এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যেমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আপনারা যারা খোজাখুজি করছেন আজকের আলোচনা টুকু মনযোগ দিয়ে পড়লে আশা করছি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর মিলবে আমাদের এই পোস্টেই।
আমাদের সকলেরই খুবই সুপরিচিত একটি বহুজীবী ভেষজ উদ্ভিদ হল অ্যালোভেরা (Aloe vera)। আপনারা অনেকেই হয়তোবা জানেন যে এলোভেরার আরেকটি নাম হচ্ছে ঘৃতকুমারী। এই অ্যালোভেরা গাছ দেখতে অনেকটা কাঁটাওয়ালা ফনিমনসা বা আনারস গাছের এর মত। অ্যালোভেরা ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ নয়, এটি একটি লিলি প্রজাতির উদ্ভিদ। অ্যালোভেরার পাতা একটু মোটা হয়ে থাকে এবং পাতার দুই ধারে করাতের কাঁটার মতো দেখতে পাওয়া যায়। পাতার ভিতর অংশে পিচ্ছিল শাঁস বা জেলি থাকে।
উকিপিডিয়ার তথ্যমতেঃ
এলোভেরার বা ঘৃতকুমারী । অ্যালোভেরার পুষ্টি উপাদান
বৈজ্ঞানিক নাম: Aloe vera এবং এই এলোভেরার ইংরেজি নাম হচ্ছে: Medicinal aloe, Burn plant এটি একটি রসালো উদ্ভিদ প্রজাতি। এলোভেরার বা ঘৃতকুমারী গাছটা দেখতে অনেকটাই কাঁটাওয়ালা ফণীমনসা বা ক্যাকটাসের মতো। অ্যালোভেরা ক্যাক্টাসের মত দেখতে হলেও ক্যাক্টাস নয়, লিলি প্রজাতির উদ্ভিদ। এলোভেরার আদি নিবাস আফ্রিকার মরুভূমি অঞ্চল ও মাদাগাস্কার।
আপনারা অনেকেই জানেন যে অ্যালোভেরা আজ থেকে প্রায় ৬০০০ বছর আগে মিশরে উৎপত্তি লাভ করে। ভেষজ চিকিৎসা শাস্ত্রে এলোভেরার ব্যবহার পাওয়া যায় সেই খ্রিস্টপূর্ব যুগ থেকেই। ঘৃতকুমারী বহুজীবী ভেষজ উদ্ভিদ এবং দেখতে অনেকটা আনারস গাছের মত। এর পাতাগুলি পুরু, দুধারে করাতের মত কাঁটা এবং ভেতরে লালার মত পিচ্ছিল শাঁস থাকে।
সবরকম জমিতেই এলোভেরার চাষ সম্ভব, তবে দোঁআশ ও অল্প বালি মিশ্রিত মাটিতে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়। নিয়মিত জলসেচের দরকার হলেও গাছের গোড়ায় যাতে জল না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সাধারণত শেকড় থেকে গজানো ডাল বা শাখা এর সাহায্যে এই গাছের বংশবৃদ্ধি হয়।
এই ঘৃতকুমারীতে রয়েছে ২০ রকমের খনিজ পদার্থ। মানবদেহের জন্য যে ২২টা অ্যামিনো অ্যাসিড প্রয়োজন এতে সেগুলো বিদ্যমান। এছাড়াও ভিটামিন A, B1, B2, B6, B12, C এবং E রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা ২০২২
এলোভেরার উপকারিতা ও ব্যবহার
ঘৃতকুমারীর বা এলোভেরার পাতা ও শাঁস বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। এর পাতার রস যকৃতের জন্য অত্যান্ত উপকারী উপাদান। ঘৃতকুমারীর পাতার শাঁস বেঁটে ফোঁড়ায় লাগালে যন্ত্রণা কমে যায়। পোড়াস্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। হাঁপানি ও এলার্জি প্রতিরোধে ঘৃতকুমারী বৈজ্ঞানিকভাবে কার্যকরী।
এছাড়াও এটি ত্বকের জন্য খুব উপকারী। ত্বকের দাগ,ব্রণ, এবং শুষ্কতা দূর করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনি যদি এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
চুলের যত্নে এলোভেরার উপকারিতা
বর্তমানে চুল নিয়ে কিন্তু ছেলে বা মেয়ে সকলেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আর তাই চুলের যত্নে অনেকেই অনেক ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করছেন। তবে আপনাদের সুবিধার জন্যে বলে রাখা ভাল যে এলোভেরা এমনই একটি উদ্ভিদ যা একের অধিক কাজ করে। আর চুলের যত্নে এলোভেরা অনন্য। চুলের সমস্ত সমস্যার সমাধানে হল এলোভেরা।
- বর্তমানে মেয়েদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো চুল পড়া। আর চুল পড়া রোধে এলোভেরা হলো একমাত্র ও কার্যকরী পন্থা।
