সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

১৪৪৪ হিজরীর (২০২৩) চলতি সাবান মাস ৩০ দিনে শেষ হওয়ার কারণে ২৪ শে মার্চ শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান শুরু হবে। ২৩ শে মার্চ ভোর রাতের সেহরি করতে হবে। এবং ২৩ তারিখ রাত থেকে তারাবির নামাজ শুরু করতে হবে। 

প্রতিটি মুসলমান আর রমজান মাসকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করে থাকে। কারণ রমজান মাস ইবাদতের জন্য শ্রেষ্ঠ মাস। এই মাসে আল্লাহ শয়তানদের বন্দি করে রাখে। যার কারণে মুসলমানদের ইবাদতে কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে না। 

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন সকলকেই জানতে হবে। কারণ সঠিক সময় সেহেরী এবং ইফতার না করলে সিয়াম দুর্বল হয়। অনেক সময় সিয়াম ভঙ্গের কারণও হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ সৌদি আরবের রমজানের সময় সূচি ২০২৩ / সৌদি আরবে রোজার সময়সূচি রিয়াদ

এই মাসের সব কিছু সঠিকভাবে পালন করতে অবশ্যই সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। তাহলে সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে সিয়াম পালন করা সম্ভব।

    রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি দিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন

    রমজান মাসের সিয়ামের গুরুত্ব অনেক। এ কারণে সঠিকভাবে সিয়াম পালন করার জন্য প্রয়োজন সেহরি ও ইফতারের সঠিক সময়সূচীর। নিম্নে ইফতারের সময়সূচি সহ ইফতারের সময়সূচির ছবি তুলে ধরা হলো:

