গ্রী এসি প্রাইস ইন বাংলাদেশ ২০২৪

বর্তমান সময়ে মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে। এখন মানুষ অনেক টাকা আয় করে। যার কারণে দিন দিন মানুষ সুখ খুঁজছে। মানুষ সুখের জন্য অনেক টাকা খরচ করছে। গরম থেকে বাঁচার জন্য বাসায় এসি লাগাচ্ছে।

গ্রী এসি প্রাইস ইন বাংলাদেশ

বর্তমান সময়ে অনেক কোম্পানির এসি পাওয়া যাচ্ছে। গ্রী বর্তমান সময়ে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গ্রী এসি প্রাইস ইন বাংলাদেশ। গ্রী কোম্পানির অনেক কোয়ালিটির এসি রয়েছে। নিম্নে, গ্রী এসি প্রাইস ইন বাংলাদেশ এর সকল তথ্য তুলে ধরা হলো।

    গ্রী এসি কত প্রকার?

    বর্তমান সময়ে মানুষ অফিস এবং বাসায় এসি লাগাচ্ছে। এসির অনেক কোম্পানি রয়েছে। বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় এসি কোম্পানি গ্রী। গ্রী এসি কত প্রকার? অনেকে জানতে চাই। গ্রী এসি দুই প্রকার। যথা:
    1. গ্রী ইনভার্টার এসি।
    2. গ্রী নন-ইনভার্টার এসি।

    ভালো এসি চেনার উপায়:

    বর্তমানে দিন দিন গরম বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে বাসায় থাকা মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এইসব সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ বাসা এবং অফিসে এসি লাগাচ্ছে। তবে এসি লাগানোর আগে বেশি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। ভালো এসি চেনার উপায় রয়েছে।

    এসি কেনার আগে কি এসে কিনবেন সেটা আগে ঠিক করতে হবে। উইন্ডো নাকি স্প্লিট এসি সেটা আগে নির্ণয় করতে হবে। তারপর কত টন এসির প্রয়োজন তা বুঝতে হবে। তারপরে এসে লাগাতে হবে। বর্তমানে বাজারে অনেক কোম্পানির এসি রয়েছে। তবে এসসি চেনার উপায় রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ Walton XANON X20 Price In Bangladesh

    প্রথমে কোম্পানি সম্পর্কে জানতে হবে। এবং সার্ভিস কেমন দেয় সেটা জানতে হবে। এবং এসির শব্দ কেমন সেই সম্পর্কে জানতে হবে। কারেন্ট বিল কেমন আসে সেটার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যাদের এসি সম্পর্কে ধারণা আছে, তাদের নিয়ে গিয়ে এসি নেওয়া।

    সবচেয়ে ভালো এসি কোনটি?

    বর্তমানে বাংলাদেশ অনেক কোম্পানির এসি পাওয়া যায়। প্রায় সবগুলো এসি ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। এই কারণে কোন কোম্পানির এসিকে খারাপ বলা যাবে না। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ভালো মানের কয়েকটি এসির নাম তুলে ধরা হলো:
    1. গ্রী এসি 
    2. স্যামসাং এসি 
    3. সিঙ্গার ইনভার্টার এসি
    4. জেনারেল এসি
    5. ওয়ালটন এসি

    এসি ভালো হলে কিভাবে বুঝবো:

    বর্তমানে শহর অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এসি রয়েছে। এখন অনেকে গ্রামের বাসায় এসি লাগাচ্ছে। তবে অনেক এসির সমস্যা হয়। এসি ভালো হলে কিভাবে বুঝব অনেকে জানতে চাই। যদি বেশি ভালো হয় তাহলে শব্দ কম হবে। এবং খুব সহজেই ঘরের তাপমাত্রা কমাতে পারবে।

    এসি ভালো হলে কিভাবে বুঝবো

    কারেন্ট বিল অনেক কম আসবে। এছাড়াও খুব সহজে নষ্ট হবে না। খুব সহজে নষ্ট না হলে বুঝতে পারবেন এসি ভালো। আর যদি কিনার এক থেকে দুই মাসের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে বুঝবেন এসি ভালো না। ইলেকট্রনিক জিনিস সবসময় ভালো ব্র্যান্ডের কিনতে হয়।

    গ্রী এসি কোন দেশের কোম্পানি?

