নতুন ব্যবসার আইডিয়া বা হালাল ব্যবসার আইডিয়া

প্রতিটা মানুষের স্বপ্ন কম সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার। কম সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে অবশ্যই ব্যবসা করতে হবে। এছাড়া অন্য কোন পথে কম সময়ের মধ্যে টাকা উপার্জন করা সম্ভাবনা। বর্তমান সময়ে চাকরি করে পরিবার চালাতে টাকা শেষ হয়ে যায়।

নতুন ব্যবসার আইডিয়া বা হালাল ব্যবসার আইডিয়া

তবে কিছু কিছু চাকরিজীবী রয়েছে যারা ঘুষ খেয়ে কম হওয়ার মধ্যে অনেক টাকা আয় করে থাকে। কিন্তু সে টাকার কোন মূল্য সমাজের কেউ দেয় না। চলুন জেনে নেই, নতুন ব্যবসার আইডিয়া বা হালাল ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।

ব্যবসার মধ্যে হালাল এবং হারাম রয়েছে। হারাম ব্যবসায় অনেক লাভ। কিন্তু সে টাকা অর্জন করে নিজের সন্তুষ্ট হওয়া যায় না। কিন্তু হালাল টাকার উপার্জন করলে মনের মধ্যে শান্তি পাওয়া যায়। এবং হালাল ব্যবসায় লাভ কম হলেও দিন শেষে আয় বেশি হয়। 

কারণ, হালাল ব্যবসা করলে সেই ব্যবসায় ক্রেতা বেশি থাকে। যার ফলে অনেক বেশি বিক্রয় হয়। চলুন জেনে নেই, নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।

    ব্যবসা কি?

    যখন মুনাফা পাওয়ার আশায় পন্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদনের মাধ্যমে উপযোগ সৃষ্টি করে এবং মানুষের চাহিদা বা অভাব পূরণ এর লক্ষ্যে সেসব পণ্য বিক্রি করাকে ব্যবসা বলে। বর্তমানে পণ্য কেনাবেচা ব্যবসা বলা হয়। ব্যবসার মাধ্যমে ব্যবসাগুলো লাভ হয় এবং সাধারণ জনগণ সেবা পেয়ে থাকে।

    হালাল ব্যবসা কি?

    যে ব্যবসায়ী ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সন্তুষ্টি অর্জন এবং যে জিনিসটি বিক্রেতার কাছ থেকে তা কিনে  সন্তুষ্টি অর্জন করে তাকে হালাল ব্যবসা বলে। ক্রেতা কোন সময় বিক্রেতার ওপর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারবে না।

    ইসলামিক ভাষায় বলতে গেলে, মহানবী (সাঃ) এর পথ অনুসরণ করে যে ব্যবসা করা হয় সেই ব্যবসাকে হালাল ব্যবসা বলা হয়। হালাল ব্যবসা করলে কোন সময় ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করা যাবে না।


    এতে করে ক্রেতা দুর্ভোগে পড়ে। বিক্রেতার উপর যদি ক্রেতা অসন্তুষ্ট থাকে তাহলে সেই ব্যবসা হালাল থাকে না। সেটা হারাম ব্যবসা বলে ধরা হয়।

    হালাল ব্যবসার সুবিধা:

    অনেক সুবিধা থাকে হালাল ব্যবসা। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ব্যবসায় ছিলেন। তিনি সর্বদাই সৎ  ভাবে অর্থ উপার্জন  করেছেন। হালাল ব্যবসা করে বেশি মুনাফা করা যায় না। 

    কিন্তু হালাল ব্যবসার বরকত রয়েছে। হালাল পথে আয় করলে নিজের মনের মধ্যে প্রশান্তি পাওয়া যায়। নিম্নে হালাল ব্যবসার সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো।
    1. হালাল ব্যবসায় বরকত ও রহমত বেশি থাকে।
    2. হালাল ব্যবসার মাধ্যমে ক্রেতা আপনার উপর সন্তুষ্ট থাকে। পরবর্তী সময়ে আপনার কাছে পণ্য নেওয়ার জন্য আগ্রহী হয়।
    3. ধীরে ধীরে ব্যবসার সুনাম বৃদ্ধি পায়।
    4. হালাল ব্যবসায় তুলনামূলক মুনাফা কম কিন্তু বিক্রয় বেশি হওয়ার ফলে তা পূরণ হয়ে যায়।

    ছোট ব্যবসার আইডিয়া:

    ছোট ব্যবসা বলতে বোঝানো হয় অল্প পুঁজির ব্যবসা। বর্তমান সময়ে অল্প পুঁজিতে অনেকেই ব্যবসা করতেও চায়। কারণ, ব্যবসা করলে খুব কম সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়। এবং ব্যবসা করলে নিজের স্বাধীন মত কাজ করা যায়। বর্তমানে মানুষ চাকরি করতে আগ্রহী নয়। 

    কারণ, চাকরি করলে অন্য মানুষের কথা মত চলতে হয়। বর্তমানে অল্প পুঁজিতে ছোট ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে। সেসব ব্যবসা করে চাকরির চেয়ে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব। চলুন জেনে নেই কি কি ব্যবসা কম পুঁজিতে করা সম্ভব।
    1. চায়ের দোকান
    2. ফুচকার চটপটির দোকান
    3. ঝাল মুড়ির দোকান
    4. শাকসবজি দোকান
    5. বিভিন্ন ভাজা পড়ার দোকান
    6. খাবার হোম ডেলিভারির ব্যবসা
    7. আইসক্রিমের দোকান
    উপরে যে সব ব্যবসার কথা উল্লেখ করা হলো এভাবে সব ব্যবসা করতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা হলেই করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে সব দোকানে প্রচুর ব্যবসা। কিন্তু এসব দোকান দেওয়ার আগে ভালো স্থান নির্বাচন করতে হবে।

    বাড়িতে বসে ছোট ব্যবসার আইডিয়া:

    বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ অলস প্রকৃতির। তারা মনে করে কোন কাজ না করে কিভাবে ঘরে বসে আয় করা যায়। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে আয় করা সম্ভব। অনেকেই জানতে চাই, বাড়িতে বসে ছোট ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। 

    বর্তমান সময়ে টাকার মূল্য খুব কম। একটা ছোট ব্যবসা করতে হলেও সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মত লাগবে। তাহলে ছোট ব্যবসা ঘরে বসে করা সম্ভব। চলুন জেনে নেই ঘরে বসে কি কি ছোট ব্যবসা করা সম্ভব।
    1. কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার
    2. ইউটিউব চ্যানেল
    3. মোদির দোকান
    4. ব্রয়লার মুরগির ফার্ম
    5. শাকসবজি  ও ফল চাষ
    6. হাঁস মুরগি পালন

    কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার:

    বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল দেশ হিসেবে রূপান্তরিত হচ্ছে। যার ফলে সকল কাজ অনলাইন ভিত্তিক। অনলাইনে কাজ করতে হলে অবশ্যই কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। 

    এ কারণে, সকল ছাত্র-ছাত্রীরা কম্পিউটার ট্রেনিং নিচ্ছে। এর জন্য তারা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে এর প্রয়োজন। আপনি ইচ্ছা করলে ঘরে বসে কি ব্যাপারটি করতে পারেন।

    ইউটিউব চ্যানেল:

    তোমার সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে youtube. Youtube এর মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে সকল ধরনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এবং বিনোদন দিচ্ছে। আধুনিকতার ফলে সকলের কাছে স্মার্টফোন রয়েছে। যার ফলে সকলে ইউটিউব ব্যবহার করে।
    এখান থেকে আপনি আয় করতে পারেন। ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। এবং নতুন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। তাহলে ঘরে বসেই ডলার ইনকাম করতে পারবেন। এই ব্যবসা শুরু করতে একটি ল্যাপটপ ও একটি স্মার্ট হলে হবে।

    মোদির দোকান:

    নিত্য প্রয়োজনের সকল দ্রব্য পাওয়া যায় মোদির দোকানে। এ কারণে, মুদির দোকানে প্রচুর পরিমাণ মাল বিক্রি হয়ে থাকে। দিন শেষে একটি মোদির দোকান থেকে অনেক টাকা লাভ হয়। 

    আপনি চাইলে মুদির দোকান দিতে পারেন। বর্তমান সময়ে মুদির দোকানের ভালো ব্যবসা। কোন সময়ের মধ্যেই অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।

    ব্রয়লার মুরগির ফার্ম:

    ঘরে বসে কম পুঁজিতে সবচেয়ে ভালো ব্যবসা হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি পালন। কারণ, এটি ঘরের মধ্যেই বয়লার মুরগি পালন করা যায়। এতে খুব কম জায়গায় হয়ে যায়। এবং বয়লার মুরগি পালন করতে তেমন ঝুঁকি নেই। 