                                                          ঢাকা জেলার ইফতারের সময়সূচি


    রোজা নং

    তারিখ 

    বার

    সেহরি

    ইফতার

    ২৩ মার্চ ২০২৩

    বৃহস্পতিবার

    ০৪:৪৪

    ০৬:১১

    ২৪ মার্চ ২০২৩

    শুক্রবার

    ০৪:৪৩

    ০৬:১২

    ২৫ মার্চ ২০২৩

    শনিবার

    ০৪:৪১

    ০৬:১২

    ২৬ মার্চ ২০২৩

    রবিবার

    ০৪:৪০

    ০৬:১২

    ২৭ মার্চ ২০২৩

    সোমবার

    ০৪:৩৯

    ০৬:১৩

    ২৮ মার্চ ২০২৩

    মঙ্গলবার

    ০৪:৩৮

    ০৬:১৩

    ২৯ মার্চ ২০২৩

    বুধবার

    ০৪:৩৭

    ০৬:১৪

    ৩০ মার্চ ২০২৩

    বৃহস্পতিবার

    ০৪:৩৬

    ০৬:১৪

    ৩১ মার্চ ২০২৩

    শুক্রবার

    ০৪:৩৫

    ০৬:১৪

    ১০

    ০১ এপ্রিল ২০২৩

    শনিবার

    ০৪:৩৪

    ০৬:১৫

    ১১

    ০২ এপ্রিল ২০২৩

    রবিবার

    ০৪:৩৩

    ০৬:১৫

    ১২

    ০৩ এপ্রিল ২০২৩

    সোমবার

    ০৪:৩২

    ০৬:১৬

    ১৩

    ০৪ এপ্রিল ২০২৩

    মঙ্গলবার

    ০৪:৩১

    ০৬:১৬

    ১৪

    ০৫ এপ্রিল ২০২৩

    বুধবার

    ০৪:৩০

    ০৬:১৬

    ১৫

    ০৬ এপ্রিল ২০২৩

    বৃহস্পতিবার

    ০৪:২৯

    ০৬:১৭

    ১৬

    ০৭ এপ্রিল ২০২৩

    শুক্রবার

    ০৪:২৭

    ০৬:১৭

    ১৭

    ০৮ এপ্রিল ২০২৩

    শনিবার

    ০৪:২৬

    ০৬:১৮

    ১৮

    ০৯ এপ্রিল ২০২৩

    রবিবার

    ০৪:২৫

    ০৬:১৮

    ১৯

    ১০ এপ্রিল ২০২৩

    সোমবার

    ০৪:২৪

    ০৬:১৮

    ২০

    ১১ এপ্রিল ২০২৩

    মঙ্গলবার

    ০৪:২৩

    ০৬:১৯

    ২১

    ১২ এপ্রিল ২০২৩

    বুধবার

    ০৪:২২

    ০৬:১৯

    ২২

    ১৩ এপ্রিল ২০২৩

    বৃহস্পতিবার

    ০৪:২১

    ০৬:২০

    ২৩

    ১৪ এপ্রিল ২০২৩

    শুক্রবার

    ০৪:২০

    ০৬:২০

    ২৪

    ১৫ এপ্রিল ২০২৩

    শনিবার

    ০৪:১৯

    ০৬:২০

    ২৫

    ১৬ এপ্রিল ২০২৩

    রবিবার

    ০৪:১৮

    ০৬:২১

    ২৬

    ১৭ এপ্রিল ২০২৩

    সোমবার

    ০৪:১৭

    ০৬:২১

    ২৭

    ১৮ এপ্রিল ২০২৩

    মঙ্গলবার

    ০৪:১৬

    ০৬:২২

    ২৮

    ১৯ এপ্রিল ২০২৩

    বুধবার

    ০৪:১৫

    ০৬:২২

    ২৯

    ২০ এপ্রিল ২০২৩

    বৃহস্পতিবার

    ০৪:১৪

    ০৬:২৩

    ৩০

    ২১ এপ্রিল ২০২৩

    শুক্রবার

    ০৪:১৩

    ০৬:২৩


    সেহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি

    সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন


    সেহরি অর্থ কি?

    সেহরি বা সাহরী (আরবি: سحور‎, প্রতিবর্ণী । সেহরি বাংলা অর্থ ঊষার পূর্বের খাবার। সাধারণভাবে বলতে গেলে খুবই সাদিকের আগে যে খাবার খাওয়া হয় সিয়াম পালনের উদ্দেশ্যে তাকে সেহেরী বলে। যে সময়টা সেহেরি খাওয়া হয় সেই সময় অন্ধকার থাকে। 

    কিন্তু সেহরি খাওয়া শেষ করলেই একটু পর থেকে আলোকিত হতে লাগবে। সেহরি খাওয়া সুন্নত। আল্লাহ তাআলা সেহরির মধ্যে অনেক বরকত দিয়েছে সেহরি যেকোনো সিয়াম পালনের উদ্দেশ্যে খাওয়া যায়।

    রোজা রাখার উদ্দেশ্যে রাতের শেষ সময় সাহরি বা খাবার গ্রহণ করার বিধান কী?

    সিয়াম পালনের উদ্দেশ্যে শেষ রাতের খাবার কে আরবিতে সাহুর বা সুহুর বলা হয়। আস সাহুর শব্দের অর্থ রাত শেষের খাবার। কিন্তু আমাদের সকলের কাছে রাতের এই খাবার সেহেরী নামে পরিচিত। তবে অনেকের জানতে চাই, রোজা রাখার উদ্দেশ্যে রাতের শেষ সময় সাহরি বা খাবার গ্রহণ করার বিধান কী? 

    আবার অনেকে প্রশ্ন করে সিয়াম পালনের উদ্দেশ্যে রাতের সেহরি খাওয়া ফরজ, ওয়াজিব না সুন্নত সেই সম্পর্কে। চলুন জেনে নেই সেহেরী খাওয়ার বিধান সম্পর্কে। সিয়াম পালনের উদ্দেশ্যে শেষ রাতের খাবার খাওয়া সুন্নাত। 

    কোন ব্যক্তির যদি সিয়াম পালনের উদ্দেশ্যে রাতের শেষে বা সুবহে সাদিকের পূর্বে খাবার গ্রহণ করে তবে ওই ব্যক্তি সুন্নত আদায় করার সাওয়াব পাবে। এছাড়াও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে সাহরি খাওয়া অনেক কল্যাণ ও বরকতময়। 

    আরও পড়ুনঃ তারাবির নামাজের নিয়ম / তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা অর্থ সহ

    হাদিস উল্লেখ রয়েছে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ঘোষণা দিয়েছেন-তোমরা সাহরি খাও। কেননা, সাহরিতে বরকত রয়েছে। (মুসলিম) সাহরি খাওয়ার ফলে আল্লাহ সকল কাজে বরকত দেয়। এ কারণে প্রতিটি মানুষকে সিয়াম পালন করতে অবশ্যই সাহরী খেতে হবে।

    সাহরি খাওয়ার মাধ্যমে ইহুদিদের রোজা এবং মুসলমানদের সিয়ামের মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয়। কারণ, রোজা খ্রিস্টানরা পালন করে মুসলমানেরাও পালন করে। সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে খ্রিস্টানের রোজার মধ্যে আর মুসলমানের রোজার মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়। সেহরি খাওয়ার পর আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা পূরণ করেন ।

    সেহরির শেষ সময় ২০২৩

    রমজান মাস আসলে আমরা সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কারণ এ মাসের গুরুত্ব অনেক। এই মাসে রোজা বা সিয়াম পালন করতে হয়। যার জন্য সেহরি খেতে হয়। সঠিক সময় সেহরি না করলে সিয়াম হয় না। এজন্য সবাই সেহরি ও ইফতারের সময় নিয়ে অনেক দূর চিন্তায় থাকে। 

