ডোমেইন হোস্টিং কি? এবং কেন আপনি এটি ব্যবহার করেছেন?

বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট থেকে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। তবে সবাই ওয়েবসাইট খুলতে পারে না। তার জন্য কিছু নির্দেশনা রয়েছে। এবং কিছু নির্দেশনা অনুযায়ী ওয়েবসাইট খুলতে হয়। ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ডোমেইন এবং হোস্টিং। 

ডোমেইন হোস্টিং কি এবং কেন আপনি এটি ব্যবহার করেছেন

ডোমেইন এবং হোস্টিং এর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। ডোমেইন হোস্টিং কি? এবং কেন আপনি এটি ব্যবহার করেছেন? ওয়েবসাইট  তৈরি করতে হলে প্রথমে ওয়েবসাইটের নাম সিলেক্ট করতে হয়। আর এই ওয়েবসাইটের নামকে বলা হয় ডোমেইন। 

ওয়েবসাইটের জন্য শুধু ডোমেইন থাকলেই হবে না। তার সঠিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। ওয়েবসাইটের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে হোস্টিং। নিম্নে ডোমেইন এবং হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

    ডোমেইন কি?

    ওয়েবসাইট সম্পর্কে আমাদের কম বেশি সকলের ধারণা রয়েছে। প্রতিটি ওয়েবসাইটের ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে। ওয়েবসাইটের যে নাম থাকে তাকেই ডোমেইন বলা হয়। এই ডোমিইন এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট কে অন্য ওয়েবসাইট থেকে পৃথকভাবে শনাক্ত করতে ভূমিকা রাখে।

    ধরুন গুগলে সার্চ করলেন www.google.com দিয়ে। সাথে সাথে google ওপেন হয়ে গেল। অথবা www. facebook.com দিয়ে সার্চ করলে গুগল ওপেন হয়। ঠিক একই ভাবে আপনার ওয়েবসাইটের নাম এর শেষে .com দিয়ে সার্চ করলে আপনার ওয়েবসাইট ওপেন হয়ে যাবে। যে কিওয়ার্ড দ্বারা আপনার ওয়েবসাইট সার্চ করা হয় সেটাই ডোমেইন।

    হোস্টিং কি?

    যাদের অনলাইন সম্পর্কে ধারণা রয়েছে তারা সকলে ডোমেইন কি জানে। কিন্তু অনেকেই হোস্টিং কি সেই সম্পর্কে জানেনা। আপনার ওয়েবসাইটের নাম হচ্ছে ডোমেইন। আপনার এই ডোমেইন এমন 
    জায়গায় রাখতে হবে যাতে করে সার্চ করলে পাওয়া যায়। 

    সার্চ করার সাথে সাথে সার্চ কারীর আইপি অ্যাড্রেস এ আপনার ডোমেন শো করায় হোস্টিং। এই হোস্টিং কোম্পানিগুলো মাসিক এবং বাৎসরিক চার্জের মাধ্যমে সেবা দিয়ে থাকে। 

    আপনার ওয়েবসাইটে যেসব কন্টেন্ট, ইমেজ, ভিডিও থাকে এগুলোকে জোন সার্চ কারীর আইপি অ্যাড্রেসের শো করায়। যার কারণে আপনার ওয়েবসাইটের ভিউ বৃদ্ধি পায়। এই কাজটি করে থাকে হোস্টিং।

    ডোমেইন হোস্টিং কি?

