আমের উপকারিতা ও অপকারিতা ২০২৪

আম একটি মৌসুমী ফল এবং অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আর এই আম যেমন সুস্বাদু হয়ে থাকে তেমনি এর উপকারিতা ও রয়েছে বেশ কয়েক গুণ। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন তো আজকে আমরা যেই আর্টিকেলটি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি সেটি হচ্ছে আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

আমের উপকারিতা ও অপকারিতা

চলুন তাহলে দেরি না করে এই পর্যায়ে জেনে নেয়া যাক আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবং আমের কি কি পুষ্টিগুণ সমূহ রয়েছে সে সম্পর্কে।

    আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

    আম কাঁচা বা পাকা যাই হোক না কেন আমাদের শরীরের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা রয়েছে অনেক গুন বেশি, যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারি।

    আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

    আম একটি পুষ্টিকর ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ এবং বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে। আমে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬। এছাড়াও অ্যামিনো অ্যাসিড, পটাসিয়াম এবং তামা রয়েছে। 
    আমে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, লুসিয়ান জিলাইক অ্যাসিড, আলফা ক্যারোটিন, পলিফেনলস কোয়ার্চেন কর্পূর, ক্যাফেইক অ্যাসিড ইত্যাদি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

    আরও পড়ুনঃ কাজুবাদাম এর উপকারিতা Kaju Badam er Upokarita

    ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (USDA) অনুসারে, এক কাপ (155 গ্রাম) কাটা আমে থাকে

    • এনার্জি -  ৯৯ কিলোক্যালরি
    • প্রোটিন - ১.৩৫ গ্রাম
    • কার্বোহাইড্রেট - ২৪.৭ গ্রাম
    • চর্বি - ০.৬২৭ গ্রাম
    • চিনি - ২২.৫ গ্রাম
    • ভিটামিন সি - ৬০.১ এমসিজি
    • ডায়েটারি ফাইবার - ২.৬৪ গ্রাম
    • ক্যালসিয়াম - ১.২ মিলিগ্রাম
    • আয়রন - ০.২৬৪ মিগ্রা
    • সোডিয়াম - ১.৬৫ মিলিগ্রাম
    • পটাসিয়াম - ২৭৭ মিলিগ্রাম
    • ফোলেট - ৭১ এমসিজি

    আম খাওয়ার উপকারিতা

    আম খাওয়ার উপকারিতা

    আম এমন একটি ফল যার ভেতরে রয়েছে নানাবিধ পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন খনিজ আয়রন ইত্যাদি। আমি রয়েছি ভিটামিন এ সি ও ভিটামিন ই এর মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসমূহ। যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান।

    ক্যানসার প্রতিরোধে আম

    আমে আছে নানা রকম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কোয়েরসেটিন, ফাইসেটিন, আইসোকোয়েরসেটিন, অ্যাস্ট্রাগ্যালিন, গ্যালিক অ্যাসিড, মিথাইল গ্যালেট ইত্যাদি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলো স্তন ক্যানসার থেকে শুরু করে কোলন ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসর ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে খেতে পারেন আম।

    নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল

    ভিটামিন সি, ফাইবার ও প্যাকটিন থাকায় রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা রাখে রসাল আম।

    ত্বক ভালো রাখে

    ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আম। বিশেষ করে ফুসকুড়ি দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এটি।

    অ্যালকালাইন ভারসাম্য

    আমে আছে টারটারিক অ্যাসিড ও ম্যালিক অ্যাসিড। আছে সাইট্রিক অ্যাসিডও। শরীরের অ্যালকালি নামের রাসায়নিকের ভারসাম্য ঠিক রাখে এটি।

    ওজন কমায় আম

    আমে আছে বিভিন্ন রকম পুষ্টি উপাদান। তাই একটি আম খেলেই সারা দিনের ভিটামিনের চাহিদা মিটে যায়। আবার এতে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে। তাই ওজন কমাতে আম খেতে পারেন।

