থাইরয়েড সমস্যা কি? | থাইরয়েড কমানোর উপায়

থাইরয়েড সমস্যা কি? | থাইরয়েড কমানোর উপায়

বর্তমানে আমাদের দেশে বিদেশে প্রায় সর্বক্ষেত্রেই ম্যাক্সিমাম মানুষ একটি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন আর সেটি হচ্ছে থাইরয়েড সমস্যা। থাইরয়েড মূলত একটি হরমোন যা প্রতিটা মানুষের দেহে রয়েছে একটি নিদির্ষ্ট পরিমানে। তবে আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছেন যারা আসলে থাইরয়েড কি বা থাইরয়েড সমস্যা কি? এই সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না।

তাই আজকে আমরা আপনাদের সকলের বুঝার সুবিধার জন্য এই পোস্টের মাধ্যেমে আলোচনা করবো যে থাইরয়েড কি এবং থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে।

আমাদের অধিকাংশ মানুষের ভেতরেই একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে থাইরয়েডের সমস্যা নিশ্চয়ই কোন জটিল একটি রোগের নাম। তবে আমরা কেউই জানতে চেষ্টা করি না যে থাইরয়েড কি, আসলে ভুলটি ঠিক কোথায়, থাইরয়েড কমানোর উপায় আছে কি না!

থাইরয়েডের সমস্যা এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের শরীরের জন্য থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। ওই নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলেই শরীরের উপর নানা রকমের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। শুরু হয় থাইরয়েডের সমস্যা।

মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা একটু বেশিই লক্ষ্য করা যায়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারলে থাইরয়েডের সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি থাইরয়েড কি এবং থাইরয়েড কমানোর উপায় সম্পর্কে সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এখানেই।

আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কমানোর উপায় | ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

    থাইরয়েড কি? | What is Thyroid in Bengali

    থাইরয়েড কি? | What is Thyroid in Bengali

    আমরা জানি যে মানব দেহের অভ্যন্তরে অসংখ্য গ্ল্যান্ড (gland) বা গ্রন্থির বসবাস, যাদের মাঝে থাইরয়েড (Thyroid) অন্যতম। থাইরয়েড গ্রন্থি গলার সম্মুখভাগে অবস্থিত, শ্বাসনালী বা ট্রাকিয়ার (trachea) চতুর্দিকে বেষ্টিত। আকৃতিতে ছোট এই গ্রন্থিটি প্রজাপতি-সদৃশ, এবং এর প্রশস্ত ডানা দুটো গলার চারপাশে প্রসারিত।

    সুতরাং থাইরয়েড কোন রোগের নাম নয়, বরং শরীরের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি অঙ্গ বা গ্রন্থির নাম। আপনাদের বুঝার সুবিদ্ধার্থে তাই উপরে থাইরয়েডের একটি ছবি সংযুক্ত করে দিলাম। আপনারা উপরের ছবি থেকে থাইরয়েডের আকার আকৃতি সম্পর্কে প্রাথমিক একটি ধারনা নিতে পারেন।

    থাইরয়েড সমস্যা কি?

    থাইরয়েড সমস্যা হচ্ছে থাইরয়েড গ্লান্ডের অতিরিক্ত কার্যকারিতার ফলে প্রচণ্ড গরম লাগা, হাত পা ঘামা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, খাওয়ার রুচি স্বাভাবিক বা বেড়ে যাওয়ার পরও ওজন কমে যাওয়া, ঘন ঘন পায়খানা হওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে এই থাইরয়েড সমস্যার কারনে।

    থাইরয়েড রোগের প্রকারভেদ | Types of Thyroid

    থায়রয়েড গ্রন্থি থেকে মূলত দুই ধরনের সমস্যা দেখা যায়, গঠনগত ও কার্যগত। এরা বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশ পেতে পারে। গঠনগত সমস্যায় থায়রয়েড গ্রন্থি ফুলে যায় যেটাকে গয়টার (Goiter) বা গলগ বলা হয়।

