাকবে।
(৪) কিভাবে প্রেগনেন্সি চেক করব?
কোন নারী প্রেগন্যান্ট কি না তা জানতে হলে প্রেগনেন্সি কিট ব্যবহার করতে হয়।প্রেগনেন্সি কিট এর মাধ্যমে মুহূর্তেই প্রেগনেন্সি বিষয়টি আমাদের সামনে চলে আসে।এখন প্রশ্ন হল অনেকেই প্রথম প্রেগনেন্সিতে বুঝে উঠতে পারে না যে কিভাবে প্রেগনেন্সি চেক করব?
আজ আমরা আপনাদের সামনে এই প্রশ্নের উত্তরটি তুলে ধরবো।আসুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে প্রেগনেন্সি চেক করব।
- (১) প্রেগনেন্সি টেস্ট কখন করবঃ মনে করুন কোন মেয়ের কোন মাসে মাসিক হলো না।তাহলে সর্বপ্রথম তাকে মাসিকের তারিখ পার হওয়ার ৭ থেকে ১০ দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে।
- (২) প্রেগনেন্সি টেস্ট কিভাবে করবঃ সর্বপ্রথমে এটি প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট নিব।এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম প্রসাব দিয়ে টেস্ট করব।এই টেস্ট দিনের যেকোনো বেলায় করা যাবে।তবে প্রথম প্রসাব দিয়ে করা ভালো।এতে ফলাফল সঠিক আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
- (৩) রেজাল্ট কিভাবে বুঝবঃ আমরা যে প্রেগনেন্সি কিট দিয়ে টেস্ট করব সেটিতে নেগেটিভ হয় তাহলে একটি লাল দাগ আসবে।আর যদি পজিটিভ হয় তাহলে দুটি লাল দাগ আসবে।
এভাবে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হয়। আর যদি নেগেটিভ আসে তাহলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে যে কি কারণে মাসিক হচ্ছে না।
(৫) ডিম্বস্ফুটন না হলে কি গর্ভবতী হওয়া যায়
ডিম্বসফোটন এর ফলে নারী দেহে ফলিকলের প্রাচীর ফেটে গিয়ে গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত ডিম ফেলোপিয়ান টিউবে প্রবেশ করে।এ সময় নারী দেহে বিভিন্ন রকম গর্ভধারণের লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে। ফলিকল অনেক প্রভাবশালী হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে মেয়েরা গর্ভবতী হয়।
এমন অনেক নারী আছে যারা বন্ধত্বের স্বীকার।এর অন্যতম কারণ হলো সে সকল নারীদের দেহে ওভুলেসন প্রক্রিয়াটি কার্যকর নয়। তাই এক কথায় বলতে পারি,ডিম্বস্ফুটন না হলে গর্ভধারণ হওয়া যায় না । এক কথায় এটি অসম্ভব।
(৬) মিলনের কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হয়
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, প্রেগনেন্সি টেস্টের জন্য কোন সময়কে আমরা বেছে নেব দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যাই।অনেকেই এটা বুঝতে পারে না যে, মিলনের কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হয়।আপনাদের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুবিধার্থে আলোচনা করব।
আপনার যদি মনে হয় যে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাহলে মিলনের পরবর্তী দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। কারণ গর্ভধারণের সম্ভাব্য সময় হলো মাসিক পূর্ববর্তী ১৫ থেকে ২০ দিন।এ সময়ে টেস্ট করলে নির্ভুল ফলাফল পাওয়া যাবে ।
(৭) প্রেগনেন্সি কতদিন পর বোঝা যায়
সাধারণত ওভুলেশন হয়ে থাকে মাসের মাঝামাঝি সময়ে। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে তাহলে প্রেগনেন্সি কতদিন পর বোঝা যায়?এর উত্তর হল-
প্রেগনেন্সি বোঝা যায় ওভুলেশন এর ঠিক এক মাস পরে।অনেকের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যে গর্ভধারণের লক্ষণগুলো পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক মাস পরে উপলব্ধি করা যায়।
আরও পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল লম্বা করার উপায়
তাই আমরা বলতে পারি, কোন নারী প্রেগনেন্ট কিনা তা জানার জন্য অন্তত এক মাস অপেক্ষা করতে হবে।
(৮) প্রেগনেন্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি কি?
শুধুমাত্র প্রেগনেন্সি কিট দিয়েই যে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা যায় তা কিন্তু নয়। কারণ,আগে এসব আধুনিক জিনিস ছিল না। আগে নারীরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে গর্ভবতী আছে কিনা এটি পরীক্ষা করে নিত।
জেনে নেয়া যাক, প্রেগনেন্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি কি?