    ডোমেইন এবং হোস্টিং দুইটার কাজ ভিন্ন। ডোমেইন হচ্ছে ওয়েবসাইটের নাম। এই ডোমেইন নাম দিয়ে সার্চ করলে, পৃথকভাবে ডোমেইন সার্চ কারীর কাছে পৌঁছানোর কাজ করে হোস্টিং।


    এই কারণে ডোমেইন  এবং হোস্টিং দুইটারই প্রয়োজন পড়ে ওয়েবসাইট র‍্যাঙ্ক করাতে। তাই ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করলে ডোমেইন এবং হোস্টিং সম্পর্কে ধারণা থাকা আবশ্যক।

    ডোমেইন ও হোস্টিং এর মধ্যে পার্থক্য:

    ডোমেইন ও হোস্টিং একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত ভাবে কাজ করলেও দুইটির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। নিম্নে ডোমেইন ও হোস্টিং এর মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হলো:

    ডোমেইন:

    1. প্রতিটি ওয়েবসাইটের নিজস্ব যে নাম থাকে তাকে ডোমেইন বলে।
    2. ডোমেইন একটি সাংখ্যিক IP ঠিকানা যার মাধ্যমে সকল ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইট পৃথক করতে সাহায্য করে।
    3. ডোমেইন একজন নির্দিষ্ট ইন্টারনেট ঠিকানা সুরক্ষিত থাকে। এই ডোমেইন কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।
    4. এটি মাসিক বা বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন প্রয়োজন, তাই এটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় না।
    5. ডোমেইন নামের সাহায্যে দর্শকেরা কনটেন্ট পৃথকভাবে চিনতে পারে

    হোস্টিং:

    1. ওয়েব সাইটের ফাইল গুলো কোন সার্ভারে সংরক্ষণ করে রাখাকে হোস্টিং বলে।
    2. হোস্টিং হল একটি নির্দিষ্ট স্থান যেখানে টেক্সট, ভিডিও, অডিও ও ফটো রাখা যায়।
    3. হোস্টিং কোম্পানির মাধ্যমে হোস্টিং কাজ করে।
    4. দর্শক কি দেখতে চাচ্ছে সেটা তার আইপি অ্যাড্রেস এ পাঠানোর কাজ করে হোস্টিং।
    5. কোন ব্যক্তি কিছু সার্চ করলে সেটা অ্যাক্সেস করে সার্চ কারীর আইপি অ্যাড্রেস এ পৌঁছানোর কাজ করে হোস্টিং।

    ডোমেইন এর কাজ কি?

    আমরা ডোমেইন সম্পর্কে আগেই ধারণা পেয়েছি। ডোমেইন এর কাজ কি সেটা জানতে হলে আগে আইপি এড্রেস সম্পর্কে জানতে হবে। প্রতিটি ডিভাইসের আলাদা আলাদা আইপি অ্যাড্রেস রয়েছে। 

    আইপি অ্যাড্রেস গুলো দেখতে নাম্বারের মত। মোবাইল ফোন কম্পিউটার সকলেরই পৃথক পৃথক আইপিএল রয়েছে। আমরা ইন্টারনেটে বিভিন্ন নামের সাহায্যে সার্চ করে থাকে। যেমন www.google.com এই নামে সার্চ করলে গুগল সম্পর্কে সকল তথ্য আমাদের সামনে ওপেন হয়ে যায়।

    ঠিক একই ভাবে কেউ যদি আপনার ডোমেইন নাম দিয়ে সার্চ করে তাহলে তার কাছে ডোমেইন অভিনয় হয়ে যাবে। ডোমেইন এর কাজ হল আপনার ওয়েবসাইটকে পৃথকভাবে শনাক্ত করানো।

    ডোমেইন কত প্রকার ও কি কি?

    ডোমেইন অনেক প্রকার। নিম্নে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ডোমানের নাম তুলে ধরা হলো:
    1. টপ লেভেল ডোমেইন।
    2. নিউ টপ লেভেল ডোমেইন।
    3. কান্ট্রি কোড টপ লেভেল ডোমেইন।
    4. সাব ডোমেইন।
    এইসব ডোমেইন এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় টপ লেভেল ডোমেইন। এই কারণে এর গুরুত্ব এত বেশি। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই টপ লেভেল ডোমেইন ব্যবহৃত হয়। নিম্নে টপ লেভেলের ডোমেইন এর নাম তুলে ধরা হলো:
    1.  .com
    2. .info
    3. .net
    4.  .gov
    5. .edu
    6. .org
    7. .mil

    ডোমেইন নেম কেন ব্যবহার করা হয়?