    ভালোবাসার জাগায়

    বিশেষজ্ঞদের মতে, আম খেলে হৃদয়ে ভালোবাসার জন্ম হয়। তাই এটাকে উন্নত বিশ্বে লাভ ফ্রুট বলে। সুতরাং মৌসুম থাকতেই প্রিয়জনকে বেশি বেশি আম উপহার দিন।

    চোখের যত্নে

    আমে থাকা ভিটামিন আমাদের রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া যারা ড্রাই আই সমস্যায় ভুগছেন, তারা আম খেয়ে উপকার পেতে পারেন।

    হজমে সহায়ক

    স্বাস্থ্য ধরে রাখতে হজম প্রক্রিয়া সুস্থ থাকা জরুরি। আমে থাকা এনজাইমগুলো প্রোটিন উপাদান সহজে ভেঙে ফেলতে পারে। এতে খাবার হজম হয় দ্রুত, বাঁচা যায় পাকস্থলী সংক্রান্ত অনেক রোগ থেকেও।

    হিট স্ট্রোক ঠেকাবে

    এই গরমে হিট স্ট্রোক সাধারণ ঘটনা। আম আমাদের ভেতরটা শীতল রাখে ও শরীরকে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়।

    রোগ-প্রতিরোধে আম

    আমে আছে আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ক্যারোটেনয়েড। এটা আমাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

    স্মৃতিশক্তি বাড়ায়

    আম আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করে। তাই যারা লেখাপড়া করছেন, তারা বেশি বেশি করে আম খেতে পারেন।

    ত্বকের যত্নে আম

    বডি স্ক্রাব হিসেবে পাকা আম বেশ ভালো কাজ করে। আমের পেস্ট তৈরি করে তাতে একটুখানি মধু আর দুধ মিশিয়ে নিন। আলতো করে ম্যাসাজ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

    আম পাকার সময়

    প্রতিটি ফলের একটি নিদির্ষ্ট সময় থাকে পরিপক্ক হওয়ার জন্য। তেমনি এই সুস্বাদু আম গুলো পাকার বা বাজারে আসার জন্য নির্ধারিত কিছু সময় রয়েছে। যাকে আমরা আম পাকার সময় বলেই জানি। 

    আরও পড়ুনঃ গরম পানির উপকারিতা ও অপকারিতা

    তাই আমাদের সকলেরই জেনে রাখা উচিত যে আম পাকার সময় কোনটি এবং কোন সময় কোন জাতের আম গুলো বাজারে পাওয়া যাবে। তাই দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক আম পাকার সময় সম্পর্কে।
    আমের নাম আম পাকার সময়
    গোবিন্দভোগ ২৫শে মের পর থেকে
    গোলাপখাস ৩০শে মের পর থেকে
    গোপালভোগ ১লা জুনের পর থেকে
    রানিপছন্দ ৫ই জুনের পর থেকে
    হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত ১২ই জুনের পর থেকে
    ল্যাংড়া ১৫ই জুনের পর থেকে
    লক্ষ্মণভোগ ২০শে জুনের পর থেকে
    হাড়িভাঙ্গা ২০শে জুনের পর থেকে
    আম্রপালি ১লা জুলাই থেকে থেকে
    মল্লিকা ১লা জুলাই থেকে থেকে
    ফজলি ৭ জুলাই থেকে থেকে
    আশ্বিনা ২৫শে জুলাই থেকে

    এছাড়াও রাজশাহীর স্থানীয় আম সংগ্রহ করার সময় সম্পর্কে যদি আপনাদের বলি তাহলে এই বছর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আম সংগ্রহের সম্ভাব্য একটি সময়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই সময়ের পরে রাজশাহীর আম সংগ্রহ করা যাবে।

    আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা জেলা প্রশাসন থেকে প্রকাশিত আম সংগ্রহের সম্ভাব্য তালিকাটি নিচে দিয়ে দিলাম।