চিনিঃ ঘুম থেকে উঠে প্রথম প্রসাবটি কয়েক ফোটা একটি পাত্রে নিন। এর মধ্যে সামান্য পরিমাণ চিনি ছেড়ে দিন। লক্ষ্য করুন,প্রসাবের সাথে যদি চিনিটি মিশে না যায় তাহলে বুঝবেন আপনি প্রেগন্যান্ট।আর মিশে না গেলে প্রেগন্যান্ট নয়।কারণ,গর্ভবতী হলে নারীদের শরীরে এইচসিজি হরমোন বৃদ্ধি পায়।যার ফলে প্রসাবের সাথে চিনিটি মিশ্রিত হয় না।
লবণঃ একটি পরিষ্কার পাত্রে সামান্য প্রস্রাব নিয়ে লবণ ছেড়ে দিন। লবণের সাথে প্রসাবের কোন বিক্রিয়া হলে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী।
টুথপেস্টঃ প্রসাবের সাথে অল্প পরিমাণ টুথপেস্ট মিশ্রিত করুন।যদি টুথপেস্ট এর রংপরিবর্তন হয় তাহলে আপনি গর্ভবতী বুঝবেন।
ব্লিচিং পাউডারঃ সামান্য পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার একটি পাত্রে প্রসাবের সাথে মিশ্রিত করুন।যদি মিশ্রণটিতে বুদবুদ ওঠে তাহলে বুঝে নিবেন আপনি সন্তান সম্ভবা।
(৯) প্রেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়?
মেয়েদের স্বাভাবিকভাবেই প্রতি মাসে পিরিয়ড হয়ে থাকে। পিরিয়ডের দশ দিন পর থেকেই গর্ভধারণের ক্ষমতা থাকে সবচেয়ে বেশি। এ সময় সহবাসের ফলে ওভুলেশন হয়ে থাকে। যদি প্রশ্ন এটি হয়ে থাকে যে, প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়?
তাহলে ধরে নেব যে, প্রেগন্যান্ট হওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। কারণ গর্ভবতী হলে পরবর্তী মাসে আর পিরিয়ড হয় না। আশা করি এ প্রশ্নের উত্তরটি আপনারা পেয়েছেন।
(১০) পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কি?
গর্ভবতী মানেই পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া।আর গর্ভবতী হলে পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে কিছু কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক,পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কি?
বমি বমি ভাবঃ গর্ভবতী হলে নারীদের প্রথম দিক থেকে বমি বমি ভাব হয়। অনেকে বমি করে থাকে।এটি একটি অতি সাধারণ লক্ষণ।
মাথা ঘোরাঃ গর্ভবতী হওয়ার ফলে শরীরে অনেক রকম বিক্রিয়া হতে থাকে। তাই মাথা ঘোরাও আরেকটি প্রধান লক্ষণ।
মুড সুইংঃ কোন কাজ করতে ভালো লাগে না।অস্বস্তি বোধ হয়।হঠাৎ করে রেগে যাওয়া,হঠাৎ করে অনেক আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে যাওয়া।
অরুচি বা অতিরিক্ত রুচিঃ গর্ভবতী হলে অনেকের অতিরিক্ত খিদে বেড়ে যায়।আবার অনেকের ক্ষেত্রে খাবারের প্রতি অনিহা সৃষ্টি হয়ে যায়। এগুলো আসলে গর্ভধারণের অন্যতম লক্ষণ।
(১১) গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কতদিন পর বোঝা যায়?
গর্ভবতী নারীরা অনেক সময় বুঝতে পারে না যে তারা গর্ভধারণ করেছেন। কারণ অনেকের ক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ আগে বোঝা যায়,আবার অনেকে পড়ে বুঝতে পারে।
আজ আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব।গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কতদিন পর বোঝা যায়?
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ বোঝা যায় গর্ভধারণের 15 দিন পর থেকে।মাথা ব্যথা, মুড সুইং,মাথা ঘোরা,বমি ভাব,স্তনে ব্যথা ইত্যাদি উপশম গুলো দেখা দিয়ে থাকে।যার ফলে নারীরা বোঝেনা সে গর্ভবতী।
(১২) মাসিক না হলে কি প্রেগন্যান্ট?
বিবাহিত নারীরা কোন মাসে পিরিয়ড মিস হলেই এটিকে গর্ভধারণের চিহ্ন বলে ধরে নেয়।আসলে এ ধারণাটি কি ঠিক?না একদমই না।
মাসিক বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।হতে পারে প্রেগন্যান্সির জন্য, আবার শারীরিক নানান ধরনের সমস্যার জন্য।এছাড়াও আরো বেশ কিছু কারণ হতে পারে। যেমন–
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ
- হঠাৎ অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া
- হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণে
- ফ্যাটি লিভারের কারণে
- থাইরয়েডের সমস্যার জনিত কারণে
উপরোক্ত কারণগুলো মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কয়েকটি কারণ। তাই আমরা বলতে পারি,মাসিক না হলেই প্রেগনেন্ট এ বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
শেষ কথাঃ মাসিক মিস হওয়ার কতদিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
আজকের আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি,গর্ভধারণের জন্য নিয়মিত পিরিয়ড হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পিরিয়ডের সমস্যা থাকলে,গর্ভধারণ সম্ভব নয়।গর্ভধারণের ফলে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়,যার ফলে গর্ভবতীর লক্ষণ গুলো দেখা দিতে থাকে।
পরবর্তী মাসে পিরিয়ড মিস হয়ে যাওয়ার পর তিন থেকে সাত দিন অপেক্ষা করে প্রেগনেন্সি টেস্ট করলেই বোঝা যাবে যে গর্ভধারণ হয়েছে কিনা।
আশা করি আজকের লেখাটি পড়ে আপনারা অনেক অজানা বিষয়ে জানতে পেরেছেন ।যে সকল বিষয় নিয়ে বিবাহিত নারীরা প্রতিনিয়ত চিন্তিত থাকেন। ধৈর্য সহকারে লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