    নতুন ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে হলে সর্বপ্রথম প্রয়োজন পড়ে ডোমেইন নেম এর। কারণ, ডোমেইন নেম আপনার ওয়েবসাইট সকল ওয়েবসাইট থেকে পৃথক করে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যদি ডোমেইন নেম দিয়ে সার্চ করে তাহলেই সহজেই সেটা খুঁজে পায়। এই কারণেই ডোমেইন নেম ব্যবহার করা হয়।

    আমি কি নিজের ডোমেইন হোস্ট করতে পারি:

    ওয়েব সাইট থেকে থাকলে সকলকেই ডোমেইন হোস্টিং করতে হয়। কারণ হোস্টিং ছাড়া কোন ওয়েবসাইট র‍্যাঙ্ক করানো সম্ভব না। এ কারণে সকলকেই ডোমেইন হোস্ট করতে হয়। আপনি চাইলেও নিজে নিজে ডোমেইন হোস্ট করতে পারবেন।


    তবে তার জন্য আপনাকে হোস্টিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। বর্তমানে অনেক হোস্টিং কোম্পানি আছে যারা ফ্রিতে হোস্টিং করে থাকে।

    কাস্টম ডোমেইন এর দাম কত?

    আপনারা হয়তো জানেন কোন ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে ডোমেইন প্রয়োজন। আর এই ডোমেইন কিনতে হয়। এর নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে। মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আবার টাকা দিতে হয়। 

    বর্তমানে কাস্টম ডোমেইন এর এক বছরের জন্য দাম পড়ে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মতো। সময় ভেদে ডোমেইনে এর দাম কম বেশি রয়েছে।

    জি সুট ডোমেইন কি?

    জি সুট গুগল এর একটি ক্লাউড ভিত্তিক সেবা। G-Suite এর বিশ্ববাসী অনেক ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। সেগুলো হলো Gmail, Google Slides, Google Docs,  Google Sheet, Google Forms and Google Calendar. যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তারা সকলে জি সুট ডোমেইন সম্পর্কে কমবেশি জানে। 

    এই ডোমেেইন সাহায্যে সকল ধরনের কাজ সংরক্ষণ করে রাখা হয়। বর্তমান সময়ে কেউ আর খাতা কলম ব্যবহার করতে চায় না। জি সুট ডোমেইন সকল ধরনের ডকুমেন্টস রাখা সম্ভব হয়। এবং যেকোনো সময় এই ডকুমেন্টগুলো পাওয়া যায়। এ কারণে এর জনপ্রিয়তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

    টপ লেভেল ডোমেইন কি?

    শীর্ষ স্তরের ডোমেইন কে ইংরেজিতে টপ লেভেল ডোমেইন বলা হয়। এই ডোমেইন যে কেউ ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করলে খুব সহজেই র‍্যাংক করানো যায়। কারণ টপ লেভেল ডোমেইন দিয়েই সকলের ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে। 

    যার কারণে এই ডোমেইন দিয়ে বেশি সার্চ করা হয়। যার ফলে এই ডোমেইন টপ লেভেল ও হয়ে গিয়েছে। নিম্নে টপ লেভেল ডোমেইন এর নাম গুলো তুলে ধরা হলো: স্বাদ সেই স্বাদ
    1.  .com
    2. .info
    3. .net
    4.  .gov
    5. .edu
    6. .org
    7. .mil

    ডোমেইন নাম পরিবর্তন করলে কি এসইও প্রভাবিত হয়:

    অনেক সময় সমস্যার কারণে ডোমেইন এর নাম পরিবর্তন করতে হয়। কারণ সঠিক ডোমেইন না হলে সেই নামে সার্চ হয় না। যার কারণে ওয়েবসাইট তেমন র‍্যাংক করতে পারে না। এই কারণে ডোমেইন এর নাম পরিবর্তন করতে হয়। 