    বাংলাদেশে অনেক কোম্পানির এসি চলে। তবে গ্রী এসি বাংলাদেশের অনেক বড় বাজার ধরে রেখেছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিগুলো চায়নার। 

    গ্রী এসিও চায়না একটি রিনাউন্ট ব্র্যান্ডের পণ্য। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১০০ টি দেশে গ্রী এয়ারকন্ডিশনার সুনামের সাথে বিজনেস করছে।

    গ্রী কি চীনের তৈরি?

    গ্রী কি চীনের তৈরি এই বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই। বাংলাদেশের প্রায় সকল ইলেকট্রনিক পণ্য চীন থেকে আসে। ঠিক একই ভাবে গ্রী এসি চিনের তৈরি।


    গ্রী এসি চীনের তৈরি হলেও অনেক ভালো মানের। অনেকদিন থেকে মানুষ কে বিশ্বাসের সাথে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

    গ্রী এসি প্রাইস ইন বাংলাদেশ:

    গ্রী এসি প্রাইস ইন বাংলাদেশ এ বিষয়ে অনেকে প্রশ্ন করে থাকে। বর্তমান সময়ে সকল প্রোডাক্ট এর দাম অনলাইনে জানা যায়। ঠিক একইভাবে গ্রী এসির দাম অনলাইনে জানতে পারবেন। এসির দাম মডেল এবং টন অনুযায়ী কম বেশি হয়ে থাকে। নিম্ন, গ্রী এসি প্রাইস ইন বাংলাদেশ তুলে ধরা হলো:
    1. Gree Portable AC 1 Ton GP-12NLF410 - 45,500.00৳ 
    2. Gree 2 Ton Non Inverter AC GS-24LM410 Official Air Conditioner - 72,500.00৳ 
    3. Gree 1.5 Ton Non Inverter AC GS-18LM410 Official Air Conditioner - 60,000.00৳ 
    4. Gree 1 Ton Non Inverter AC GS-12LM410 Official Air Conditioner - 46,500.00৳ 
    5. Gree 2 Ton AC Non Inverter GS-24MU410 Official Air Conditioner - 72,500.00৳ 
    6. Gree AC 1.5 Ton Non Inverter GS-18NFA410 Official Air Conditioner - 63,500.00৳ 
    7. Gree Inverter 2.5 Ton GS-30XFV32 Official Air Conditioner - 121,500.00৳ 
    8. Gree 5 Ton Cassette Type Inverter AC GS-60XTWV32 - 254,500.00৳ 
    9. Gree 4 Ton Cassette Type Inverter AC GS-48XTWV32 - 218,000.00৳ 

    গ্রী এসির দামের তালিকা ২০২৩:

    বর্তমান সময়ে অনেক কোম্পানির এসি বাজারে রয়েছে। তবে গ্রী এসি মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই অনেকেই গ্রী এসি কিনার জন্য খুজ করছে। উপরে গ্রী এসির দামের তালিকা ২০২৩ তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও অনলাইনে খুজ করলে আরো ভালো জানতে পারবেন।

    এক টন GREE এসির দাম কত? 

    বাসা বাড়িতে সাধারণত এক টন এসি হলেই একটি রুম ভালোভাবে চলে। এক টন GREE এসির দাম কত? অনেকেই জানতে চাই। বর্তমান সময়ে এক টন গ্রী এসির দাম ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। বিভিন্ন মডেল অনুযায়ী দাম কম বেশি হয়ে থাকে। এবং অনেক ফিউচার থাকে তার উপর ভিত্তি করে।

    ইনভার্টার এসির দাম:

    ইনভার্টার এসির দাম এসির দাম নিম্ন তুলে ধরা হলো:
    1. Midea MSA18CRN1 1.5 ton Wall Mountable Inverter Split AC - ৳ 52,000
    2. Smart SEA-224SIS 2-Ton Inverter Air Conditioner - ৳ ৫৬,৫০০
    3. Smart SEA-218SIS LED 1.5-Ton Inverter AC - ৳ ৪৬,৪৯০
    4. Gree GS-60XTWV32 5-Ton Cassette-Type Inverter AC - ৳ ২২১,৯৯০

    ইনভার্টার নাকি নন-ইনভার্টার কোন এসি কিনবেন?

