কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর ৫ টি সুপার টিপস



উন্ডোজের গতি বাড়ানোর সুপার টিপস: বর্তমান যুগ হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ, আর আমরা প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে এটার উপর এতোটাই নির্ভশীল হয়ে পড়েছি যে একবেলা খাবার না খেলেও চলে তবে এর থেকে দূরে থাকার কথা চিন্তা করতে পারিনা। সেই রকমই একটি যন্ত্র হচ্ছে কম্পিউটার। এই ডিভাইসটির উপর আমরা অনেকেই অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। আর এই কম্পিউটার এর অধিকাংশ মাইক্রোসফটের উন্ডোজ ব্যবহারকারী। কারন এটি খুব জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম আর ইউজার ফ্রেন্ডলী, তাই এর জনপ্রিয়তাও সবার শীর্ষে।


আমরা যারা কম্পিউটারে উন্ডোজের ব্যবহারকারী তারা সবাই কোন না কোন সময় খেয়াল করি যে উন্ডোজ.৭, ৮, ১০ এর কাজ করার ক্ষমতা একটু কমে গেছে মনে হয়। আবার ধরেন উন্ডোজ সেটাপ দেবার পরে যেমন দ্রুত কাজ করত কিছুদিন পরে আর সেই পারফরমেন্সটা আর নেই। অনেক সময় আমাদের কম্পিউটার অন করার সময় দীর্ঘ সময় নিয়ে অন হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য একসময় বিরক্তি কর হয়ে উঠে। তাই আবার অনেকে ভেবেই বসেন যে, আমার কম্পিউটারে নতুন করে আবার উন্ডোজ সেটাআপ করতে হবে।


এখন প্রশ্ন হলো নতুন করে উন্ডোজ সেটাপ দিলেই কি এর সমাধান হয়ে যাবে? নতুন করে উন্ডোজ সেটাপ দেবার পরে কিছুদিন পরে তো আবার ঠিক পূর্বের নেয় আপনার কম্পিউটার স্লো-কাজ করতে পারে। আর বিশেষ করে উন্ডোজ ১০ এর স্লো কাজ করার কারণ হচ্ছে এখানে অনেক গুলো অ্যাপ বা ফিচারসমূহ ডিফল্ট ভাবে ইন্সটল হয়ে থাকে। যা ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করে থাকে আমাদের অজান্তেই। এর ফলে কি হয় আমাদের কম্পিউটেরের র‍্যাম, রম ইত্যাদির জায়গা খেয়ে বসে থাকে, তারপরে আমাদের পিসি স্লো হয়ে যায় যা আমাদের বিরক্তির অন্যতম একটা কারণ। তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে এই সমস্যার সমাধান কি ?

হ্যাঁ আজকে আমি এর থেকেই মুক্তি পাবার কিছু উপায় বলে দেবো আপনাকে। আশা করছি এই পদ্ধতি গুলো আপনি ফলো করলে আশানুরূপ উন্ডোজের স্পিড পাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি সেই পদ্ধতিসমূহ।

উন্ডোজের গতি বাড়ানোর ৫টি সুপার টিপসঃ


টিপস নাম্বার ১ঃ কী-বোর্ড থেকে আপনাকে প্রথমে ( Windows button + S ) প্রেস করে সার্চ অপশনে লিখতে হবে Startup তাহলে আপনি কম্পিউটার অন হওয়ার সময় যেই apps গুলো নিজে থেকেই চালু হয় তার একটা তালিকা পেয়ে যাবেন স্কিনশটের মতো।

এখান থেকে যেইগুলোর প্রয়োজন নেই সেগুলো অফ করে রাখতে পারেন। এতে করে আপনার কম্পিউটার অন হতে খুব বেশি সময় নিবেনা।

টিপস নাম্বার ২ঃ এরপর আপনি পারফরমেন্স বাড়ানোর জন্যে যা করতে পারেন সেটি হচ্ছে। আপনি আপনার This pc থেকে মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করে properties  এ ক্লিক করবেন। তারপরে প্রথম স্কিনশটে দেখানো উন্ডোটির মতো একটা উন্ডো পেয়ে যাবেন।

তারপরে আপনি স্কিনশটে দেখানো Settings অপশনে ক্লিক করলে আরো একটি উন্ডো ওপেন হবে ঠিক নিচের ছবিতে যেভাবে আছে।


ডিফল্টভাবে আপনি দেখতে পাবেন Let windows choose waht’s best for my computer এই অপশনটি। তবে স্পিড বাড়ানোর জন্য আপনি Custom সিলেক্ট করে Show window contents while dragging and smooth edges of screen fonts সিলেক্ট করে দিতে পারেন এবং ফাইনালি আপনি apply then ok বাটন প্রেস করে দেবেন।

টিপস নাম্বার ৩ঃ স্পিড বাড়ানোর জন্যে আরেকটি কার্যকরী টিপস হচ্ছে Disk Optimize. এর মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটারে ভাল পারফরমেন্স পাবেন। চলুন তাহলে কিভাবে এটি Apply করবেন দেখে নেই।

প্রথমে আপনি কী-বোর্ড থেকে Windows key + S প্রেস করে Defragment টাইপ করলেই নিচের স্কিনশটের মতো একটি উন্ডো ওপেন হয়ে যাবে। 


এরপরে Defragment এ ক্লিক করলে সাইটে দেখানো উন্ডোর মতো আরো একটি উন্ডো ওপেন হয়ে যাবে এবং আপনি C drive থেকে শুরু করে সমস্ত ড্রাইভ এখান থেকে Optimize করে নিতে পারেন। এতে করে আপনার কম্পিউটারের গতি বেড়ে যাবে আগের তুলনায়।

টিপস নাম্বার ৪ঃ এখন আপনি যেটা জানতে যাচ্ছেন সেটি হলো টেম্পোরারী ফাইল গুলো কিভাবে মুছে ফেলবেন আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর জন্যে। আপনাকে যেটা করতে হবে সেটি হচ্ছে কী-বোর্ডের Window key + R বাটন প্রেস করে %temp%, temp, recent, prefetch একটি একটি করে টাইপ করে Enter প্রেস করে ডিলিট করে দেবেন। এতে ভয় পাবার কিছু নেই, এখান থেকে শুধুমাত্র আপনার অপ্রয়োজনীয় ফাইল গুলোই শুধু মুছে যাবে। নিচের স্কিনশটি ফলো করুন।


এইভাবে একটি একটি করে সবগুলো কমান্ড ব্যবহার করবেন, আশা করি ভালো গতি পাবেন আপনার কম্পিউটারে।



টিপস নাম্বার ৪ঃ  ডিস্ক ক্লিন করেও আপনি স্পিড বাড়াতে পারেন খুব সহজেই, নিচের স্কিনশটের মতো করে আপনার হার্ড ডিস্কের সমস্ত ড্রাইভ গুলো ক্লিন করে নিতে পারেন।

যেকোন ড্রাইভ সিলেক্ট করে মাউসের রাইট বাটন প্রেস করে Propertise থেকে ডিস্কক্লিন করে নিলেই আপনার কাজ শেষ।

উপরের দেখানো এই পাচটি পদ্ধতি ফলো করে খুব সহজেই আপনি আপনার পিসিকে অপটিমাইজ করে ফেলতে পারবেন এবং আগের তুলনায় অনেক দ্রুত কাজ করা শুরু করবে আপনার কম্পিউটারটি। এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যেকোন মতামত থাকলে তা আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। 

উন্ডোজ সেটআপের পরে কি কি করণীয়ে জানতে ক্লিক করুন এখানে আরও পড়ুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)