বাংলাদেশে মানুষের তুলনায় কর্মসংস্থান অনেক কম। যার কারণে বাংলাদেশে বেকারত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকার বিদেশ লোক পাঠাচ্ছে। যার ফলে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রায় সকল দেশের মানুষ কাজের জন্য যাচ্ছে। বর্তমানে কানাডায় বাংলাদেশী শ্রমিকের অনেক চাহিদা রয়েছে। কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি। বর্তমানে কানাডায় অনেক কাজের চাহিদা রয়েছে। তবে তাদের সত্য দক্ষ কর্মী হতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে কানাডায় প্রচুর শূন্য পদ রয়েছে। কারণ তাদের কর্মসংস্থানের তুলনায় জনসংখ্যা কম। যার কারণে তারা বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার জন্য আগ্রহী।
কানাডা কোন মহাদেশে অবস্থিত?
কানাডা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। অনেকেই জানতে চাই কানাডার কোন মহাদেশে অবস্থিত। কানাডা উত্তর আমেরিকা মহাদেশ অবস্থিত। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের প্রায় ৪১% স্থান জুড়ে কানাডা অবস্থিত। এছাড়াও কানা ডাকে বলা হয় বিশ্বের সবথেকে শীতলতম স্থান।
কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি?
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ বিদেশ যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ কর্মসংস্থান খুব কম। যার কারণে মানুষ দেশের বিভিন্ন দেশে কাজের সন্ধানে যাচ্ছে। তবে বর্তমানে কানাডা সরকার বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানি করছে।
তবে, কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি? সেটা অনেকেই জানে না। বর্তমানে কানাডায় প্রায় সকল ধরনের কাজের সুবিধা রয়েছে। কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি? নিম্ন তুলে ধরা হলো:
- খাদ্য পরিবেশন
- নির্মাণ শ্রমিক
- স্বাস্থ্যসেবা
- পরিবহন
- বাসস্থান
- হোটেল বয়
- পরিচ্ছন্ন কর্মী
কানাডায় কি ট্রেডের চাহিদা আছে:
ট্রেডের শব্দের অর্থ হচ্ছে ধরন। কানাডায় প্রায় সকল ধরন ট্রেডের চাহিদা রয়েছে। তবে তাদের সত্য হচ্ছে সেই কাজের জন্য শ্রমিক অবশ্যই অভিজ্ঞ হতে হবে। যে ব্যক্তি যে কাজের অভিজ্ঞ তাকে সেই কাজ দেওয়া হবে। কানাডায় কি ট্রেডের চাহিদা আছে সেটা সঠিক করে বলা সম্ভব না।
আরও পড়ুনঃ আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম
কারণ বর্তমানে কানাডা সরকার অনেক ধরনের কাজের জন্য শ্রমিক নিচ্ছে। বিশেষ করে শ্রমিক নিচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাক্টরির কাজের জন্য। এছাড়াও সেবা ও পরিচ্ছন্ন কর্মী নিচ্ছে। তাই খুব সহজেই যেকোন ট্রেডে কানাডা যাওয়া সম্ভব।
কানাডায় জব অফার পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে?
প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে বিদেশ গিয়ে জব করার। তবে বিদেশ জব পেতে হলে বিভিন্ন ডকুমেন্ট দেখাতে হয়। কারণ, আপনি কোন কাজে দক্ষ সেটা না জেনে কোন দেশ আপনাকে কোন চাকরি দেবে না।
বর্তমানে মানুষ কানাডায় জবের জন্য চেষ্টা করছে। কানাডায় জব পেতে হল কিছু সত্য রয়েছে সেগুলো পূরণ করতে হয়। কানাডায় জব অফার পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে, নিম্নে তুলে ধরা হলো:
- যে কাজে কানাডায় যাবেন তার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে এবং চাকরি সত্ত অনুযায়ী ব্যাংকে টাকা রাখতে হবে।
- ভিসার জন্য এপ্লাই করলে যেই কাজে যাবে তার ওপর পরীক্ষা দিতে হবে।
- পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- কানাডিয়ান ভাষা জানেন কিনা তার প্রমাণ দিতে হবে।
কানাডা যাওয়ার খরচ কত?