    ইনভার্টার এসি এবং নন-ইনভার্টার এসি দুটোই ঘরে ব্যবহার করা হয়। দুই এসির কাজ দুই রকম। ইনভার্টার এসি খুব দ্রুত ঘর ঠান্ডা করে। ইনভার্টার এসি চালু করার সাথে সাথে অনেক শক্তি খরচ হয়। কারণ খুব দ্রুত হওয়ার ঠান্ডা করে।

    ইনভার্টার নাকি নন-ইনভার্টার কোন এসি কিনবেন

    ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে পুনরায় শক্তি কমিয়ে ধীরে ধীরে চলতে থাকে। নন-ইনভার্টার কি চালু করলে স্বাভাবিক ভাবে চলতে থাকে। এই এসি আস্তে আস্তে ঘর ঠান্ডা করে। 

    ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে নন-ইনভার্টার এসি পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। এবং সময় মত পুনরায় চালু হয়। এইভাবে ঘর ঠান্ডা রাখে। আপনার সুবিধা অনুযায়ী যেকোনো এসি কিনতে পারেন।

    জানালা এসি থেকে পানি বের হয় কেন?

    এসি থেকে যে পানি বের হয় সেটা আসলে জলীয় বাষ্প। এসির ঠান্ডা গ্লাসের উপর জলীয় বাষ্প পড়ার ফলে ঘনীভূত হয়ে পানিতে রুপান্তরিত হয়। তারপর আস্তে আস্তে ফোটায় ফোটায় পড়ে। শীতকালেও ঠিক একইভাবে জানালার গ্লাসে ফোটায় পানি জমে।


    এসি চালু হলে ভিতরে ঠান্ডা হয় যার ফলে জলীয় বাষ্প পানিতে রূপান্তরিত হয়ে পড়ে। এসি চলার কারণে দিন দিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এইসব কারণে আবহাওয়া তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    কোন কোম্পানির এসি ভালো?

    বাংলাদেশের বাজারে অনেক ধরনের এসির কোম্পানি রয়েছে। প্রায় সকল কোম্পানির এসি ভালো। তবে কিছু কিছু কোম্পানির এসি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নিম্নে কিছু ভালো কোম্পানির দেশের নাম তুলে ধরা হলো:
    1. গ্রী এসি 
    2. স্যামসাং এসি 
    3. সিঙ্গার ইনভার্টার এসি
    4. জেনারেল এসি
    5. ওয়ালটন এসি
    6. এলজি এসি

    বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো এসি কোনটি?

    ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিগুলো প্রায় সকলে ভালো। কারণ কোন সমস্যা হলে তারা সার্ভিসিং করে দেয়। বর্তমানে বাজারে অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলো অনেকদিন ধরে বাজারে টিকে রয়েছে। তবে এসি কেনার আগে এসির কোম্পানি সম্পর্কে জানতে হবে। 

    এবং আপনার জায়গা অনুযায়ী এসির টন নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে আপনি বাজারের যেকোনো এসি ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবে। উপরে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো কয়েকটি এসি কোম্পানির নাম তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে যেকোনো একটি কোম্পানির এসি ব্যবহার করতে পারেন।

    শেষ কথা: গ্রী এসি প্রাইস ইন বাংলাদেশ

    বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ আর্থিকভাবে সচল হয়েছে। যার কারণে তারা বাসা বাড়িতে এসি লাগাচ্ছে। কারণ বিদ্যুৎ চলে গেলে বাসায় থাকা যায় না। এছাড়াও দিন দিন আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। যার ফলে অনেক গরম লাগছে। এই গরম থেকে বাঁচার জন্য এসি খুব কার্যকরী।

    বর্তমান বাজারে গ্রী এসি অনেক জনপ্রিয়। গ্রী এসি প্রাইস ইন বাংলাদেশ অনেকে জানতে চাই। উপরে সেই সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