    কম সময়ের মধ্যে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। ঘরে বসে ব্যবসা করতে চাইলে ব্রয়লার মুরগি পালন করতে পারেন।

    শাকসবজি  ও ফল চাষ:

    আপনার যদি দশ কাটা পরিমান জমে থাকে তাহলে খুব কম খরচে ভালো ব্যবসা করতে পারবে। কারণ বর্তমান সময়ে শাকসবজি ও ফলের অনেক দাম। কারণে শাকসবজি ফল চাষ করে খুব কম সময়ের মধ্যে ভালো ব্যবসা করতে পারে।

    হাঁস মুরগি পালন:

    বর্তমান সময়ে হাঁসির মাংসের এবং ডিমের দাম অনেক। মাংস ডিমের চাহিদা পূরণ করতে প্রয়োজন হাঁস মুরগি পালন করার। হাঁস মুরগি পালন করলে অনেক কম সময়ের মধ্যে ভালো ব্যবসা করা যায়। 

    এই ব্যবসা শুরু করতে কেমন পুঁজির প্রয়োজন পড়ে না। তাই এই ব্যবসা যে কেউ করতে পারেন।

    সেরা ব্যবসার আইডিয়া:

    বর্তমান সময় সকলের ইচ্ছা ব্যবসা করার। ব্যবসা করতে হলে সর্বপ্রথম জানতে হবে কি বিষয়ের উপর ব্যবসা করবেন। ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা না থাকলে ব্যবসা কোন ব্যবসা করে টিকে থাকা সম্ভব না। 

    তাই যে ব্যবহার শুরু করবেন সেই ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেন। চলুন জেনে নিয় কয়েক টি সেরা ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।
    1. কাপড়ের দোকান
    2. কফি শপ
    3. কসমেটিক্স এর দোকান
    4. কাঁচামাল কিনা এবং বেচা
    5. গিফট শপ
    6. কোচিং সেন্টার

    কাপড়ের দোকান:

    বর্তমান সময়ে একটি লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে কাপড়ের দোকান। এখন মানুষের তেমন অভাব নেই। কোন ধরনের প্রোগ্রাম হলে নতুন নতুন কাপড় কিনে। এ কারণে, অনেক কাপড় বিক্রি হয়। কিন্তু দোকানে মানসম্মত কাপড় থাকতে হবে। তাহলে কাস্টমারেরা আপনার দোকানে আসবে। 

    তবে দোকান শুরু করার আগে কাপড় সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। তা না হলে ক্রেতা একবার কাপড় কিনলে পরবর্তীতে আর আসবেনা। বর্তমান সময়ে কাপড়ের দোকান একটি লাভজনক ব্যবসা।

    কফি শপ:

    সম্প্রতিকালে বাংলাদেশের কপির জনপ্রিয়তা অনেক। বর্তমান সময়ে অফিসিয়াল মিটিং এবং অবসর সময় কাটানোর জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হিসেবে পরিচিত কফি শপ। কফি হবে প্রায় সকল বয়সের কাস্টমার থাকে। 

    দিন দিনের জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে, আপনি চাইলে ছোট করে কফি শপ দিতে পারে না। বর্তমান সময়ে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।

    কসমেটিক্স এর দোকান:

    বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের কসমেটিক্স এর দোকান বৃদ্ধি পাচ্ছে। কসমেটিক্স এর দোকানের প্রধান কাস্টমার হচ্ছে মেয়েরা। কারণ মেয়েরা কসমেটিক্স পণ্য বেশি ব্যবহার করে। এই ব্যবসায় অনেক লাভ। মূলধনের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ লাভ আসে। এ ব্যবসা করতে তেমন মূলধন এর  প্রয়োজন পড়ে না। এ কারণে, আপনি ব্যবসা করতে পারেন।

    কাঁচামাল কিনা এবং বেচা:

    বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ভালো ব্যবসা হচ্ছে কাঁচামাল কেনাবেচা। যে কোন হাটে বসে থেকে কৃষকের কাছ থেকে তার ফসল কিনে সেই ফসল অন্য জায়গায় বিক্রয় করা। এই ব্যবসায় অনেক লাভ। এর ব্যবসা করতে তেমন মূলধনের প্রয়োজন পড়ে না। 

    কিছু সময় টাকা ছাড়াও এই ব্যবসা করা সম্ভব। কারণ, কৃষকের কাছ থেকে বাকি ফসল কিনে বিক্রয়ের পর টাকা পরিশোধ করতে পারেনা।

