ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়সমূহ ২০২৪

earn money from blogger

জেনে নিন ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়সমূহঃ

ব্লগকে বিভিন্ন উপায়ে মনিটাইজ করা যেতে পারে। ব্লগিং করে থেকে টাকা উপার্জনের জন্য অনলাইন উপার্জন সংক্রান্ত বিভিন্ন মডেল এবং সেরা পদ্ধতিগুলি দেখুন।

আপনার যদি কোনও ব্লগ বা সাইট থাকে – বা এইরকম কিছু শুরু করার কথা ভেবে থাকেন – তাহলে জেনে রাখুন যে আপনার কাছে এখনও উপার্জন করার সুবিধা রয়েছে। ব্লগকে বিভিন্ন উপায়ে মনিটাইজ করা যেতে পারে এবং এখান থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। 

এই পোস্টের মাধ্যেমে আমি অনলাইনে উপার্জন সংক্রান্ত বিভিন্ন মডেল এবং ডিজিটাল কন্টেন্ট মনিটাইজ করার সেরা পদ্ধতিগুলির কথা বলেছি। তাই আপনারা এই প্রাথমিক বিষয় দিয়ে শুরু করুন ব্লগিং থেকে টাকা উপার্জন করার জন্যে।

মনিটাইজেশন কী? 

সহজভাবে বলতে গেলে মনিটাইজেশনের অর্থ হল আপনার সাইট থেকে টাকা উপার্জন করার জন্য গুগলের এডসেন্সের সাথে সংযুক্ত হওয়া এবং আপনি নিজের ব্লগে অনলাইন কন্টেন্ট থেকে উপার্জন করলে সেটিকে মনিটাইজেশন বলা হবে।

আপনার ব্লগ থেকে টাকা উপার্জন শুরু করার জন্য, এখানে বেশ কিছু অনলাইন ব্যবসায়িক মডেল আছে যেমন ধরুন:

  1. বিজ্ঞাপন
  2. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  3. সরাসরি বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্টের অফার
  4. সাবস্ক্রিপশন
  5. কোচিং

চলুন তাহলে এই পর্যায়ে কীভাবে আপনি নিজের এবং আপনার ব্লগের জন্য এই কাজগুলি করতে পারেন? এবং ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় কিভাবে ব্লগ থেকে আয় করবেন এই সমস্ত বিষয়ে। ব্লগিং করে অনলাইনে ইনকাম করার জন্যে মনিটাইজেশনের প্রতিটি মডেলকে খুব ভাল করে বুঝে নেওয়া যাক।

1) বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্লগ থেকে টাকা উপার্জন:

একজন ব্লগের প্রকাশক হিসেবে, আপনার অনলাইন কন্টেন্টে বিজ্ঞাপন যোগ করলে সহজে টাকা পেতে পারবেন। বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার অডিয়েন্সের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পেমেন্ট করতে ইচ্ছুক। 

ঠিক একইভাবে বেশিমাত্রায় সার্কুলেট হওয়া সংবাদপত্রিকা বিজ্ঞাপনদাতাদের আরও বেশি চার্জ করতে পারে, আপনার সাইট এবং কন্টেন্ট যত বেশি জনপ্রিয় আপনি তত বেশি উপার্জন করতে পারবেন।

আপনার কন্টেন্টের সাথে যেসমস্ত ব্যবসার বিজ্ঞাপন আপনি দেখাতে চান সেগুলির জন্য আপনি বিজ্ঞাপন দেখানোর স্লট অফার করতে পারেন। এটিকে সরাসরি ডিল বলা হয়। 

আপনার হয়ে বিজ্ঞাপন দেখানোর স্লট বিক্রি করার জন্য Google AdSense-এর মতো বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের ব্যবহারও আপনি করতে পারেন আপনার এই ব্লগিং সাইটের মাধ্যেমে।

আপনার ব্লগের নির্দিষ্ট পৃষ্ঠায় উপস্থিত কন্টেন্টের সাথে প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন দেখানোর বিষয়ে AdSense সাহায্য করে। যেমন- আপনার ব্লগটি অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণের বিষয়ে থাকলে এবং Rekyavik-এ ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনও পোস্ট এইমাত্র আপলোড করে থাকলে, AdSense আপনাকে হয়ত ভ্রমণ সংক্রান্ত বীমা, আইসল্যান্ড বা উষ্ণ পোশাক সম্পর্কে কোনও বিজ্ঞাপন দেখাবে। 