- চুল পড়া রোধের পাশাপাশি চুলকে মসৃণ ও কোমল করতে এলোভেরার জুড়ি নেই। এলোভেরা ব্যবহারের ফলে চুল হয় ঘন কালো ও মসৃণ।
- এলোভেরার জেল মাথার স্কাল্পে মেসেজ করলে চুল দ্রুত লম্বা হয়। এটি মাথার ত্বকের এলার্জি দূর করে, মাথার খুশকি দূর করতে সাহায্য করে, চুল ফাটা রোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- এলোভেরার জেল ব্যবহারে মাথার চুল সিল্কি হয়।এলোভেরায় আছে ভিটামিন সি যা চুলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। চুলের জন্য এলোভেরার গুরুত্ব অতুলনীয়।
এলোভেরা খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিনিয়ত মানুষ এখন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। খাবার দাবার থেকে শুরু করে সকল প্রকার প্রসাধনীতে এখন ভেজাল পণ্যের কারনে মানুষের রোগে ভোগার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে। তবে এসমস্ত রোগ থেকে মুক্তি পেতে এলোভেরা হচ্ছে একটি ম্যাজিক্যাল উপাদান। যা ব্যবহার ও খাওয়ার ফলে শরীরে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
- হার্টসুস্থ রাখতে এলোভেরার অবদান অনেক।
- এছাড়া এটা রক্তের দূষিত কোলেস্টরেলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই হার্ট অ্যাটাকের মাত্রা হ্রাস পায়। এটি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- এটি খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি, মিনারেল এর ঘাটতি পূরণ হয় ।আর ডায়েট এর ক্ষেত্রে এলোভেরা সবকিছুর ঊর্ধ্বে।
- এটি খেলে শরীরের ফ্যাট নষ্ট হয় ,যার কারণে শরীর সতেজ থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটা অনেক উপকারী।
- রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে আনার ক্ষমতা থাকে এলোভেরায়, যার কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- এটি খাওয়ার ফলে শরীরের ক্ষত হওয়ার ভয় থাকে না, কারণ এটির মধ্যে আছে এমন কিছু উপাদান যা খুব সহজেই ক্ষত ভরাট করে দেয়।
- শরীরের জয়েন্টে ব্যথা দূর করতে এলোভেরা জাদুকরী উপাদান হিসেবে কাজ করে। হাড়কে শক্ত করে।
- শুধু তাই নয় এলোভেরায় আছে ভিটামিন সি যা দাঁত কে রাখে সুস্থ ও মজবুত। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগকে আয়ত্ত করে ফেলে এলোভেরা। এটি হজমশক্তি বাড়ায়।
- এলোভেরার আঠালো রস খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের দূষিত পদার্থ গুলো মলদ্বারের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। দূষিত রক্ত বের করে দেয় এটি।
- এলোভেরা শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয় যার কারণে আপনার স্ট্রেস কমে যাবে।
হার্ট সুস্থ রাখতে এলোভেরার উপকারিতা
এলোভেরার উপকারিতা অপরিশীম, আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরার জুস। অ্যালোভেরা আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় কয়েকগুন। এলোভেরার উপকারিতা এটি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। দূষিত রক্ত দেহ থেকে বের করে রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে দীর্ঘদিন আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ ও সক্রিয় থাকে।
মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধে এলোভেরার উপকারিতা
এলোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে এই উপকারিতা না বললেই নয়। অ্যালোভেরা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা থেকে অনেকাংশেই রক্ষা পাওয়া যায়।
দাঁতের যত্নে এলোভেরার উপকারিতা