    থাইরয়েড সংক্রান্ত রোগ দুই ধরণের হয়ে থাকে।

    • হাইপোথাইরয়েডিজম (hypothyroidism)
    • হাইপারথাইরয়েডিজম (hyperthyroidism
    হাইপোথায়রয়ডিজমের লক্ষণঃ অবসাদগ্রস্ত হওয়া, ত্বক খসখসে হয়ে যায়, ক্ষুধা মন্দা, চুল পড়া ইত্যাদি।

    হাইপারথাইরয়েডিজমঃ হাইপারথাইরয়েডিজম হলো এমন একটি শারীরবৃত্তীয় অবস্থা যখন দেহের থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত থাইরক্সিন হরমোন উৎপাদন করে । থাইরোটক্সিকোসিস এমন অবস্থা যা কোনও কারণে অতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোনের কারণে ঘটে এবং তা হাইপারথাইরয়েডিজমের অন্তর্ভুক্ত।

    থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ

    থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ

    আমরা অনেকেই এই থাইরয়েড সমস্যা কি বা থাইরয়েড কমানোর উপায় কি কি? এই সমস্ত বেপার নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে দেহের অন্যান্য গ্রন্থির মত থাইরয়েডও হরমোন তৈরি, নিঃসরণ ও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এসকল হরমোন আমাদের দেহের মেটাবলিজম (Metabolism) বা বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

    যারা মেটাবলিজম সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য বলছি, মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়া হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আমাদের দেহের অভ্যন্তরে খাদ্যকণা ভেঙে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। তাহলে বুঝতেই তো পারছেন যে থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ সমূহ কি কি?

    থাইরয়েডের সমস্যা কেন হয়?

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, থাইরয়েড সংক্রান্ত রোগ তখনই হয় যখন থাইরয়েড গ্রন্থি আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য সঠিক অনুপাতে থাইরয়েড হরমোনগুলো নিঃসরণে অক্ষম হয়ে পড়ে।

    ফলশ্রুতিতে আমাদের পুরো শরীরজুড়েই একধরণের নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। ঠিক এই অবস্থাটিকেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় থাইরয়েড ডিজিজ (Thyroid disease) বলা হয়ে থাকে।

    থাইরয়েড কমানোর উপায়

    আমরা এই পর্যায়ে জেনে নিবো যে থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলো কি কি সেই সম্পর্কে। আর আপনারা জেনেছেন যে থাইরয়েড গ্রন্থি তে যখন অতিরিক্ত হরমোন তৈরি হয়ে থাকে তখন এই সমস্যাটি কে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম। আর তাই অনেকেই রয়েছেন যারা কিনা এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য থাইরয়েডকে নিয়ন্ত্রন করতে চান বা কমাতে চান।

    আমরা চাইলে নিজেরাই ঘরোয়া কিছু নিয়ম অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই থাইরয়েড কমিয়ে আনতে পারি। তাই চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলো কি কি সেই সম্পর্কে।

    বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং জাঙ্ক ফুড পরিহার । থাইরয়েড কমানোর উপায়

    বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং জাঙ্ক ফুড পরিহার

    আমাদের ভেতরে অনেকেই রয়েছেন যারা কিনা বাহিরের খাবার গুলো খুব বেশি পছন্দ করে থাকেন। তাই প্রথমেই বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং জাঙ্ক ফুড (এক ধরনের কৃত্রিম খাবার যাতে চর্বি, লবণ, কার্বনেটসহ ক্ষতিকারক উপাদান বেশি থাকে) সেগুলোকে আমাদের পরিহার করতে হবে।

    এই জাতীয় খাবার গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং নিয়মিত এগুলো খাওয়ার ফলে শরীরে অনেক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত ফল এবং শাকসবজির মাধ্যেমে থাইরয়েড কমানোর উপায়

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত ফল

    অনেকেই রয়েছেন যারা শাকসবজি তেমন একটা পছন্দ করেন না, এটা তাদের জন্য একটা খারাপ খবর যে থাইরয়েড কমানোর উপায় হিসাবে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান এই শাকসবজি। যদি আপনার থাইরয়েডের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে থাইরয়েড কমানোর জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত ফল এবং শাকসবজি খেতে পারেন।