অনেকেই জানতে চাই, কানাডা যাওয়ার খরচ কত? কানাডা যাওয়ার খরচের কথা সঠিক করে বলা সম্ভব না। কারণ, মানুষ কানাডা বিভিন্ন কারণে যায়। কেউ যায় ডিজিটাল হিসেবে, কেউ যায় জব করতে আবার কেউ যায় শ্রমিক হিসাবে। কাজের ধরন হিসাবে কানাডা যাওয়ার খরচ এর ভিন্নতা রয়েছে।
যদি টুরিস্ট ভিসা যাওয়া হয় তাহলে খরচ কম। এর মধ্যে কত দিনের জন্য যাবেন তার হিসেবে যাওয়ার খরচের ভিন্নতা রয়েছে। অনেকে যায় পড়াশোনা করতে। কতদিনের জন্য পড়াশোনা করবে, সেই হিসেবে ভিসার টাকার পরিমান নির্ধারণ হয়। এছাড়াও অনেকে যায় কাজ করতে।
বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ কানাডায় যায় কাজের সন্ধানে। চার বছরের জন্য কানাডায় গেলে প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার মত খরচ হয়। কিছু কিছু সময় খরচ কম হয়। যদি সরকারি মাধ্যমে যাওয়া যায়। বেশিরভাগ মানুষ দালালের মাধ্যমে কানাডায় যায়। যার কারণে খরচ বেশি পড়ে।
কানাডা শ্রমিক ভিসা:
দিন দিন মানুষ বিদেশ যাওয়ার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। কারণ, দেশ কর্মসংস্থান কম। যার কারণে দেশে থাকবে বেকার থাকতে হচ্ছে। এই কারণে মানুষের বিদেশে বাড়ি জমাচ্ছে। বর্তমানে কানাডায় শ্রমিক বিষয় মানুষ যাচ্ছে।
কারণ, সেখানে প্রচুর কর্মসংস্থান। বাংলাদেশ থেকে কানাডায় শ্রমিক ভিসা যাওয়া খুব সহজ। বর্তমানে বৈধভাবে কানাডা যাওয়া যাচ্ছে শ্রমিক ভিসায়। বর্তমানে কানাডা শ্রমিক ভিসা যেতে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত খরচ হয়।
অনেক সময় এই টাকার পরিমাণ কম বেশি হয়ে থাকে। কারণ, কাজের অনেক ধরণ রয়েছে। এবং সময়ের ব্যবধান রয়েছে।
কানাডায় চাকরির বেতন কত?
বাংলাদেশের অনেক মানুষ কানাডায় চাকরি করেছে। অনেকেই জানতে চায় কানাডায় চাকরির বেতন কত? এই কথার উত্তর সঠিকভাবে দেওয়া সম্ভব না। কারণ বাংলাদেশ থেকে যারা যায় বিভিন্ন ধরনের চাকরি করে থাকে। এবং চাকরির র্যাঙ্ক এর কম বেশি রয়েছে। তবে অনুমান করা যায়। যারা কানাডায় চাকরি করে তাদের বেতন সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা।
কানাডায় লেবারের বেতন কত?
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কানাডায় লেবার হিসাবে যাচ্ছে। অনেকে তাদের বেতন সম্পর্কে জানতে চাই। কাজে ধরনের হিসাবে বেতনের কমবেশি রয়েছে। তবে সাধারণভাবে যারা কানাডায় লেবার তাদের বেতন ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মত। তবে ওভারটাইম কাজ করার জন্য বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
কানাডায় উচ্চ বেতন কত?