    গিফট শপ:

    বর্তমান সময়ে গিফট শপ এর দোকান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ, বর্তমানে কোন ধরনের বিশেষ দিন হলেই একে অপরকে গিফট দিয়ে থাকে। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা ।

    কিন্তু এই ব্যবসা করতে তেমন বিনিয়োগ করতে হয় না। আপনি ইচ্ছা করলে ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন। অর্ডার পাওয়ার পর দোকান থেকে কিনে ডেলিভারি দিতে পারে।

    কোচিং সেন্টার:

    বর্তমান সময়ে কোচিং সেন্টার গুলোর মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ বাসায় প্রাইভেট টিচার থাকলে অনেক খরচ হয়। এবং বাসার সিকিউরিটির নষ্ট হয়। তাই সবাই ছেলে-মেয়েকে কোচিং সেন্টারে পাঠানো শুরু করেছে। 

    কোচিং সেন্টারে কোরসিও অনেক কম হয় তুলনামূলক। সেন্টারের ব্যবসা দুইটি দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এক নাম্বার হচ্ছে ভালো টিচার এবং বাচ্চাদের বসার মত ভালো পরিবেশ। বর্তমান সময়ের ব্যবসায় কোন ক্ষতি নাই। যেটা পাবেন সেটাই লাভ।

    গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া:

    বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ শহরে থাকতে চায় না। কারণ শহরে অনেক মানুষের ভিড়। যার ফলে অনেকে গ্রামে থেকে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। গ্রামে থেকে প্রতিষ্ঠিত হতে চাইলে ব্যবসা করতে হবে। কারণ, গ্রামে কোন চাকরির ব্যবস্থা থাকে না। তাই ব্যবসা করে উন্নতি করতে হবে। 

    বর্তমান সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হয়েছে। যার ফলে গ্রাম থেকে শহরে কম সময়ের মধ্যে পণ্য আদান প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও সকল ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোঁয়া পড়েছে। যার ফলে ঘরে বসেই দেশের যেকোন স্থানে যেকোনো ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব। 

    চলুন জেনে নেই , গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। চলুন জেনে নিয় গ্রামে থেকে কি কি ব্যবসা করা যায়।
    1. কাঁচামালের ব্যবসা
    2. মুদি দোকান
    3. ওষুধের ফার্মেসি
    4. কীটনাশকের দোকান
    5. বিকাশ ও মোবাইল রিচার্জ এর দোকান
    6. লাইব্রেরি
    7. হার্ডওয়ার্কের দোকান

    কাঁচামালের ব্যবসা:

    কাঁচামাল বলতে বোঝায় শাকসবজি। গ্রাম অঞ্চলে প্রচুর শাকসবজি উৎপাদন হয়। যার ফলে সেখানে দাম অনেক কম হয়। যদি গ্রামে কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনেন এবং শহরে পাঠান তাহলে অনেক কম হওয়ার মধ্যে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। 

    সেই ব্যবসার মাধ্যমে এলাকার কৃষক উপকৃত হবে। এর সাথে আপনারও ব্যবসা হবে। তাই গ্রামে বসে কাঁচামালের ব্যবসা করতে পারেন।

    মুদি দোকান:

    প্রতিটা মানুষই মুদি দোকানের উপর নির্ভরশীল। কারণ, মুদি দোকানে সব ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। যার কারণে, মুদি দোকানের অনেক টাকার প্রতিদিন বিক্রয় হয়ে থাকে। আপনি চাইলে গ্রামের বাজারে মুদির দোকান দিতে পারেন।

    ওষুধের ফার্মেসি:

    বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষ কম বেশি অসুস্থ। তাই নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মত প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়। ওষুধ খেতে হলে অবশ্যই ওষুধ কিনতে হবে। এ কারণে, ফার্মেসিতে অবশ্যই যেতে হবে। 

    ওষুধের ফার্মের সাথে অনেক টাকা লাভ হয়। তাই আপনি ওষুধের ফার্মেসী করতে পারেন। বর্তমান সময় সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ওষুধের ফার্মেসি।

    কীটনাশকের দোকান:

    গ্রামের সকল মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে কীটনাশক ছাড়া কোন ফসল ফলানো সম্ভব না। কারণ, বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ পুকার আমদানি। যে কারণে, কীটনাশক ব্যবহার না করলে কিছুদিনের মধ্যে ফসল নষ্ট করে দেয়। এবং কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