আপনারা যারা দাতের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যে এলোভেরা অনেক কার্যকরী একটি ঔষধ হিসাবে কাজ করবে। কেননা অ্যালোভেরার জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। দাঁতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে এবং নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয়রোধ হয়।
ওজন হ্রাস করতে এলোভেরার উপকারিতা
ওজন কমাতে অ্যালোভেরা জুস বেশ কার্যকরী। ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। পুষ্টিবিদগণ এই সকল কারণে ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে এলোভেরার উপকারিতা
হজমশক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা জুসের জুড়ি নেই। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া রোধ করে, যা হজমশক্তি বাড়িয়ে থাকে। অ্যালোভেরা ডায়রিয়ার বিরুদ্ধেও অনেক ভাল কাজ করে।
আরও পড়ুনঃ খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা ২০২২
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে এলোভেরার উপকারিতা
অ্যালোভেরা জুস রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। ডায়াবেটিস শুরুর দিকে নিয়মিত এর জুস খেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। সুতরাং খাওয়ার আগে বা খাওয়ার পরে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করুন, তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ত্বকের যত্নে এলোভেরার উপকারিতা
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই কম-বেশি জানি। অ্যালোভেরার অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এলোভেরার উপকারিতা
অ্যালোভেরা হলো অ্যান্টি ম্যাইকোবিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানসমৃদ্ধ একটি গাছ। অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত পান করলে রোগ-প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দেহের টক্সিন উপাদান দূর করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
মুখের দূরগন্ধ দূর করতে এলোভেরার উপকারিতা
অ্যালোভেরায় আছে ভিটামিন সি, যা মুখের জীবাণু দূর করে মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালোভেরার জেল মাউথ ওয়াশ এর বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
চুল সুন্দর করতে এলোভেরার উপকারিতা
অ্যালোভেরার গুনাগুন বলে শেষ করা যায় না, মাথায় খুশকি দূর করতে এর কোন তুলনা নেই। এমনকি ঝলমলে চুলের জন্যেও অ্যালোভেরা অনেক উপকারী। সুতরাং চুলের যত্নে অ্যালোভেরা আপনার নিত্যসঙ্গী।
মুখের ঘা সারাতে এলোভেরার উপকারিতা
অনেকের মুখে ঘা হয়, আর এই মুখের ঘা দূর করতে অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী। ঘায়ের জায়গায় অ্যালোভেরার জেল লাগিয়ে দিলে মুখের ঘা ভাল হয়।
আরও পড়ুনঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
ক্যান্সার প্রতিরোধে এলোভেরার উপকারিতা
গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যালো ইমোডিন, যা স্তন ক্যান্সার বিস্তারকে রোধ করে। এছাড়াও অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধে অ্যালোভেরা অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে
অ্যালোভেরার অনেক গুনাগুনের মধ্যে আর একটি হল রক্তচাপ কমাতে এর কোন তুলনা নেই। অ্যালোভেরার ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করে।
ক্ষতিকারক পদার্থ অপসারণ করতে এলোভেরার উপকারিতা