    রাজশাহীর স্থানীয় আম সংগ্রহ করার সময়

    পাকা আমের ঔষধিগুন

    পাকা ফল আয়ুর্বেদ ও ইউনানি ওষুধে রেচক, টনিক এবং রেচক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আম পাকা অবস্থায়ও রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে চমৎকার। কচি পাতার রস খেলে দাঁতের ব্যথা উপশম হয়।

    ক্রনিক ডিসপেপসিয়া, ডায়রিয়া এবং প্রস্রাবের জ্বালা সবই শুকনো আমের পাল্প দিয়ে চিকিৎসা করা যায়। জ্বর, বুকে ব্যথা এবং পলিউরিয়া আম পাতার গুঁড়ো দিয়ে চিকিত্সা করা হয়।

    আম খাওয়ার অপকারিতা

    অস্বীকার করার উপায় নেই যে আম সুস্বাদু, মিষ্টি এবং লোভনীয় একটি ফল। তবে আপনি কি জানেন যে আপনার প্রিয় ফলের কিছু নীরব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে! আম খেতে ভালোবাসেন এমন বেশিরভাগ মানুষের কাছে এটি উদ্ভট এবং হতাশাজনক শোনাতে পারে, তবে মিষ্টি ও পুষ্টিকর এই ফল সঠিকভাবে খাওয়া না হলে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

    অ্যালার্জি বাড়াতে পারে

    আম খেলে বাড়তে পারে অ্যালার্জি। কারণ আম অ্যালার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে যদি কেউ সিন্থেটিক উপাদানের প্রতি সংবেদনশীল হয়। কারণ আমে প্রোটিন ল্যাটেক্সের মতো উপাদান রয়েছে যা অ্যালার্জি আছে এমন কারও জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

    রক্তে শর্করার বৃদ্ধি

    মিষ্টি এবং সুস্বাদু এই ফলে উচ্চ প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে এটি দ্রুত চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক চিনিও ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য জীবনযাত্রার ব্যাধির ক্ষেত্রে সাধারণ চিনির মতোই কাজ করতে পারে। সুতরাং, আম খাওয়ার সময় এর পরিমাণের দিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।

    লো-ফাইবার

    বিভিন্ন জাতের আমে ফাইবার কম থাকে কারণ বীজ এবং খোসায় সর্বাধিক পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা সাধারণত খাওয়া হয় না। যে কারণে আম হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য নাও করতে পারে। তাই হজম প্রক্রিয়াকে মসৃণ করতে আমের সাথে ফাইবার সমৃদ্ধ উপাদান যুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

    ওজন বৃদ্ধি

    একসঙ্গে অনেকগুলো আম খেলে ওজন বাড়তে পারে। এর কারণ হলো অন্যান্য খাবারের তুলনায় আমে ফাইবার কম, প্রাকৃতিক শর্করার পরিমাণ বেশি এবং ক্যালোরি বেশি, যা ওজন বাড়াতে পারে। তাই আপনি যদি ওজন কমানোর প্রচেষ্টা করে থাকেন তবে আম খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক হোন।

    পেটের সমস্যা হতে পারে

    বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত আম খেলে তা পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে। কারণ এতে গাঁজনযোগ্য কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) বাড়াতে পারে এবং পাচনতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করতে পারে।

    আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে কিছু কমন প্রশ্ন ও উত্তর

    আমের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আমাদের অনেকে মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আসলে আমে কি পরিমান ভিটামিন রয়েছে? আম খেলে কি উপকারিতা পাওয়া যায়? আমার অপকারিতা সমূহ কি কি? আমের বিচির উপকারিতা? পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে? পাকা আমের অপকারিতা? ইত্যাদি নিয়ে।

    আরও পড়ুনঃ আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

    আর তাই এই পর্যায়ে আমরা আম নিয়ে কিছু প্রশ্ন এবং তাঁর উত্তর দিয়ে সাজিয়েছি নিচের অংশ। যাতে করে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারেন যে আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ কি রয়েছে সেই সম্পর্কে।

    তাই চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ কি সেই গুলো সম্পর্কেঃ

    আমে ভিটামিন কি আছে?