কানাডায় উচ্চ বেতন কত সেটা কোনভাবেই বলা সম্ভব না। কারণ সেখানে কে কি কাজ করে সেটা সঠিকভাবে জানা যায় না। তবে উচ্চ বেতন পায় যারা সেখানে ভালো অবস্থানে চাকরি করে। লেখাপড়া শেষ করে যারা চাকরি করছে সেখানে তারা সবচেয়ে বেশি বেতন পায়।
ধারণা করা হয় অনেকেই দেড় থেকে দুই লাখ টাকার মতো বেতন হয়ে থাকে। অনেকে তার চেয়েও বেশি পেতে পারে। সেটা সঠিক করে বলা সম্ভব না।
অস্ট্রেলিয়া বা কানাডা কোথায় বেশি টাকা আয় করা যায়:
অনেকেই কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ার যেতে চাই। যাওয়ার আগে অনেকে জানতে চাই কোন দেশে বেশি টাকা আয় করা যায়। অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় কানাডায় কাজের পরিমাণ বেশি। এই কারণে বেশিরভাগ মানুষ অস্ট্রেলিয়া না গিয়ে কানাডায় যায়।
অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা কাজ করে টাকা আয় করা সম্ভব। অস্ট্রেলিয়া বা কানাডা কোথায় বেশি টাকা আয় করা যায় সেটা সঠিক করে বলা অসম্ভব। কারণ দুই দেশের কাজের ধরন আলাদা। এ কারণে টাকার পরিমাণ কোন দেশে বেশি সেটা বলা যায় না।
ভালো কাজ পেলে যেকোনো দেশ থেকে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব। তবে কাজের জন্য অন্যান্য দেশের তুলনায় অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা অনেক ভালো।
যে ১০ পদে আবেদন করলে দ্রুত যাওয়া যাবে কানাডায়:
করোনা মহামারীর পরে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কানাডা। বর্তমানে কানাডায় অনেক কাজের সুবিধা রয়েছে। এখন খুব সহজে কানাডা গিয়ে চাকরি করতে পারবেন। যে ১০ পদে আবেদন করলে দ্রুত যাওয়া যাবে কানাডায়। নিন তুলে ধরা হলো।
- স্বাস্থ্যসেবা
- খাদ্য পরিষেবা
- নির্মাণ
- বাসস্থান
- পরিবহন
- গুদামজাতকরণ
- শিল্প খাতের বিভিন্ন পরিষেবা
- হোটেল বয়
- ওয়েল্ডিং এর কাজ
- মার্কেট ম্যানেজার
কানাডার নাগরিকত্ব পেতে কত বছর লাগে?
বর্তমান কানাডা সরকার প্রবাসীদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে অভিবাসন কার্যক্রম পরিচালনা করছে কানাডা সরকার। বিল সি-৬ অনুযায়ী, কানাডা নাগরিকত্ব পেতে হলে পাঁচ বছরের মধ্যে তিন বছর বসবাস করতে হবে।
তারপর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে এই সময়ের মধ্যে কানাডা থেকে দেশে সেরা যাবে না। আগেই সীমা ছিল ছয় বছর। তবে বর্তমানে কানাডায় প্রবাসীরা থাকার জন্য চেষ্টা করছে। কারণ সেখানে।
সকল ধরনের সুবিধা নাগরিকেরা পেয়ে থাকে। তবে নাগরিকত্ব পেতে হলে কোন ধরনের খারাপ কাজের সাথে জড়িত থাকা যাবে না। কোন ধরনের মামলা থাকলে নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না।
পিআর হওয়ার কতদিন পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়:
পিআর এর পূর্ণরূপ পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি। এই পিআর দিয়ে থাকে থাকে কানাডার প্রাদেশিক সরকার। পিআর পেতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রথম শর্ত হচ্ছে সেখানে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে।
এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ৫০ শতাংশ আপনার মালিকানায় থাকতে হবে। তবে পাঁচ জনে মিলেও মালিকানা থাকলে হবে। যে ৫ জনের ৫০ শতাংশ মালিকানা থাকবে তারা সবাই পিআর আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম
পিআর এর মাধ্যমে আপনি বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে ভিসা ছাড়া অপমান করতে পারবেন। পিআর পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
কানাডায় বৈধ হওয়ার উপায়:
অনেক মানুষের স্বপ্ন থাকে কানাডায় বৈধভাবে বসবাস করা। তবে কানাডায় বৈধ হওয়ার উপায় খুব কঠিন। সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে কানাডায় বৈধ হওয়ার। আপনাকে কানাডার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। তবে বিয়ে করতে কিছু শর্ত রয়েছে। বিয়ের দুই বছর আগে জানাতে হবে।
তারপর সরকার কর্তৃক আপনার তদন্ত করা হবে। তদন্ত করার পর আপনার যদি কোন ধরনের সমস্যা না থাকে তাহলে কানাডায় বিয়ে করতে পারবেন। কানাডায় বিয়ে করলে সেখানে বৈধ হওয়া খুব সহজ। বিয়ের পর কানাডা নাগরিকত্ব পাবেন।
শেষ কথা: কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি কানাডায় অনেক কাজের চাহিদা রয়েছে। যার কারণে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ কানাডায় যাচ্ছে কাজের সন্ধানে। কানাডা সরকার প্রবাসীদের অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। এছাড়াও কানাডায় কাজের বেতন খুব বেশি।
বর্তমানে কানাডায় অনেক কাজের চাহিদা রয়েছে। যার কারণে আপনি চাইলেও খুব সহজে কানাডা যেতে পারবেন। তবে সরকারের দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