    কেননা শাকসবজিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাইরয়েডের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া শাকসবজির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন b12 থাইরয়েড গ্রন্থিকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।

    চিনি খাওয়া পরিহার করতে হবে থাইরয়েড কমানোর জন্য

    চিনি খাওয়া পরিহার করতে হবে থাইরয়েড কমানোর জন্য

    চিনি অনেকের কাছে খুবই প্রিয় বা মিষ্টি জাতীয় জিনিস গুলো অনেকে পরিহার করতে পারেন না। তাই তাদের জন্য বলছি যে যদি আপনার থাইরয়েডের সমস্যা থেকে থাকে বা থাইরেড বৃদ্ধি পেয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিনি খাওয়া পরিহার করতে হবে।

    আপনি যখন অতিরিক্ত চিনি খাবেন তখন আপনার শরিরে T3 ও T4 এই দুই ধরনের হরমোন উৎপাদিত হয়ে থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই মারাত্মক। তাই থাইরয়েডের সমস্যা কমানোর জন্য চিনি খাওয়া পরিহার করতে হবে। 

    আয়োডিনযুক্ত লবণ কম খেতে হবে

    আয়োডিনযুক্ত লবণ কম খেতে হবে

    আমরা অনেকেই আয়োডিন যুক্ত লবণ খুজে থাকি এবং সেটিকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রেখে দেয়। কেননা অনেকেই রয়েছেন লবন ছাড়া খেতে পারেন না। আবার কিছু কিছু লোক রয়েছেন যারা কাচা লবন নিয়েও খাবার খেয়ে থাকেন। আর এই অতিরিক্ত আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়ার ফলে আমাদের থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা অনেক বেড়ে যেতে পারে। 

    তাই আপনার শরীরের যদি থাইরয়েড এর মাত্রা অনেক বেড়ে যায় তাহলে আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়া কম করে দিন তাহলেই আপনার থাইরয়েড কমতে শুরু করবে। আপনি যদি এই সমস্ত বেপারে একটু শতর্ক থাকেন তাহলে নিজেই অনেকটা থাইরয়েড সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারবেন।

    থাইরয়েড কমানোর জন্য ওমেগা 3

    আমরা জানি যে কপার এবং ওমেগা 3 থাইরয়েডের পাশাপাশি ওজন কমাতে খুব ভাল ভাবেই সাহায্য করতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিকভাবে কাজ করার জন্যও কপার এর গুরুত্ব অপরিহার্য।

    নিয়মিত শরীরচর্চা থাইরয়েড কমানোর উপায়

    নিয়মিত শরীরচর্চা থাইরয়েড কমানোর উপায়

    আপনারা অনেকেই জানেন যে থাইরয়েড কমানোর জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। শরীরচর্চা শুধু যে থাইরয়েডের সমস্যার জন্যই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে বেপারটা কিন্তু ঠিক তা নয়। আপনার শরীরে আরো অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে। তাছাড়া শরীর চর্চার মাধ্যমে আমাদের মানসিক চাপ অনেক দূর হয়ে যায়। তাই থাইরয়েড কমানোর জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন।

    যোগ ব্যায়াম করতে পারেন থাইরয়েড কমানোর উপায়

    যেকোন ভাবেই সঠিক পদ্ধতিতে যদি আপনি শরীর ফিট রাখতে পারেন তাহলে সেটি অনেক বেশি উপকারি আমাদের জন্য। তাই শরীরে থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ সঠিক রাখতে যোগব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আপনার শরীরের থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে যদি বেড়ে যায় তাহলে যোগ ব্যায়াম করার মাধ্যমে থাইরয়েড কমানো যেতে পারে।

    অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর মাধ্যমে থাইরয়েড কমানোর উপায়

    আপনারা অনেকেই এই অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা সম্পর্কে জানেন। এটি থাইরয়েডের উৎপাদনে সাহায্য করে এবং মেদ নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং পুষ্টি উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি মধু এবং জল মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে এটি।