    ফ্ল্যাভোনয়েড বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ, যা আলফা ক্যারোটিন নামেও পরিচিত, উভয়ই আমে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। ভিটামিন এ, সি এবং ই, যা স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং চুলকে সমর্থন করে, ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।

    কাঁচা আমের উপকারিতা কি?

    কাঁচা আমের নির্দিষ্ট যৌগগুলি সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। এর লোহার সামগ্রীর কারণে, কাঁচা আমের রক্তাল্পতার চিকিত্সায় খুব সহায়ক। হজম সহায়তা কাঁচা আমের থেকে আসে। কোষ্ঠকাঠিন্য কাঁচা আমের খাওয়ার মাধ্যমে নিরাময় করা হয়, যা অন্ত্রগুলি পরিষ্কার করে।

    আম খেলে কি এলার্জি হতে পারে?

    আমের রসের কারণে ত্বকে অ্যালার্জিক কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিসের সাধারণ শব্দটি হল "আমের ডার্মাটাইটিস"। যদিও বিরল, এই অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াগুলি আরও বেশি উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠছে।

    আম, যদিও কদাচিৎ, উভয়ই তাৎক্ষণিক এবং বিলম্বিত হাইপারসেনসিটিভিটি প্রতিক্রিয়ার কারণ হতে পারে, যার পরেরটি এমনকি প্রাণঘাতীও হতে পারে। ক্রস-রিঅ্যাকটিভিটির কারণে, আমের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াও পূর্বের এক্সপোজার ছাড়াই ঘটতে পারে এবং "ওরাল অ্যালার্জি সিন্ড্রোম" হিসাবে উপস্থিত হতে পারে।

    আম খেলে কি কি উপকার আছে?

    আলফা, বিটা এবং ভিটামিন এ সবই ভালো পরিমাণে আমে থাকে। প্রায় 8% সুপারিশকৃত দৈনিক পরিমাণ ভিটামিন এ পাওয়া যায় 3/4 কাপ আমে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে পরিবেশন করার পাশাপাশি, এই উপাদানগুলি আমাদের দেহে সুস্থ দৃষ্টি বজায় রাখতে সহায়তা করে। ভিটামিন এ, সি এবং ই এর অন্যতম সেরা উৎস যা স্বাস্থ্যকর ত্বক ও চুলকে সমর্থন করে, আম।

    আমের রাজধানী কোনটি?

    আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছিল ফলের রাজা ও আম শিল্পের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত। কারণ উত্তরের সীমান্ত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ দেশের মোট আম উৎপাদনের সিংহভাগ এখান থেকেই সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ত।

    আর এখনো আমের জন্য বিখ্যাত এই চাঁপাই নবাবগঞ্জ, যার কারণে আমের রাজধানী নামেও পরিচিতি পেয়েছে রাজশাহীর চাঁপাই নবাবগঞ্জের আম।

    শরীরে আমের কাজ কি?

    এগুলি ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উত্স, দুটি পুষ্টি যা স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন এবং নিম্ন রক্তচাপের সাথে যুক্ত। ম্যাঙ্গিফেরিন, আমের মধ্যে পাওয়া আরেকটি পদার্থ, প্রাথমিক গবেষণায় হার্টের প্রদাহের সম্ভাব্য চিকিত্সা হিসাবে প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে। আম খেলে হজমশক্তি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

    শেষ কথাঃ আমের উপকারিতা ও অপকারিতা

    আমরা জানি প্রতিটি জিনিসেরই ভালো এবং মন্দ দুইটি দিক থাকে। তেমনি আমের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে, অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয় এটা আমরা সবাই জানি। তাই প্রয়োজনের অধিক আম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

    আশা করি আপনারা আমাদের এই পোস্টটি যদি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেয়ে গিয়েছেন।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