    অনেকেই জানতে চাই, ডোমেইন নাম পরিবর্তন করলে কি এসইও পরিবর্তন হয়। ডোমেইন নাম চেঞ্জ করলে অবশ্যই পরিবর্তন হবে। কারণ আগের নাম দিয়ে সকল ধরনের কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে। 

    যার ফলে ওইসব জায়গায় আপডেট না করা পর্যন্ত আগের ডোমেইনের নামে থাকে। যার ফলে ওয়েবসাইটের এসইও সমস্যা হয়ে থাকে।

    ডোমেইন হোস্টিং কন্ট্রোল করা হয় কিসের মাধ্যমে:

    প্রতি ডোমেইন হোস্টিং করতে হয়। কারণ হোস্টিং ওয়েবসাইট থেকে সকল তথ্য মানুষের কাছে সরবরাহ করে থাকে। যার কারণে অবশ্যই ডোমেইন হোস্টিং করতে হয়। হোস্টিংয়ের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট রয়েছে। 

    এই ওয়েবসাইট গুলো টাকার মাধ্যমে ডোমেইন হোস্টিং করে থাকে। যার কারণে তারাই ডোমেইন হোস্টিং কন্ট্রোল করে থাকে।

    তবে বর্তমানে কিছু কিছু ফ্রী হোস্টিং ওয়েবসাইট রয়েছে। যার মাধ্যমে ফ্রি হোস্টিং করা যায়। তবে সেগুলো হোস্টিং আপডেট করতে হয়। এর জন্য আপনাকে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে হোস্টিং কন্ট্রোল করতে হয়।

    ওয়েবসাইট এর কাজ কি?

    ওয়েবসাইট হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা। যেখানে একসাথে অনেকগুলো পেজ ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানি অনলাইন প্রচারণার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। এই ওয়েবসাইট গুলো চলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। 

    ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল তথ্য মানুষের কাছে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অডিও, ভিডিও, কনটেন্ট ও ফটো সকল কিছু উন্মুক্ত করে রাখা যায়। যার মাধ্যমে কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা করা হয়।

    বর্তমানে ওয়েবসাইট খুলে টাকা আয় করা সম্ভব। ওয়েবসাইট থেকে গুগল এডসেন্স পেলে সেখান থেকে আয় করা যায়। বর্তমানে ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে অনেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ওয়েবসাইটের কারণে মানুষের কাছে সকল তথ্য সহজেই পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে।

    ওয়েবসাইট কি কাজে ব্যবহার হয়?

    বর্তমান সময়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। এই ওয়েবসাইটের এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান সকল তথ্য দিয়ে রাখে। যার কারনে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোন ধরনের তথ্য জানার প্রয়োজন পড়ে না। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়া যায়।

    ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠান সকল ধরনের নোটিশ দেওয়া হয়। যার কারণে বর্তমানে সকল ধরনের কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়েবসাইট তৈরি করছে। এর ফলে খরচ কমেছে। এবং সঠিকভাবে সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এইজন্য ওয়েবসাইট গুলো তৈরি করা হয়ে থাকে।

    শেষ কথা: ডোমেইন হোস্টিং কি? এবং কেন আপনি এটি ব্যবহার করেছেন

    উপরের আলোচনা থেকে আমরা সকলে ডোমেইন সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। ডোমেইন ছাড়া কোন ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব হয় না। তবে শুধু ডোমিন দিয়ে একটু ওয়েবসাইট র‍্যাংক করানো সম্ভব হয় না। তার জন্য প্রয়োজন পড়ে হোস্টিং। 

    ডোমেইন এবং হোস্টিং মিলিয়ে একটু ওয়েবসাইট র‍্যাংক করানো সম্ভব হয়। আপনি যদি ওয়েবসাইট খুলে আয় করতে চান। তাহলে অবশ্যই ডোমেইন এবং হোস্টিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। 

    আমার বিশ্বাস এই কনটেন্ট পড়ে ডোমেইন এবং হোস্টিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