কিছু ক্ষতিকর পদার্থ দেহের মধ্যে প্রবেশ করে নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি করতে পারে। ফলে তা দেহের জন্য মোটেও ভালো কিছু নয়। এই সকল ক্ষতিকর পদার্থ দেহ থেকে অপসারণ প্রয়োজন। অ্যালোভেরার রস পান করলে দেহের ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করতে পারে না। আর যদি প্রবেশ করেও ফেলে, তাহলেও অ্যালোভেরার জুস পানে তা অপসারণ হতে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার জুসের গুণ অপরিসীম।
ক্লান্তি দূর করতে এলোভেরার উপকারিতা
দেহের দুর্বলতা দূর করতে অ্যালোভেরার জুসের গুণ অনেক। আপনি যদি অ্যালোভেরার জুস নিয়মিত পান করেন তাহলে দেহের ক্লান্তি দূর হবে এবং দেহকে সতেজ ও সুন্দর রাখবে।
আরও পড়ুনঃ কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা ২০২২
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে এলোভেরার উপকারিতা
অ্যালোভেরার জুসের মধ্যে যে জেল থাকে তার অনেক গুণ। এই জেল নিয়মিত পান করলে পেটের সমস্যা দূর হয়। আর যদি সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হওয়া সম্ভব। এছাড়া অ্যালোভেরা জেলে প্রায় ২০ রকম অ্যামিনো অ্যাসিড আছে যা ইনফ্লামেশন এবং ব্যাকটেরিয়া রোধ করে হজম, বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে থাকে।
অ্যালোভেরা জেল তৈরির নিয়ম
অ্যালোভেরা জেল তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে তাজা অ্যালোভেরার পাতা সংগ্রহ করতে হবে। তারপর অ্যালোভেরা পাতার দুই পাশ কেটে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন। ৫ থেকে ৬ মিনিট অপেক্ষা করার পর দেখবেন কাটা অংশ থেকে হলুদ রঙের কিছু রস বেরিয়ে আসছে। অ্যালোভেরা থেকে বেরিয়ে আসা এই হলুদ পদার্থ শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। হলুদ রঙের পদার্থ টিসু পেপার দিয়ে ভালোভাবে বুঝে নিন।
হলুদ রঙের পদার্থটি মুছে নেওয়ার পর অ্যালোভেরা পাতার ভেতরের রসালো অংশটি কে বার করে নিয়ে একটি বাটিতে রাখুন এবং পরিমাণমতো গোলাপ জল ঢেলে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে গোলাপ জল ঢেলে দিলে বুদবুদ বেরোনো শুরু হবে। গোলাপজল দিয়ে মিশ্রন করে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন। ব্যাস, হয়ে গেল আপনার অ্যালোভেরা জেল।
এলোভেরা জেল এর উপকারিতা
অ্যালোভেরা জেল ত্বক এর পুষ্টি সরবরাহ করে । এটি ত্বকের ক্ষত , কালো দাগ , পোড়া দাগ দুর করতে সাহায্য করে । আরও ত্বকের ব্রণ দুর করতে সাহায্য করে । ত্বকের যেকোনো ইনফেকশন দুর করে।
এলোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহারের নিয়ম
এলোভেরা জেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম
অ্যালোভেরার অপকারিতা
প্রত্যেকটি জিনিসের যেমন ভাল দিক আছে, তেমনি তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকে। সেই অনুযায়ী অ্যালোভেরার ভালো দিক এর পাশাপাশি, কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তাই নিয়ম করে পরিমান মত অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে তা নিম্নে একটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আসুন এক নজরে দেখে নিন অ্যালোভেরার অপকারিতা গুলি –
- অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালোভেরা জুস সেবন করলে প্রস্রাবের রং লালচে ভাব হয়ে যেতে পারে।
- পরিমাণমতো অ্যালোভেরা খাওয়া ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালোভেরা খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
- যাদের এলার্জি রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালোভেরা ব্যবহারের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মহিলারা অ্যালোভেরা থেকে দূরে থাকুন।
0 মন্তব্যসমূহ