    নারকেল তেল এর মাধ্যমে থাইরয়েড কমানোর উপায়

    নারকেল তেল এর মাধ্যমে থাইরয়েড কমানোর উপায়

    আমরা জানি যে নারিকেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা থাইরয়েড গ্রন্থিকে কাজ করতে সাহায্য করে। আপনি যদি নারকেল তেলে নিয়মিত রান্না করতে পারেন তাহলে অনেকটাই ওজন কমতে পারে। এটি খেলে মেটাবলিজম বাড়ে এবং শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় থাকে।

    ভিটামিন বি থাইরয়েড কমানোর উপায়

    আমাদের দেহে ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা অপরিশীম। তাই থাইরয়েড সহ নানা ধরনের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে ভিটামিন বি ১২ হাইপোথাইরয়েডিজম। প্রতিদিন ডিম, মাংস, মাছ, শিম, দুধ এবং আখরোট-সহ ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।

    ভিটামিন ডি এর মাধ্যমে থাইরয়েড কমানোর উপায়

    এটির অভাবে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে। সূর্যের সংস্পর্শে আসলেই প্রাকৃতিক ভাবেই আমাদের শরীর এই ভিটামিন তৈরি করতে পারে। তাই প্রতিদিন ১৫ মিনিট রোদে থাকার চেষ্টা করুন। এই ভিটামিন রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা দেয়। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন দুগ্ধজাত দ্রব্য, তিলের বীজ, কমলালেবুর রস এবং ডিমের কুসুম খেলে থাইরয়েডের সমস্যা কমে।

    আদা এর মাধ্যমে থাইরয়েড কমানোর উপায়

    আদা এর মাধ্যমে থাইরয়েড কমানোর উপায়

    আমরা জানি যে আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান গুলো। তাই আদা বিভিন্ন প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আদা চা খেলে থাইরয়েডের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই আপনি চাইলে চিনি ছাড়াই আদা চা খেতে পারেন।

    মটরশুটি এর মাধ্যমে থাইরয়েড কমানোর উপায়

    আমাদের খুবই পরিচিত একটি সবজি হচ্ছে মটরশুটি। আর এই মটরশুটিতে থাকা ফাইবার, প্রোটিন, প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ভিটামিনে সমৃদ্ধ। এটিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে। ফাইবার বেশি থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে এই সমস্যা হয়। সেটি কমাতে মটরশুটি খুবই কার্যকর এবং মটরশুটির মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে থাইরয়েড কমানো যায়।

    বাদাম এর মাধ্যমে থাইরয়েড কমানোর উপায়

    বাদাম এর মাধ্যমে থাইরয়েড কমানোর উপায়

    আমরা সবাই জানি যে বাদাম খুবই উপকারি একটি ফল আমাদের জন্য। এছাড়াও থাইরয়েড স্বাস্থ্যের জন্য বাদাম সবচেয়ে উপকারী। এটি প্রোটিন, ফাইবার এবং খনিজগুলির ভালো উৎস। বাদামে সেলেনিয়াম থাকে যা থাইরয়েডের জন্য খুব ভালো।

    তাই আপনি চাইলে এই সহজলভ্য বাদামকে খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারেন। এতে করে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রন করা যেতে পারে।

    থাইরয়েড কমানোর উপায় শেষকথাঃ

    আশা করি আপনারা উপরের আলোচনা যদি মনযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে থাইরয়েড সমস্যা কি এবং থাইরয়েড কমানোর উপায় গুলো কি কি এই সম্পর্কে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না। আপনি নিজেই বুঝে যাবেন যে কিভাবে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেন সেই সম্পর্কে।

    আপনারা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকলে, এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের বা কাছে মানুষ জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আপনার একটা শেয়ারের মাধ্যমে অনেকেই এই বিষয়টা সম্পর্কে জানতে  পারবে এবং উপরের দেওয়া নিয়ম গুলো মেনে নিজেদের থাইরয়েড নিয়ন্ত্রনে রাখতে সক্ষম হবেন। 

    আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এবং টুইটারে  লাইক দিয়ে সাথেই থাকতে পারেন। এতে করে নতুন কোন পোস্ট পাবলিশের সাথে সাথে নটিফিকেশন পেয়ে যাবেন। 

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    0 মন্তব্যসমূহ