    এ কারণে দিন দিন কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আপনি কীটনাশকের দোকান দিতে পারেন। কারণ, গ্রামে সব সময় কৃষি কাজ হবেই। আর কিছু কাজ করলে অবশ্যই কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।

    বিকাশ ও মোবাইল রিচার্জ এর দোকান:

    বাংলাদেশের প্রতিটি কোনায় আধুনিকতার ছোঁয়া পড়েছে। যার ফলে সকলের হাতে হাতে স্মার্টফোন। এবং সকলে কথা বলার জন্য মোবাইল রিচার্জ করে থাকে। এছাড়াও গ্রামের গ্রামের অনেক লোক কাজের সন্ধানে বাইরে থাকে। এবং অনেকে চাকরি করে। 

    যারা বাহিরে থাকে তারা গ্রামে টাকা পাঠায়। বর্তমান সময়ে নিরাপত্তা টাকা পাঠানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিং। এ কারণে আপনি বিকাশ ও মোবাইলের সাথে দোকান দিতে পারেন। বর্তমানে ব্যবসা অনেক লাভজনক।

    লাইব্রেরি:

    বাংলাদেশ সরকারের চেষ্টায় গ্রামের প্রতিটি ছেলে স্কুলে যাচ্ছে। যার কারণে গ্রামের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বাচ্চাদের লেখাপড়া করতে প্রয়োজন বইয়ের। গ্রাম অঞ্চলে বর্তমানে তেমন বইয়ের লাইব্রেরি দেখা যায় না। যার কারণে অনেক দূর থেকে বই কিনে বাচ্চাদের দিতে হয়। 

    আপনি ইচ্ছে করলে গ্রামের বইয়ের দোকান বা লাইব্রেরী দিতে পারেন। এই ব্যবসা অনেক লাভজনক। কারণ প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে অবশ্যই নোট বই কিনতে হয়।

    হার্ডওয়ার্কের দোকান:

    বর্তমান সময়ে গ্রাম এলাকার মানুষের উন্নতি হচ্ছে। উন্নতি হওয়ার ফলে প্রতিটা মানুষ নিজের বসবাসের স্থান নির্মাণ করছে। এই কারণে হার্ডওয়ার্কের দোকানের প্রয়োজন। কারণ, ঘরবাড়ি করতে প্রয়োজন রড, সিমেন্ট, বালি আরো অনেক কিছু। 

    এসব দ্রব্য পাওয়া যায় হার্ডওয়ার্কের দোকানে। দিন দিন এই ব্যবসা গ্রামের দিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি ইচ্ছা করলে গ্রামে হার্ডওয়ার্কের দোকান দিতে পারেন।
    আব্বা ভালো আছেন 

    ব্যবসার আইডিয়া বাংলাদেশ:

    বর্তমান সময়ে মানুষ চাকরি করতে পছন্দ করে না। কারণ, কোম্পানির চাকরি করলে বিভিন্ন ধরনের কথা শুনতে হয়। এবং অনেক কষ্টের পরে ও সঠিক পরিমাণ বেতন পায় না। যা পাই তা দিয়ে ভালোভাবে সংসার চলে না। তাই সকলে চাকরি না করে ব্যবসা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করে। 

    কারণ, ব্যবসা নিজের ইচ্ছামত পরিচালনা নিজেকেই করতে হয়। এখানে কোন বস থাকে না। নিজেই নিজের বস। এসব কারনে সকলে ব্যবসা করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। ব্যবসার আইডিয়া বাংলাদেশ অনেক রয়েছে। 

    উপরে সকল ধরনের ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লে বাংলাদেশ কি কি ব্যবসা করার যায় জানতে পারবেন। তাই উপরের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

    শেষ কথা: নতুন ব্যবসার আইডিয়া বা হালাল ব্যবসার আইডিয়া

    প্রতিটা মানুষের প্রথম ইচ্ছা নিজের ব্যবসা করা। কারণ, ব্যবসা করলে নিজের স্বাধীন মত কাজ করা যায়। এবং কোন সময়ের মধ্যে অনেক টাকা আয় করা যায়। কিন্তু ব্যবসা করার আগে ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তা না হলে ব্যবসা করে মার্কেটে টিকে থাকা অসম্ভব। 

    তাই আজকে নতুন ব্যবসার আইডিয়া বা হালাল ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ব্যবসার মধ্যে হারাম হালাল রয়েছে। তবে ব্যবসা করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে হালাল এবং হারাম ব্যবসা কি কি সে সম্পর্কে জানতে হবে। লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