    সেহরির শেষ সময় ২০২৩ সালের সকলের জানা প্রয়োজন। প্রথম দিনের সেহরি হবে ০৪:৪৪ মিনিটে। এবং শেষ সিয়ামের সেহরি হবে ০৪:১৩ মিনিটে। এটা হচ্ছে সেহরির শেষ সময়। প্রতিদিন এর আগেই সেহরি শেষ করতে হবে।

    রমজানের রোজা কেন করতে হয়

    ছোট বাচ্চারা প্রশ্ন করে, রমজানের রোজা কেন করতে হয়। কারণ তারা তো রোজা বা সিয়াম সম্পর্কে কিছুই জানেনা। সংক্ষেপে বলতে গেলে, রোজা রাখতে হয় আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায়। প্রত্যেকটি মুমিন মুসলমানের জন্য রোজা রাখা ফরজ। 

    যার বয়স ১০ বছর তাকে অবশ্যই রমজান মাসে রোজা রাখতে হবে। এছাড়াও রমজানের রোজার অনেক ফজিলত রয়েছে। আল্লাহ রোজার ফজিলত নিজ হাতে প্রদান করব। রমজান মাসে রোজা পালনের মাধ্যমে মানুষের অনেক পরিবর্তন ঘটে।

    রমজান মাসে রোজা রাখলে অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে হবে। নামাজ না পড়লে তার রোজা কখনো কবুল হবে না। এ কারণে এই মাসে সকল মমিন মুসলমান ইসলামের পথে অগ্রসর হয়। সবাই নামাজ পড়ে এবং সিয়াম পালন করে।

    ইফতারে পূর্বে  আমাদের করণীয়

    সারাদিন রোজা রাখার পর মানুষ ইফতারের জন্য অনেক পরিকল্পনা করে থাকে। ইফতারের আগে আমাদের অনেক আমল রয়েছে। যেসব পালন করলে অনেক সওয়াব অর্জন হয়। ইফতারের পূর্বে ইফতার সামনে নিয়ে বসতে হয়। 

    ইফতারের আগ মুহূর্তে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলে সেটা খুব সহজে পূরণ হয়ে যায়। অতীতে যেসব পাপ করেছেন তার কথা স্মরণ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেয়। কারণ, সারাদিন না খেয়ে থাকার পরও কাছে খাবার রেখে আল্লাহর ভয় না খেলে আল্লাহ খুশি হয়ে যায়।

    সেই সময় বান্দা আল্লাহর কাছে যেটা চাই আল্লাহ তার প্রদান করতে দেরি করেন না। এছাড়াও, ইফতারের আরো ফজিলত রয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি একজন রোজাদার ব্যক্তির ইফতার করায় তাহলে রোজা সমপরিমাণ সওয়াব পাবে যে ব্যক্তি ইফতার করাবে। 

    এছাড়াও, ইফতারের সুন্নত রয়েছে, সুন্নতটি হল খেজুর দিয়ে ইফতার করা। কারণ, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। এই কারণে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেজুর দিয়ে ইফতার করা উত্তম।

    আরও পড়ুনঃ রমজানের পবিত্রতা নিয়ে উক্তি বা রোজা নিয়ে কিছু কথা

    ইফতারে কোন খাবার ভালো

    সারাদিন রোজা থাকার পর আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সে সময় সব ধরনের খাবার খাওয়া যায় না। এ কারণে ইফতারের সময় ভালো খাবার খেতে হবে। ইফতারের সবচেয়ে উত্তম খাবার হচ্ছে ফল। ইফতারের সময় খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। 

    এছাড়াও খেজুরের সাথে বিভিন্ন ধরনের ফল রাখতে পারেন। এবং ফলের জুস,  ঠান্ডা পানি। ইফতারের সময় কখনো ভারি হওয়ার খাওয়া ঠিক নয়। কারণে এই সময় হজম শক্তি দুর্বল হয়ে থাকে। যার ফলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে না। তাই ইফতারের সময় ফল এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়া ভালো।

    শেষ কথা: সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

    প্রতিটি মুসলমানের মধ্যে সেহরি ও ইফতারের সময় নিয়ে অনেক কৌতুহল রয়েছে। কারণ, রমজান মাসের রোজার ফজিলত অনেক। যার মুখে বলে শেষ করা যাবে না। এ কারণে কেউ কখনোই চাইবে না কারো সিয়াম নষ্ট হোক। 

    যার কারণে সবাই খুব আগ্রহে থাকে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি নিয়ে। এই কন্টেনে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও ইফতারের পূর্বকরণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এবং সেহরির ফজলে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। 

    আমার বিশ্বাস সম্পন্ন লেখাটি পড়লে সেহরি ও ইফতার সম্পর্কে ধারণা পাবেন। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পন্ন লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