যেখানে বিজ্ঞাপনটি দেখানো হচ্ছে সেই সাইটের মালিক হিসেবে, কোনও ব্যবহারকারী যখন কোনও বিজ্ঞাপন দেখেন বা যোগাযোগ করেন তখন AdSense আপনাকে পেমেন্ট করে।

অনলাইন বিজ্ঞাপনগুলিকে আপনার ব্লগের কন্টেন্ট এবং পাঠকদের জন্য প্রাসঙ্গিক করে তোলার দক্ষতা সহ, অনেক বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার বিজ্ঞাপনের স্লটের জন্য একটি প্রিমিয়াম মূল্য দিতে আগ্রহী হবে অনায়াসেই।

2) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনি যখন অন্য কোনও সাইটের পণ্য বিক্রয়ের জন্য কোনও প্রোডাক্ট বা পরিসেবা আপনার কন্টেন্টে বা ওয়েবসাইটে কোনও লিঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করেন। এটি কীভাবে কাজ করে তা এখানে রয়েছে, যখন কেউ আপনার সাইটে লিংকটি ক্লিক করে এবং অ্যাফিলিয়েট সাইটে যায়। 

আপনার অনুমোদন করা প্রোডাক্ট কেনার জন্য প্রসেস করা হয় এবং আপনি সেই বিক্রয়ের উপর কমিশন পান। প্রোডাক্টের সাজেশনে আগ্রহী এমন নিযুক্ত দর্শক সহ ব্লগের জন্য, এটি একটি কার্যকরী উপার্জনের মডেল হতে পারে। 

তথ্য সংক্রান্ত, কীভাবে এবং লাইফস্টাইল সংক্রান্ত নিবন্ধগুলি অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রচারের জন্য প্রচুর সুযোগ দেয়। অ্যাডভেঞ্চার ট্রাভেল ব্লগটিকেই আবার উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যেতে পারে, ধরুন আপনি সাঁতার কাটার দুর্দান্ত লোকেশন সম্পর্কে পোস্ট করেছেন। 

গিয়ার সাজেস্ট করতে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবহার করতে পারেন – যেমন সুইমসুট, তোয়ালে এবং চশমা - যা আপনি আপনার ভ্রমণের জন্য প্যাক করেছেন। ব্লগের কোনও পাঠক আপনার সাজেস্ট করা সুইমসুট লিঙ্কে ক্লিক করে সেটি কিনলে, ব্লগ থেকে আপনি উপার্জন করবেন।

আপনার দর্শকদের বিশ্বাস বজায় রাখতে, গ্রাহকের সাথে আপনার সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করুন। অনেক দেশে গ্রাহকের সাথে আপনার সম্পর্ক প্রকাশ করার জন্য আইনত বাধ্যবাধকতা আছে, সুতরাং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে যুক্ত হওয়ার আগে আইনি পরামর্শ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নিন। 

এছাড়াও আপনার ব্লগের খ্যাতি আপনার প্রোডাক্ট বা প্রচার করা পরিষেবার সাথে সম্পর্কযুক্ত, সুতরাং আপনার অ্যাফিলিয়েট পার্টনার বেছে নেওয়ার সময় কোয়ালিটির বিষয়টি মনে রাখুন।

3) সরাসরি বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্টের অফার:

নিজেদের ব্লগ থেকে আয় করার জন্য এখন অনেক ব্লগার অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে নিজেদের প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার চেষ্টা করছেন। আপনার প্রোডাক্ট ফিজিক্যাল বা ডিজিটাল হতে পারে। 

অ্যাডভেঞ্চার ট্রাভেল ব্লগের উদাহরণে, আপনার লোগো প্রদর্শিত টি-শার্ট বা বিদেশী গন্তব্যের জন্য ডিজিটাল গাইডবুক বিক্রি করতে পারেন। আপনার প্রোডাক্ট ফিজিক্যাল বা ভার্চুয়াল যাই হোক না কেন, পেমেন্ট গ্রহণের জন্য আপনাকে সিস্টেম সেট করতে হবে। 

ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বিক্রি করার সময় আপনাকে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে তা হল- স্টক স্টোর করা, শিপিং অর্গানাইজ করা এবং কর ও শুল্ক ম্যানেজ করা। ডিজিটাল প্রোডাক্ট লজিস্টিক্যালি কম জটিল কারণ সেগুলি অনলাইনে ডেলিভার করা যেতে পারে।

4) সাবস্ক্রিপশন আয়ের নতুন স্ট্রিম যোগ করার জন্য সাধারণ ফি চার্জ করুনঃ

যদি আপনার ব্লগের কোনও অ্যাক্টিভ কমিউনিটি থাকে যারা আপনার বিষয় সম্পর্কে আরও জানতে চায় বা আগ্রহ প্রকাশ করছেন, সেইক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে উপার্জনের জন্য পেড মেম্বারশিপ বা সাবস্ক্রিপশন মডেল হল আপনার মূল্যবান কন্টেন্ট ব্যবহারের অন্যতম উপায় এই প্লাটফর্মের মাধ্যেমে।

এই ধরনের ব্যবসায়িক মডেলে, পাঠকরা নিয়মিতভাবে, মাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পেমেন্ট করে। এইভাবে পাঠকদের কাছ থেকে মেম্বারশিপ বা সাবস্ক্রিপশন ফি সংগ্রহ করে, আপনি বার বার আয় করতে পারেন। 

এই ধরনের অনবরত ক্যাশ ফ্লো আরও স্থিতিশীল, অনুমানযোগ্য এবং সঠিক উপার্জনের স্ট্রিমের সম্ভাবনা অফার করে। বিনিময়ে, আপনি সাবস্ক্রাইবার বা মেম্বার প্রিমিয়াম কন্টেন্ট, কমিউনিটি এরিয়া, শেখার সংস্থান, ভিডিও বা অতিরিক্ত পরিষেবা এবং টুল সরবরাহ করতে পারেন। আপনার ব্লগের সাথে মানানসই হবে এমন বিভিন্ন ধরনের বেশ কিছু এলিমেন্ট একত্রিত করতে পারেন।

5) কোচিং বা ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ব্লগকে মনিটাইজ করুন :

আপনি ব্লগের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পরিষেবা অফার করলে অনলাইন কোর্স বা কোচিং প্যাকেজ সেট-আপ করে তাতে চার্জ বসিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই।

আপনি যখন ভিডিও বা ডাউনলোড করা যাবে এমন ইবুকের মতো স্ব-নির্দেশিত শিক্ষামূলক উপকরণ তৈরি করবেন, তখন আপনি আপনার অডিয়েন্সদের মধ্যে যারা মেম্বার তাদের নিজের মতো করে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে দেবেন। আর সেই ব্যক্তিরা আপনার কোর্স করা চালিয়ে গেলে, তাদের অন্যান্য বিষয়ে আগ্রহের সম্পর্কে আপনি জানতে পারেন।

একটি অনলাইন পাঠ্যক্রম ডেভেলপ করতে আগে থেকেই যথেষ্ট সময় এবং সংস্থান প্রয়োজন হতে পারে, সুতরাং এটি কার্যকর করতে আপনার এই বিষয়ের সাথে যুক্ত অডিয়েন্সের দরকার হবে। আয় বাড়ানোর আর একটি বিকল্প হল লাইভ ভিডিও কোচিং অফার করা এবং আপনি সময় দিচ্ছেন বলে আপনাকে টাকা দেওয়া হবে। 

আপনার অফারটি অনলাইন কোর্স বা অন-ডিমান্ড কোচিং যার উপরেই ভিত্তি করে হোক না কেন, আপনি ইমেলের মাধ্যমে বা আপনার ব্লগের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথোপকথন করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

এই ধরনের তথ্যবহুল পোস্ট গুলো পেতে আমাদের পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের অফিশিয়াল পেজ গুলো ফলো করলে নতুন কোন পোস্ট করার সাথে সাথে আপনার কাছে নোটিফিকেশন চলে যাবে এছাড়াও আপনার যদি ব্যক্তিগত কোনো মতামত থাকে তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই আপনি জানাতে পারবেন মেসেঞ্জারে টেক্সট করে অথবা কন্টাক্ট ফর্ম পূরণের মাধ্যমে।

কোন কোন ব্যাংকে ডিপিএস এর লাভ বেশি জানতে এখানে ক্লিক করুন আরও পড়ুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)